Ajker Patrika

বেড়েছে তালশাঁসের কদর

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মে ২০২২, ১৬: ০৫
Thumbnail image

জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুরের বিভিন্ন জনবহুল স্থান এবং প্রধান সড়কে কচি তালশাঁসের কদর বেড়েছে। আম, কাঁঠাল ও লিচুর এ ভরা মৌসুমে বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। তাই বিভিন্ন বয়সী মানুষ তালশাঁস খাওয়ার জন্য ভিড় করছেন।

জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল স্থান এবং প্রধান সড়কে দেখা গেছে, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, রিকশাচালকসহ সব শ্রেণি-পেশার লোকজন মৌসুমি ফল তালশাঁস কিনতে ভিড় করছেন।

জেলার সদর উপজেলার তেঘরবিসা চারমাথা এলাকার মৌসুমি তালশাঁস বিক্রেতা আব্দুস সালাম মুসা জানান, ২৫ বছর ধরে তিনি প্রতিবছর গরমের মৌসুমে কচি তালশাঁস বিক্রি করে আসছেন। প্রতিবছর এ সময়ে এক মাস ধরে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০টি তাল কেটে শাঁস বিক্রি করেন। কোনো তালে তিনটি, কোনো তালে দুটি আবার কোনো তালে একটি করে শাঁস থাকে। তবে তিনটি তালের কচি শাঁস ১০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন তিনি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার শাঁস বিক্রি করতে পারেন। প্রতিদিন তাঁর লাভ থাকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।

আব্দুস সালাম মুসা আরও জানান, জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে তিনি গাছ চুক্তিতে তাল ক্রয় করেন। প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে ৫০০টি তাল থাকে। প্রতি গাছের তাল ১৫০ থেকে ৬০০ টাকায় ক্রয় করেন।

জয়পুরহাট জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা রিপন রহমান বলেন, ‘তালের কচি শাঁস আমার পরিবারের সবাই খেতে খুব পছন্দ করে। তাই স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ টাকার তালশাঁস কিনলাম। প্রতিবারের মতো এবার গরমেও তালের শাঁস কিনব।’

সদর উপজেলার পুরানা পৈল থেকে জেলা শহরে তালশাঁস কিনতে আসা সুলতানা বেগম বলেন, ‘এই গরমে কচি তালের শাঁস খেতে ভালো লাগে। ৩০টা তালশাঁস ১০০ টাকায় কিনলাম। বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত