আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও গতকাল শনিবারও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় আটকা পড়েছেন পর্যটকেরা। বান্দরবানে প্রায় এক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে বাস না পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অধিক ভাড়া দিয়ে জিপ, মাইক্রো, অটোরিকশায় করে যেতে দেখা গেছে।
বান্দরবান থেকে বদরুল ইসলাম মাসুদ, খাগড়াছড়ি থেকে সমির মল্লিক ও রাঙামাটি থেকে হিমেল চাকমার পাঠানো খবর:
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, কর্মস্থলী ফেরা আসায় গতকাল শনিবার সকালে বান্দরবান স্টেশনের বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী ও পর্যটকদের দেখা যায়। । বিশেষ করে বান্দরবানে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক রোববার অফিস-ব্যবসায়িক কাজে যোগ দিতে এসে বাস না চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে বাস না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অধিক ভাড়া দিয়ে জিপ, মাইক্রো, অটোরিকশায় করে যেতে দেখা গেছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে বান্দরবান থাকতে গিয়ে তাঁদের অর্থ সংকটে পড়তে হবে।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. জাফরসহ কয়েকটি হোটেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি হোটেলেই ১০ থেকে ১৫ জন নতুন করে শনিবার রুম বুকিং দিয়েছেন। এ হিসেবে বান্দরবানে ছোটবড় আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ বাস ধর্মঘটের কারণে শনিবার আটকা পড়েছেন।
বান্দরবান-চট্টগ্রাম পূর্বাণী চেয়ারকোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে যেদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে সেদিন বান্দরবানেও ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
বান্দরবান শৈলশোভা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল কুদ্দুছ শনিবার জানান, কর্মসূচি শেষ হলেই বাস চলাচলে শ্রমিকেরা প্রস্তুত।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, জ্বালানি তৈলের দাম বৃদ্ধি করায় খাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী গাড়িগুলোর ভাড়া বাড়িয়েছে পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতি ও জিপ মালিক সমিতি। হঠাৎ করে ভাড়া বাড়ায় বিপাকে পরেছে পর্যটকেরা।
খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেবনাথ ও পার্বত্য যানবাহন মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়টি জানান। এতে খাগড়াছড়ি-সাজেক রুটে পর্যটকবাহী রুটে গাড়ি প্রতি ভাড়া বেড়েছে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া রাত্রি যাপনসহ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্রমণের ভাড়া ৭ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে অচল খাগড়াছড়ি। সকাল থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ সারা দেশের দূরপাল্লা যাত্রী ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে পর্যটকেরা ব্যক্তিগত গাড়ি, রিজার্ভ গাড়িতে করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি শান্তি পরিবহন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান খোকন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছি। তবে আমরা কোনো পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছি না। পর্যটকেরা হায়েচ-মাইক্রো ভাড়া করে গন্তব্য ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি শহরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক থাকায় পরিবহন ধর্মঘটেও রাঙামাটি আসা যাওয়া করছেন পর্যটকেরা। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসা যাওয়া করছেন। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, পরিবহন ধর্মঘটে তাদের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
পর্যটন ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের টুরিস্টরা অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসেন। ফলে আমাদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট চলছে ঠিকই আমাদের হোটেল মোটেলে পর্যটক আসা যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। আসা যাওয়ার অনেক মাধ্যম থাকায় কোনো টুরিস্ট আটকা পড়েনি।’
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও গতকাল শনিবারও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় আটকা পড়েছেন পর্যটকেরা। বান্দরবানে প্রায় এক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে বাস না পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অধিক ভাড়া দিয়ে জিপ, মাইক্রো, অটোরিকশায় করে যেতে দেখা গেছে।
বান্দরবান থেকে বদরুল ইসলাম মাসুদ, খাগড়াছড়ি থেকে সমির মল্লিক ও রাঙামাটি থেকে হিমেল চাকমার পাঠানো খবর:
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, কর্মস্থলী ফেরা আসায় গতকাল শনিবার সকালে বান্দরবান স্টেশনের বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী ও পর্যটকদের দেখা যায়। । বিশেষ করে বান্দরবানে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক রোববার অফিস-ব্যবসায়িক কাজে যোগ দিতে এসে বাস না চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে বাস না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অধিক ভাড়া দিয়ে জিপ, মাইক্রো, অটোরিকশায় করে যেতে দেখা গেছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে বান্দরবান থাকতে গিয়ে তাঁদের অর্থ সংকটে পড়তে হবে।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. জাফরসহ কয়েকটি হোটেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি হোটেলেই ১০ থেকে ১৫ জন নতুন করে শনিবার রুম বুকিং দিয়েছেন। এ হিসেবে বান্দরবানে ছোটবড় আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ বাস ধর্মঘটের কারণে শনিবার আটকা পড়েছেন।
বান্দরবান-চট্টগ্রাম পূর্বাণী চেয়ারকোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে যেদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে সেদিন বান্দরবানেও ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
বান্দরবান শৈলশোভা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল কুদ্দুছ শনিবার জানান, কর্মসূচি শেষ হলেই বাস চলাচলে শ্রমিকেরা প্রস্তুত।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, জ্বালানি তৈলের দাম বৃদ্ধি করায় খাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী গাড়িগুলোর ভাড়া বাড়িয়েছে পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতি ও জিপ মালিক সমিতি। হঠাৎ করে ভাড়া বাড়ায় বিপাকে পরেছে পর্যটকেরা।
খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেবনাথ ও পার্বত্য যানবাহন মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়টি জানান। এতে খাগড়াছড়ি-সাজেক রুটে পর্যটকবাহী রুটে গাড়ি প্রতি ভাড়া বেড়েছে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া রাত্রি যাপনসহ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্রমণের ভাড়া ৭ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে অচল খাগড়াছড়ি। সকাল থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ সারা দেশের দূরপাল্লা যাত্রী ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে পর্যটকেরা ব্যক্তিগত গাড়ি, রিজার্ভ গাড়িতে করে গন্তব্যে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি শান্তি পরিবহন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান খোকন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছি। তবে আমরা কোনো পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছি না। পর্যটকেরা হায়েচ-মাইক্রো ভাড়া করে গন্তব্য ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি শহরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক থাকায় পরিবহন ধর্মঘটেও রাঙামাটি আসা যাওয়া করছেন পর্যটকেরা। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসা যাওয়া করছেন। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, পরিবহন ধর্মঘটে তাদের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
পর্যটন ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের টুরিস্টরা অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসেন। ফলে আমাদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট চলছে ঠিকই আমাদের হোটেল মোটেলে পর্যটক আসা যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। আসা যাওয়ার অনেক মাধ্যম থাকায় কোনো টুরিস্ট আটকা পড়েনি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪