Ajker Patrika

এ শ্রীলঙ্কাকে চেনাই দায়

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২৩: ২১
এ শ্রীলঙ্কাকে চেনাই দায়

২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা-মহেলা জয়াবর্ধনেরা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারজুড়ে শ্রীলঙ্কার হয়ে বৈশ্বিক আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার দুঃখ ঘুচেছিল সে রাতে। তখন কে জানত, এরপরই লঙ্কান ক্রিকেটে নেমে আসবে ঘোর অন্ধকার!

দুই বন্ধুপ্রতীম সতীর্থ ২০১৪ ফাইনালের পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছিলেন। এরপর তাঁদের শূন্যতা পূরণ করা দূরে থাক, ধারেকাছেও আসতে পারেননি কেউ। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের অবসরের পর ৭৫ ম্যাচের ৫১টিতে হারই বলে দিচ্ছে কতটা টালমাটাল অবস্থা লঙ্কানদের।

তিলকারত্নে দিলশানও ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় আলো ছড়াতে পারেননি। নিভু নিভু হয়ে জ্বলছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। তাঁকেও রাখা হয়নি এবারের বিশ্বকাপ দলে। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে কোনোভাবেই বেরোতে না পারা লঙ্কানদের তাই পেরিয়ে আসতে হচ্ছে বাছাই পর্ব (প্রথম রাউন্ড)! সব মিলিয়ে তারুণ্যনির্ভর দল নিয়েই আজ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে শ্রীলঙ্কা।

আবুধাবিতে প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ নবাগত নামিবিয়া। এর আগে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কখনোই দেখা হয়নি দুই দলের। তবে ‘অচেনা’ নামিবিয়ার বিপক্ষে ফেবারিট দাসুন শানাকা-কুশল পেরেরা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারাই।

শ্রীলঙ্কার এ দুরবস্থায় অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি জয়াবর্ধনে। শেষ মুহূর্তে উত্তরসূরিদের পরামর্শক হতে রাজি হয়েছেন তিনি। লঙ্কান কিংবদন্তি নতুন ভূমিকায় আসার পর দলের পরিবেশটাও পাল্টে গেছে। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও সবচেয়ে জয় পাওয়া লঙ্কানরা জয়াবর্ধনের ছোঁয়ায় সাফল্যের মুখ দেখবে—এমন প্রত্যাশা করতেই পারেন দ্বীপ দেশটির সমর্থকেরা।

চমক দেখানোর মতো কিছু খেলোয়াড় আছেন নামিবিয়াতেও। ডেভিড ভিসের নাম আসছে সবার আগে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে গত বিশ্বকাপ খেলা এই অলরাউন্ডারের বাবা নামিবিয়ান। সেই সূত্রেই তিনি খেলছেন নতুন দলের হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত