Ajker Patrika

গরমে বাড়ছে রোগীর চাপ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
গরমে বাড়ছে রোগীর চাপ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সর্দি-জ্বর ও পেটের পীড়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অনেকে হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে এসব রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, বিভিন্ন কেবিনে ভর্তি হয়েছে জ্বর, ডায়রিয়া ও পেটব্যথায় ভোগা রোগীরা। কেবিন ফাঁকা না থাকায় অনেকেই মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার কেউ জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সোমবার বিকেল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগে ২৫ জন, জ্বরে ১০ এবং পেটব্যথায় ৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই অবস্থায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকেরা।

ঈদের দিন রাত থেকে পেটের ব্যথায় ভুগছেন উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের জমিরুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় সোমবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের রনি ও তাঁর ভাই হাসান আলী। তাঁরা বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে অল্প সমস্যা ছিল। সোমবার রাতে সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে এসেছি।’

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডাঙ্গীবাজার এলাকার হামিদুর রহমানের স্ত্রী আসমা আক্তার। তাঁর স্বামী বলেন, ‘বমি হওয়া বন্ধ হলেও পায়খানা বন্ধ হয়নি। ওষুধ-স্যালাইন কিছুই কাজ করছে না। চিকিৎসক ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।’

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মিঠুন চন্দ্র দেবনাথ জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি ও পেটব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে। পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। কোনোভাবেই পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যাবে না।

মিঠুন চন্দ্র আরও জানান, শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক অভিভাবক ডায়রিয়ার তিন-চার দিন পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালে আনেন না। এ ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা বেড়ে গিয়ে বাচ্চার ক্ষতি হয়। শিশুদের ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত