সাইফুল মাসুম, ঢাকা
‘মশা জন্মের কামড় কামড়াইছে। এয়ারপোর্টে আরও অনেকবার আইছি। কিন্তু এত মশা আগে দেখিনি।’ এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন ইউছুফ উদ্দিন (৪৫)। দুবাইপ্রবাসী ভাইকে বিদায় দিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন তিনি। ইউছুফ জানান, ভোরে বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের সামনের বটগাছতলায় বসে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তিনি। এ সময় চারদিক থেকে মশা ঘিরে ধরে তাঁকে।
নীল কমল চন্দ্র দাস (৩৮) বিমানবন্দর এলাকায় ১০ বছর ধরে মুচির কাজ করেন। বসেন কার্গো ভিলেজ এলাকার এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টের সামনে। নীল কমল বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকায় সন্ধ্যার পর মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সবাই।’
মধ্যপ্রাচ্যগামী আরেক প্রবাসীর মামা কোরবান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে ঢুকেছিলাম এয়ারপোর্টের মসজিদে, সেখানে গিয়েও দেখি মশা আর মশা।’ বিমানবন্দরের গাড়ির পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা মঞ্জু মিয়ার কণ্ঠেও মশা নিয়ে একই ভোগান্তি। মঞ্জু জানান, বিকেল থেকে মশা বাড়তে থাকে। কয়েল জ্বালিয়েও কোনো কাজ হয় না।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার এমন ভয়াবহ উপদ্রবের চিত্র ওঠে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের এক জরিপেও। চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে হওয়া এই জরিপে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর ও এর চারপাশে আধা কিলোমিটার ধরে ৫৮২টি স্পটে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতরে আর বাইরে ২২২টি মশার হটস্পট রয়েছে। বিমানবন্দরের ভেতরে দুটি বড় ক্যানেল, জলাভূমি, পুকুর ও কিছু ড্রেনে মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে গত ২২ মার্চ জরিপের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ডা. নাসির আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের ৪০০ গজের মধ্যে মশা থাকা যাবে না। কিন্তু এখানে মশা রয়েছে।’ সিটি করপোরেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) সঙ্গে নিয়ে বছরে তিনবার জরিপ পরিচালনা করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ডা. নাসির আহমেদ খান বলেন, ‘মশা নির্মূলের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বৃষ্টি কম হওয়ায় কিউলেক্স মশা বেড়েছে বিমানবন্দরে। সার্ভের পর ‘‘ক্রাশ প্রোগ্রামের’’ মাধ্যমে কিছু লার্ভা কমেছে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, মশা বাড়ছেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে পরামর্শক হিসেবে যুক্ত ছিলেন কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বর্তমানে কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। কিউলেক্স মশা তার জন্মস্থান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ওড়ে যেতে পারে। যে কারণে এয়ারপোর্টের চারপাশে দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে হটস্পটগুলোতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ‘ড্রেন সচল রাখতে হবে। ড্রেনে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দিতে বলেছি। তারা লার্ভা খাবে। লার্ভা ম্যানেজমেন্ট করা সহজ। উড়ন্ত মশা নির্মূল অনেক কঠিন।’
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। হটস্পটগুলো চিহ্নিত করেছি। বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে বেবিচককে ১২ লাখ টাকা দামের ফগার মেশিন দিয়েছি। বাকি কাজ তো তাদের (বেবিচক)।’
এদিকে বিমানবন্দরে মশার কোনো হটস্পট নেই বলে দাবি করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে মশার হটস্পট নেই, পাওয়ার কথা না। বিমানবন্দরের আশপাশে মশার অনেক প্রজননক্ষেত্র আছে, সেখান থেকে ওড়ে ওড়ে মশা আসে। আমরা নিয়মিত ফগিং করছি, পাশাপাশি মশা তাড়াতে ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে ধূপ জ্বালানোর ব্যবস্থা করেছি।’
বিমানবন্দরে মশা নির্মূলে সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের আশপাশে সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে। না হলে আশপাশ থেকে মশা আসবেই। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।’
‘মশা জন্মের কামড় কামড়াইছে। এয়ারপোর্টে আরও অনেকবার আইছি। কিন্তু এত মশা আগে দেখিনি।’ এমন প্রতিক্রিয়া জানালেন ইউছুফ উদ্দিন (৪৫)। দুবাইপ্রবাসী ভাইকে বিদায় দিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন তিনি। ইউছুফ জানান, ভোরে বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের সামনের বটগাছতলায় বসে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তিনি। এ সময় চারদিক থেকে মশা ঘিরে ধরে তাঁকে।
নীল কমল চন্দ্র দাস (৩৮) বিমানবন্দর এলাকায় ১০ বছর ধরে মুচির কাজ করেন। বসেন কার্গো ভিলেজ এলাকার এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টের সামনে। নীল কমল বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকায় সন্ধ্যার পর মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সবাই।’
মধ্যপ্রাচ্যগামী আরেক প্রবাসীর মামা কোরবান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে ঢুকেছিলাম এয়ারপোর্টের মসজিদে, সেখানে গিয়েও দেখি মশা আর মশা।’ বিমানবন্দরের গাড়ির পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা মঞ্জু মিয়ার কণ্ঠেও মশা নিয়ে একই ভোগান্তি। মঞ্জু জানান, বিকেল থেকে মশা বাড়তে থাকে। কয়েল জ্বালিয়েও কোনো কাজ হয় না।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার এমন ভয়াবহ উপদ্রবের চিত্র ওঠে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের এক জরিপেও। চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে হওয়া এই জরিপে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর ও এর চারপাশে আধা কিলোমিটার ধরে ৫৮২টি স্পটে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতরে আর বাইরে ২২২টি মশার হটস্পট রয়েছে। বিমানবন্দরের ভেতরে দুটি বড় ক্যানেল, জলাভূমি, পুকুর ও কিছু ড্রেনে মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে গত ২২ মার্চ জরিপের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ডা. নাসির আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের ৪০০ গজের মধ্যে মশা থাকা যাবে না। কিন্তু এখানে মশা রয়েছে।’ সিটি করপোরেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) সঙ্গে নিয়ে বছরে তিনবার জরিপ পরিচালনা করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ডা. নাসির আহমেদ খান বলেন, ‘মশা নির্মূলের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বৃষ্টি কম হওয়ায় কিউলেক্স মশা বেড়েছে বিমানবন্দরে। সার্ভের পর ‘‘ক্রাশ প্রোগ্রামের’’ মাধ্যমে কিছু লার্ভা কমেছে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, মশা বাড়ছেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে পরামর্শক হিসেবে যুক্ত ছিলেন কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বর্তমানে কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। কিউলেক্স মশা তার জন্মস্থান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ওড়ে যেতে পারে। যে কারণে এয়ারপোর্টের চারপাশে দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে হটস্পটগুলোতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ‘ড্রেন সচল রাখতে হবে। ড্রেনে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দিতে বলেছি। তারা লার্ভা খাবে। লার্ভা ম্যানেজমেন্ট করা সহজ। উড়ন্ত মশা নির্মূল অনেক কঠিন।’
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। হটস্পটগুলো চিহ্নিত করেছি। বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে বেবিচককে ১২ লাখ টাকা দামের ফগার মেশিন দিয়েছি। বাকি কাজ তো তাদের (বেবিচক)।’
এদিকে বিমানবন্দরে মশার কোনো হটস্পট নেই বলে দাবি করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে মশার হটস্পট নেই, পাওয়ার কথা না। বিমানবন্দরের আশপাশে মশার অনেক প্রজননক্ষেত্র আছে, সেখান থেকে ওড়ে ওড়ে মশা আসে। আমরা নিয়মিত ফগিং করছি, পাশাপাশি মশা তাড়াতে ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে ধূপ জ্বালানোর ব্যবস্থা করেছি।’
বিমানবন্দরে মশা নির্মূলে সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের আশপাশে সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে। না হলে আশপাশ থেকে মশা আসবেই। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪