Ajker Patrika

সিলেটের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক: শুরুর আগেই পিঠটান

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট ও নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা 
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ১১
সিলেটের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক: শুরুর আগেই পিঠটান

শুরুর আগেই বরাদ্দ ছেড়ে দিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বরাদ্দ পাওয়া বাকি ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগ এখনো কাজ শুরু করেনি। যে দু-একটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, তা-ও চলছে ঢিমেতালে। কেউ মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, কেউ আছে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধায়। একটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেলেও ওই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হাল সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণের সুবিধা না থাকা, বিনিয়োগ করা অর্থ উঠে আসা নিয়ে সংশয়, বিশ্ববাজারে মন্দা, ডলার সংকট, প্রকল্প এলাকায় বসবাসসহ অন্যান্য সুবিধা গড়ে না ওঠা, ভালো পরিবেশ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে আগ্রহে ভাটা পড়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় প্রায় ১৬৩ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হচ্ছে এই হাই-টেক পার্ক। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বাহাটেপাক)। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণ শেষে আগামী মার্চেই প্রকল্পটি বুঝিয়ে দেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য অপেক্ষা।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর। সম্প্রতি মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন।

বাহাটেপাক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্প নির্মাণে ৩৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ৩১৯ কোটি টাকা খরচ হওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে ১৭ কোটি টাকা। পার্কে ইতিমধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান প্লট এবং ৬টি প্রতিষ্ঠান ভবনে জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে। পার্কটি প্রবাসী-অধ্যুষিত সিলেটে বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে। সব ঠিক থাকলে এখানে ২০২৪ সালে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে। এখানে উৎপাদিত পণ্য ভারতের সেভেন সিস্টার্সের বাজার ধরতে পারবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ হবে। স্থানীয় অদক্ষ শ্রমিকসহ অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এতে সিলেট অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরও উন্নত হবে।

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, এখানে সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক পণ্য ও যন্ত্রাংশ তৈরি হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১.৩৯৯ একর জমি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ভবনে ১৪,৭৬০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০ বছরের জন্য। পরে মেয়াদ বাড়তে পারে। এর মধ্যে র‍্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ৩২ একর, আরএফএল ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ২০, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড ২, হেলথ ল্যান্ডমার্ক হোল্ডিং লিমিটেড ১.৫, রহমানিয়া সুপার মার্কেট ১, টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ১, ইএলবি ১, মেসার্স নুহ এবং সোহান এন্টারপ্রাইজ প্রায় সাড়ে ৩, অটোমেশন সার্ভিস লিমিটেড ১, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ৮, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেড ০.১৪৯, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ০.৩৩০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য ৩ একর, বোর্ড ক্লাবের জন্য ২ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ৪ হাজার বর্গফুট, সিমেড হেলথ লিমিটেডকে ১ হাজার, নুডস সল্যুশনকে ১ হাজার ৫০০, মেসার্স আব্দুল বাশির এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার ২৬০, ইন টাচ আইটিকে ২ হাজার ‍বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছয়টি সিলেট অঞ্চলের। বছরে প্রতি বর্গমিটার জমির ভাড়া দেড় মার্কিন ডলার এবং মাসে প্রতি বর্গফুট জায়গার ভাড়া ৫ টাকা, সার্ভিস চার্জ ৫ টাকা।

কর্তৃপক্ষের দাবি, বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে কিস্তি দিচ্ছে। তাদের দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরুও করেছে। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হলেও বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণকাজের তোড়জোড় নেই। অথচ চুক্তি অনুযায়ী বরাদ্দের এক বছরের মধ্যে কাজ শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রবেশপথেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন সেতু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি অঙ্গন। প্রবেশপথ পেরিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের ভবনের একতলা কাঠামো। এরপর ব্যাংক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন। কিছু দূরে ভূমি জরিপ করছেন র‍্যাংগসের লোকজন। প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপক (সিভিল) এস এম আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিপ শেষ হলেই স্থাপনা নির্মাণ শুরু হবে।

বোর্ড ক্লাব এবং রিসার্চ ও ট্রেনিং হাসপাতালের প্রাথমিক পর্যায়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আরএফএল ১০০ একর জমি চাইলেও পর্যাপ্ত জমি না থাকায় দেওয়া যায়নি।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারসহ তিনটি ভবনের কাজ শেষ। আনসার সদস্যদের ব্যারাক, অভ্যন্তরীণ সড়ক ও কানেক্টিং কালভার্ট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন, প্রশাসনিক ভবন, ৩৩ কেভিএ লাইনের ১০ মেগাওয়াট বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস স্টেশন, ভূমি উন্নয়ন, সেতু, গেট হাউস, কালভার্ট কাম স্লুইসগেট, দুই হাজার ফুট গভীর নলকূপ, রাস্তা, স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ইউটিলিটি ভবন, প্রশাসনিক ভবনের চারপাশের বেড়া, নালা, ঘাট কাম স্লোপ প্রোটেকশন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং) মতিলাল হাওলাদার বলেন, পার্কটি পুরোপুরি প্রস্তুত। হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিকর্ণ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিনিয়োগের সব সুযোগ-সুবিধা বা শর্ত প্রস্তুত। এখন বিনিয়োগকারী এসে কাজ শুরু করবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এখানে অনেক বড় কর্মযজ্ঞ দেখা যাবে।

তবে এই সুযোগ-সুবিধা নিয়েই দ্বিমত পোষণ করেছেন কয়েকজন বরাদ্দপ্রাপ্ত। ঋণসহ অন্য সুবিধা না থাকায় আগ্রহ হারিয়েছেন তাঁরা। চারটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পাওয়া জমি ও জায়গা ছেড়ে দিয়েছে বা দেবে। এর মধ্যে মেসার্স নুহ ও সোহান এন্টারপ্রাইজের মালিক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ তারকা হোটেল করতে ১২০ কোটি টাকা লাগে। ঋণের ব্যবস্থাও নেই। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিলাম, তারাও ফান্ড ম্যানেজ করতে পারছে না। এখন আমরা ছেড়ে দেব।’

 সিমেড হেলথ লিমিটেডের পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার এ মামুন বলেন, কোভিডের কারণে কিছু সমস্যা হওয়ায় তাঁরা জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। নুডস সল্যুশনের সিইও এম রাহবার জুমার আবেশও বরাদ্দ জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান।

এদিকে ইন টাচ আইটির চৌধুরী মুহসিন সিদ্দিকী বলেন, সেখানে গিয়ে তাঁদের তেমন লাভ হবে না। তাই ছেড়ে দিয়েছেন। তারা ফোন করেছিল ছেড়ে দেওয়ার মেইলটা আবার ফরওয়ার্ড করার জন্য।

টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিয়ালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এই হাই-টেক পার্কে কী ধরনের কাজ করব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। পরে জানাব।’

ইএলবি জমি বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই ডেটা সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করলেও দুই দফা বন্যার কারণে থামিয়ে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির কাজ তদারক করা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ তারিক বলেন, ‘আবার কবে কাজ শুরু করব জানি না।’

আরটিএম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ জগলুল পাশা বলেন, ‘আমরা তো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যদি সরকার সহায়ক হয়, তাহলে বিষয়টা সুবিধা হবে।’ রহমানিয়া সুপার মার্কেটের বরাদ্দপ্রাপ্ত জমিতে বোর্ড ক্লাব ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সৈয়দ মহসিন হোসেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, পার্কের বর্তমান পরিবেশ দেখে বিনিয়োগের টাকা উঠবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তিনি বলেন, তিনি কাজ করলেও অনেকে জমি, জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ফেলে রেখেছে।

তবে ইমতিয়াজুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। এখনো সুযোগ-সুবিধার অভাব দেখিনি।’ অটোমেশন সার্ভিস লিমিটেডের সিইও পাপ্পু বলেন, ‘আমাদের চুক্তি হয়নি এখনো। আমাদের পার্টনারও চলে গেছে। পার্টনার পেলে কাজ শুরু করব।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মুমিন জানান, তাঁরা সেখানে ল্যাব করবেন। কাজ শুরু করেননি।

মেসার্স আব্দুল বাশির এন্টারপ্রাইজের জয়নাল আহমদ বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করিনি। এখনো চুক্তি হয়নি।’ এদিকে ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী হেলথ ল্যান্ডমার্ক হোল্ডিং লিমিটেড দেড় একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। তবে ওয়েবসাইটে দেওয়া চারটি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে জানানো হয়, এ নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা তাঁরা জানেন না। নামও শোনেননি। একটি নম্বরের ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আলমগীর নামের এক ব্যক্তি নিজেকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই আমার এই নম্বরে ফোন করে ওই প্রতিষ্ঠানের কথা জানতে চায়। আমি প্রতিষ্ঠানটির নামই শুনিনি। আমারও কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আরএফএল ইলেকট্রনিকস লিমিটেড, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লাখ লাখ টাকায় বরাদ্দ নেওয়া জায়গার ওপর ঋণের সুবিধা নেই। ব্যবসায়ীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সুযোগ-সুবিধা না পেলে কেউ কি যাবে? যেখানে সরকারের বিনিয়োগ নেই, সেখানে ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করবেন না। এটা আমাদের সিলেটিদের জন্য করা হয়নি। আমরা অযথা নিজের পয়সা খরচ করে দেশ-বিদেশে সিলেটের মানুষকে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে সভা-সেমিনার করেছি।’

বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) বিকর্ণ কুমার ঘোষের কাছে জমি ও ফ্লোরস্পেস বরাদ্দের ভাড়া, আয়-ব্যয় ও প্রতিষ্ঠানের সঠিক তালিকা চেয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি সোমবার আরও দুদিনের সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি পার্ককে আরও আট একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। আরও ৮০ একর জায়গা পেয়েছেন, তবে বরাদ্দ হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে, সব তো পূরণ হয় না। আমরাও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নই। আমরা সব রেডি করেছি। সিলেট অঞ্চলের মানুষের বিনিয়োগের একটা জায়গা হয়েছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু হাইটেক পার্ক করলেই হবে না, সেগুলোতে তদারকিও করতে হবে। আবার সহজ ব্যবসার পরিবেশসহ অন্যান্য সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সময়সাপেক্ষ।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত