Ajker Patrika

ভাঙ্গায় করোনায় বেড়েছে শিশুশ্রম

শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ০৭
ভাঙ্গায় করোনায় বেড়েছে শিশুশ্রম

ভাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। এদের মধ্যে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকের সংখ্যাই বেশি। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে অটো নিয়ে তারা নেমে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়কে। অনেকেই নেই লাইসেন্স। ভাঙ্গার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন এসব অযোগ্য চালকদের জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা।

উপজেলার তুজারপুর, মালিগ্রাম, কাউলিবেড়া, পুলিয়া, পুখুরিয়া, মুনসুরাবাদ ও ঘারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে শিশু শ্রমিকদের দেখা মেলে। এদের মধ্যে ১৩ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের সংখ্যাই বেশি। হামিরদী বাসস্ট্যান্ডের এক শিশু ভ্যান চালক (১৩) বলে, আমার বাবা শয্যাশায়ী। তিনি আগে ভ্যান চালাতেন। করোনার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন থেকে আমি আব্বার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নেমে আসি। আমি একটি স্কুলে পড়তাম। আব্বার ওষুধের টাকা এবং পরিবারের খরচ মিটানো এখন আমার দায়িত্ব।’

পুরব সদরদী এলাকার ভ্যানচালক (১৪) বলে, ‘অভাবে পড়ে সংসারের হাল ধরার জন্য এ পেশায় এসেছি। বাবার একার আয়ে সংসার চলে না।’

ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, করোনার সময়ে কাজ না থাকায় ছোট পরিবারগুলো পুঁজি শেষ করে ফেলেছে। ফলে উপায় না পেয়ে কিংবা ঋণের টাকার কিস্তি শোধ করার জন্য দরিদ্র পরিবারের শিশুরা শ্রমে নিয়োজিত হয়েছে। এদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার।

উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিসার ইলা রানী কুন্ডু বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। করোনার সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় কেউ কেউ শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা ওই শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবাকে বোঝাব, যাতে শিশুরা ভ্যান চালানো বা অন্য কোনো কাজ না করে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেফিরে আসে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, করোনার সময়ে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাই হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আমরা স্কুল ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে ঝরেপড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত