Ajker Patrika

ভুয়া পরোয়ানায় গ্রেপ্তার পরে মুক্ত জাহাঙ্গীর

মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৯
ভুয়া পরোয়ানায় গ্রেপ্তার পরে মুক্ত জাহাঙ্গীর

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে মো. জাহাঙ্গীর আলম খান (৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে যাচাই বাছাই করে ওই পরোয়ানাটি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বরগুনার জেলায় একটি অস্ত্র মামলায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ।

পরোয়ানার বিষয়টি যাচাই বাছাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গত বুধবার সকালে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। জাহাঙ্গীরের বাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামে।

পরোয়ানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ জুলাই বরগুনা জেলায় একটি অস্ত্র মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি করা হয় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে। মামলা নম্বর ৩৭। পরে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর জিআর নম্বর-৬৫২। গত মঙ্গলবার পরোয়ানাটি মোহনগঞ্জ থানায় এসে পৌঁছালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের তৎপর ভূমিকায় এটি যাচাই বাছাই করার ফলে ভুয়া প্রমাণিত হলে থানা থেকে ছাড়া পান তিনি।

পুলিশ জানায়, যথাযথ নিয়মে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে অস্ত্র মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে জাহাঙ্গীরের নামে একটি পরোয়ানা পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত এলাকার অসংখ্য মানুষ তাকে দেখতে আসে। দেখতে আসা এলাকাবাসী জানায় এই মামলাটি ভুয়া হতে পারে। কারণ জাহাঙ্গীর কোনদিন বরগুনা যাননি। এমনকি গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরও দাবি করে তিনি এই মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। এমনি তিনি কখনো বরগুনা যাননি।

এসব বিষয় মাথায় রেখে বিষয়টি তদন্ত করে বরগুনায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যোগাযোগ করে পরোয়ানার বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়। পরে থাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, প্রথমে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কোনদিন আমি বরগুনা যাইনি।

তারপরও সেখানকার অস্ত্র মামলার আসামি হলাম। এলাকার একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আমাকে হয়রানি করার জন্য এটা ওখানকার কাউকে দিয়ে করিয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান বলেন, অন্যান্য পরোয়ানার মতো এটিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়। তবে এদিন সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করার পর এলাকার লোকজন তাকে দেখেতে এসে ভিন্ন মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করি। পরে বরগুনায় সংশ্লিষ্ট থানা ও কোর্ট পুলিশে যোগাযোগ করা হলে থানার মামলার নম্বর ও আদালতের জিআর নম্বর দুটিই ভুয়া প্রমাণিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত