Ajker Patrika

ভারত থেকে চাল আমদানি কমেছে

হিলি স্থলবন্দর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২, ১৪: ১৪
Thumbnail image

বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি অনুমতি দেওয়ার পরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চালের আমদানি নেই। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বাজারে চালের অস্বাভাবিক দাম ও দেশে ডলারের বাজার অস্থিতিশীল থাকার কারণে তাঁরা আমদানি করতে পারছেন না।

হিলি বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব মল্লিক বলেন, বিগত সময় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ চাল আমদানি হতো, বর্তমানে তেমন চালের আমদানির নেই বললেই চলে। তবে বন্দর দিয়ে যতটুকু চাল আমদানি হচ্ছে, সেগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। যেভাবে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না। ৯ দিনে বন্দর দিয়ে মাত্র ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে, যা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক কম।

বন্দরের চাল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী মুশতাক হোসেন মাস্টার বলেন, তিনি ৫০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার বরাদ্দ পেয়েছেন, এর পরও তিনি এলসি করতে পারছেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মার্জিনে এলসি করতেন, এখন করতে পুরো টাকাই লাগছে। পাশাপাশি ডলারের বাজারে অস্থিরতা ও ভারতে চালের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিতে লোকসান হচ্ছে।

এ কারণে চালের আমদানি নেই বললেই চলে। ভারতের বাজারে মোটা স্বর্ণা প্রতি মেট্রিক টন ৩৮০ মার্কিন ডলার, চিকন বাসমতি ৫৪০ থেকে ৫৫০ ডলার। সেসঙ্গে প্রতি কেজি চালে শুল্ক পরিশোধ করতে হয় আরও ১১ টাকা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি চিকন চালের দাম দাঁড়ায় ৬৮-৬৯ টাকা। অন্যদিকে দেশে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকার মধ্যে। মূলত ভারতের চালের দাম বেশি হওয়ার কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে না।

আরেক আমদানিকারক রাজীব কুমার দত্ত বলেন, ভারতে চালের অতিরিক্ত দাম, গুণগত মান খারাপ, বাংলাদেশের বাজারে ডলারের মূল্য অস্থিরতা ও চালের চাহিদা কম থাকার কারণে তারা ভারত থেকে আমদানি করছেন না। বর্তমানে ভারতের চেয়ে দেশে চালের দাম কম রয়েছে।

হিলি বাজারে চাল বিক্রেতা পলাশ মণ্ডল জানান, বাজারে ভারতীয় চাল নেই বললেই চলে। কারণ ভারতীয় চালের চেয়ে দেশি চালের দাম অনেকটাই কম রয়েছে। মোটা স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়, সেখানে ভারতীয় মোটা স্বর্ণ বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৯-৫০ টাকা কেজি দরে। ৪০৯৪ দেশি চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা দরে। সেখানে ভারতীয় চালের পড়তা পড়ছে ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। দেশির চেয়ে ভারতীয় চালের দাম বেশি থাকার কারণে মূলত আমদানি কম হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত