Ajker Patrika

ওয়ানডে সেঞ্চুরি রূপান্তরে অনন্য লিটন

প্রিন্স রাসেল, ঢাকা
ওয়ানডে সেঞ্চুরি রূপান্তরে অনন্য লিটন

রশিদ খানকে সীমানা পার করেই লিটন দাসের মুখে তৃপ্তির হাসি। হেলমেটে চুমু আঁকলেন। ব্যাট ও হেলমেট উঁচিয়ে জবাব দিলেন দর্শকদের অভিবাদনের। প্রায় সাত বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা ডানহাতি ওপেনারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, সাত মাসের মধ্যে লিটনকে এমন ছবিতে দেখা গেল চতুর্থবার!

অবাক হওয়ার কথা কেন, লিটনের ব্যাটিংয়ে ঠিক বিপরীত চিত্র যে লাল বলে। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বশেষ এক বছরে সেঞ্চুরি হাতছাড়ার ঘটনা নেহাত কম নয়। এই সময়ে ১২ ফিফটির মাত্র একটিকেই তিন অঙ্কে রূপ দিতে পেরেছেন লিটন। সেখানে ওয়ানডেতে সাত মাসেই চারটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর। ৪৯তম ইনিংসে এসে পেলেন এক দিনের ক্রিকেটে পঞ্চম শতক। যেটা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম।

প্রথম পাঁচ সেঞ্চুরির জন্য সাকিব আল হাসানকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯৩ ইনিংস পর্যন্ত। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের সেঞ্চুরি এখন সাতটি। এর ছয়টিই এসেছে গত দুই বছরের মধ্যে। সাদা পোশাকের ইনিংসগুলো পূর্ণতা দিতে না পারার আফসোসটা রঙিন পোশাকে কিছুটা হলেও ঘোচাচ্ছেন লিটন। সেঞ্চুরির এমন ধারাবাহিকতা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।

অথচ ওয়ানডে সংস্করণে লিটনের ফিফটি আছে শুধু তিনটি। আসলে ইনিংস একটু বড় হলেই সেটার চূড়ান্ত পরিণতি দেওয়াটা একরকম অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন লিটন। এই দুই বছরের উন্নতি নিয়ে অবশ্য বিশেষ কিছু বলেননি লিটন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওপেনার বলেছেন, ‘খেলার মাইন্ডসেট (গুরুত্বপূর্ণ)। মাঝে আমি অনেক ইনিংস খারাপও খেলেছি। ক্রিকেট এমনই। একদিন বড় ইনিংস খেলতে পারবেন, একদিন পারবেন না।’

গতকাল পেরেছেন লিটন। বাংলাদেশ ওপেনারের ১২৬ বলে ১৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল নান্দনিকতা আর স্ট্রোকের বাহার। তাঁর ব্যাটিংয়ে ফরিদ আহমেদ এতটাই মুগ্ধ হলেন যে শিকারের উদ্‌যাপন বাদ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলেন। শুধু প্রতিপক্ষ বোলারের অভিনন্দনই নয়, লিটনকে কুর্নিশ করেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক-কিপারসহ কয়েকজন। ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটারের ইনিংসে খুঁত বলতে ৮৭ রানে জীবন পাওয়াটা।

মুজিবউর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিলেও তা নিতে পারেননি আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি। জীবন পাওয়া লিটনের ব্যাট যেন তলোয়ার হয়ে উঠল। তাতে কচুকাটা করলেন রশিদ-নবী-ফারুকিদের। শেষ পর্যন্ত ১৬ চার ও দুই ছক্কা মেরে থামলেন লিটন। ততক্ষণে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে যৌথভাবে একটা রেকর্ড হয়ে গেল তাঁর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ২০২ রান। যা এই জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের দুই রেকর্ডেও অবশ্য নাম আছে মুশির।

ইনিংস লম্বা করতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কতটা বদলেছেন লিটন, সেটি খুলেই বলেছেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি কীভাবে পরিকল্পনা করছেন। খেলা নিয়ে কীভাবে চিন্তা করছেন। দ্রুত আমি আউট হওয়া মানে দল চাপে পড়ে যাওয়া। আমার মনে হয় এই জিনিসটা নিজে থেকে পরিবর্তন করা প্রত্যেক ব্যাটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তা করেছি। ভেবেছি আমার উইকেটের মূল্য আছে। নিজেই মূল্যটা দিতে চেয়েছি। আশা করি সামনেও পারব।’

লিটন সামনে যত এটা করবেন, তত বেশি উপকৃত হবে বাংলাদেশ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত