Ajker Patrika

ধর্মঘটেও পিছু ছাড়েনি যানজটের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ১৫
ধর্মঘটেও পিছু ছাড়েনি যানজটের দুর্ভোগ

বিপুলসংখ্যক গণপরিবহন ও লেগুনাসহ বিভিন্ন গাড়ি বন্ধ ছিল। তবু যানজটের ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি নগরবাসীর। দীর্ঘ সময় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি আটকে ছিল। স্বাভাবিকের চেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে কিছু জায়গায় দ্বিগুণ সময় লেগেছে। তীব্র যানজটে গাড়ি না পেয়ে অনেকে শেষমেশ হেঁটেই রওনা করেন গন্তব্যে।

অতিরিক্ত রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় ধর্মঘটের মধ্যেও এমন যানজট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা। ধর্মঘটের তৃতীয় দিন গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ফার্মগেট, রামপুরা, মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শাহবাগ, কাকরাইল ও পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট। যেসব রাস্তায় রিকশা চলাচল একেবারেই নিষিদ্ধ, সেগুলোও দখলে ছিল রিকশার। তা ছাড়া যাত্রী তুলতে কিছু কিছু জায়গায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া হাঁকান রিকশাচালকেরা।

ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বিপুলসংখ্যক রিকশা নগরীতে ঢুকেছে। রিকশার ধীর গতি ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের গতি কমিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, রিকশার পাশাপাশি বাইরের বিপুলসংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল ঢাকায় ঢুকেছে। আর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ রোববার অফিস আদালতে যেতে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন।

হাতিরঝিলের মিরেরটেকের আবদুল কুদ্দুসের গ্যারেজের রিকশাচালক মো. রহিম আজকের পত্রিকাকে জানান, কুদ্দুসের এখানে মোট ৪০০ রিকশা আছে। স্বাভাবিক সময়ে দেড় শ রিকশা ভাড়া হয়। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসমালিক-শ্রমিকদের অবরোধে ৪০০ রিকশার সবই ভাড়া হয়ে যায়।

গাজীপুর থেকে তেজগাঁও এলাকায় রিকশা চালাতে আসা রাসেল মিয়া বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় রিকশার চাহিদা বাড়বে ভেবে আমি গাজীপুর থেকে চলে এসেছি। টানা কয়েক দিন এখানেই চালাচ্ছি। এর মধ্যে শুনলাম ধর্মঘট শেষ হইতেছে। আমি কাল (সোমবার) চলে যাব।’

রিকশাচালক আজাদ হোসেন বলেন, ‘সকালে টঙ্গী থেকে একটি ভাড়া নিয়ে আসছি রামপুরায়। পরে দেখি এখানে প্রচুর যাত্রী। যে কারণে আর ফিরে যাইনি। সারা দিন এখানেই চালাইছি।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণপরিবহনে ধর্মঘট থাকলেও অফিস খোলা ছিল। যেভাবেই হোক মানুষকে অফিসে যেতে হয়েছে। এ কারণে ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে রিকশাও বেড়েছে। রাস্তাজুড়ে ধীরগতির পরিবহন রিকশা থাকায় কিছুটা যানজট ছিল। গলি থেকে মূল সড়কে এলোমেলোভাবে রিকশা ঢুকেও যানজটের সৃষ্টি করেছে। তবে গাড়ি ধীর গতিতে চললেও যানজটই দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী ছিল না।

বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজার থেকে মালিবাগ মোড়ে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণ সময় ভাড়া ৫০ টাকা হলেও ধর্মঘটের কারণে সেই ভাড়াই এখন দেড় শ টাকা চাইছে রিকশাচালকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত