ভর্তিতে বাড়তি ফি মিলছে না রসিদও

দাউদকান্দির বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে দেওয়া হচ্ছ না রসিদও। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন জানা গেছে, গত শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে উপজেলার বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি ফি ৪ হাজার ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অথচ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালায় এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি উপজেলা-মফস্বল পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা নিচ্ছি না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি যা সিদ্ধান্ত দেয়, আমরা সে অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করি।’

একাদশ শ্রেণিতে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী নেহাল আহম্মেদ বলেন, ‘৪ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু কলেজ থেকে আমাদের কোনো রসিদ দেওয়া হয়নি।’ কেন দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে সে বলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে বলেছে। কিন্তু এখনো মোবাইলে কোনো মেসেজ আসেনি।

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী রাসেলের অভিভাবক বলেন, বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হতে ৪ হাজার ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে অভিভাবক হিসেবে এ টাকা জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মোছা. নাছিমা নামের আরেক অভিভাবক বলেন, ‘বরকোটা কলেজে ভর্তি ফি বেশি হওয়ায় এখনো সন্তানকে ভর্তি করাতে পারিনি।’

মো. শামীম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে সন্তানকে ভর্তি করিয়েছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি নীতিমালার বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম খান বলেন, বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরকারনির্ধারিত ফি ১ হাজার ৫০০ টাকার চেয়ে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা লিখিতভাবে বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছি। একই সঙ্গে সরকারনির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত যে টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’