নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারটা চলছিল মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই। কিন্তু বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা ও ১২ দলীয় জোট হুট করে এতে সংহতি জানিয়ে বসায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এখন এ থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজছে তারা।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপির সমর্থনের বিষয়টিকে তেমন বড় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরতে চাইবেন না তাঁরা। কেননা, এ নিয়ে যত নাড়াচাড়া হবে, দেশের ভেতরে ভারতবিরোধী মনোভাব তত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে। তাই বিষয়টিকে যতটা পারা যায়, হালকা করে ফেলাই হবে এখন তাঁদের মূল কৌশল। রাজনৈতিক হাস্যরসের মাধ্যমে তাঁরা জনগণের কাছে দেখাতে চাইবেন, দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরে সভা-সমাবেশে ক্ষমতাসীনরা বারবার প্রচার করবে–এমনটা চাইলেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করা যায় না।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি কথার কথা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো মনে করি, তাদের (ভারতের) সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোই আমাদের দায়িত্ব। ওরা যে (বিএনপি) বড় বড় কথা বলে, ওদের পরিবারের সদস্যরা কি ভারতীয় পোশাক পরে না? ভারতীয় খাবার খায় না? এটা কেমন কথা? এটা বলতে হয়, তাই বলছে। ভারতবিরোধী বলে চমক দেখানোর জন্যই বলছে।’
তবে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে মনে করেন, দেশে একশ্রেণির মানুষের মাঝে ভারতবিদ্বেষ রয়েছে, সেটা সত্য। সেটাকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু দেশের বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে এটা মেলে না। কারণ, কয়েকটি নিত্যপণ্যের জন্য বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরি ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা হঠকারী বলেও মনে করেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, বিএনপি সব সময়ই অভিযোগ করে এসেছে যে আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী। তবে জনগণ এটি গ্রহণ করছে বলে মনে হয় না। কারণ, ভারতের সহযোগিতার কারণে আমরা যেমন স্বাধীন হয়েছি, আবার আমাদের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে। এখন একশ্রেণির মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে অপরাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির অবস্থান রাজনৈতিক। এটার সঙ্গে বাস্তবতার, আমদানি-রপ্তানির সম্পর্ক নেই। তারা একটা রাজনৈতিক স্টান্ট নিয়েছে। সামনে ভারতের নির্বাচন। এখন তারা কার পক্ষ হয়ে এই পথে চলেছে, বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে।
বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ কীভাবে মোকাবিলা করতে চাইবে, জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ব্যাপারটাকে গুরুত্ব না দেওয়া। এটা আমার গুরুত্বের তালিকার কোথাও নেই।’
সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুর্দিন, দুঃসময়কার যারা (ভারত) বন্ধু, যাদের দিয়ে, যাদের সহযোগিতা ও সাহায্যে এবং বন্ধুত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই বন্ধুকে বর্জন করার অর্থই হলো পরাজিত শক্তিকে নতুন করে আহ্বান করার অপচেষ্টা। সেটাকে রুখে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। আমরা মানুষকে সেই আহ্বান জানাব।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারটা চলছিল মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই। কিন্তু বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা ও ১২ দলীয় জোট হুট করে এতে সংহতি জানিয়ে বসায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এখন এ থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজছে তারা।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপির সমর্থনের বিষয়টিকে তেমন বড় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরতে চাইবেন না তাঁরা। কেননা, এ নিয়ে যত নাড়াচাড়া হবে, দেশের ভেতরে ভারতবিরোধী মনোভাব তত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে। তাই বিষয়টিকে যতটা পারা যায়, হালকা করে ফেলাই হবে এখন তাঁদের মূল কৌশল। রাজনৈতিক হাস্যরসের মাধ্যমে তাঁরা জনগণের কাছে দেখাতে চাইবেন, দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরে সভা-সমাবেশে ক্ষমতাসীনরা বারবার প্রচার করবে–এমনটা চাইলেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করা যায় না।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি কথার কথা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো মনে করি, তাদের (ভারতের) সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোই আমাদের দায়িত্ব। ওরা যে (বিএনপি) বড় বড় কথা বলে, ওদের পরিবারের সদস্যরা কি ভারতীয় পোশাক পরে না? ভারতীয় খাবার খায় না? এটা কেমন কথা? এটা বলতে হয়, তাই বলছে। ভারতবিরোধী বলে চমক দেখানোর জন্যই বলছে।’
তবে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে মনে করেন, দেশে একশ্রেণির মানুষের মাঝে ভারতবিদ্বেষ রয়েছে, সেটা সত্য। সেটাকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু দেশের বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে এটা মেলে না। কারণ, কয়েকটি নিত্যপণ্যের জন্য বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরি ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা হঠকারী বলেও মনে করেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, বিএনপি সব সময়ই অভিযোগ করে এসেছে যে আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী। তবে জনগণ এটি গ্রহণ করছে বলে মনে হয় না। কারণ, ভারতের সহযোগিতার কারণে আমরা যেমন স্বাধীন হয়েছি, আবার আমাদের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে। এখন একশ্রেণির মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে অপরাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির অবস্থান রাজনৈতিক। এটার সঙ্গে বাস্তবতার, আমদানি-রপ্তানির সম্পর্ক নেই। তারা একটা রাজনৈতিক স্টান্ট নিয়েছে। সামনে ভারতের নির্বাচন। এখন তারা কার পক্ষ হয়ে এই পথে চলেছে, বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে।
বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ কীভাবে মোকাবিলা করতে চাইবে, জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ব্যাপারটাকে গুরুত্ব না দেওয়া। এটা আমার গুরুত্বের তালিকার কোথাও নেই।’
সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুর্দিন, দুঃসময়কার যারা (ভারত) বন্ধু, যাদের দিয়ে, যাদের সহযোগিতা ও সাহায্যে এবং বন্ধুত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই বন্ধুকে বর্জন করার অর্থই হলো পরাজিত শক্তিকে নতুন করে আহ্বান করার অপচেষ্টা। সেটাকে রুখে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। আমরা মানুষকে সেই আহ্বান জানাব।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫