Ajker Patrika

পতিত জমিতে তুলা চাষে খোদেজার সাফল্য

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৩
পতিত জমিতে তুলা চাষে খোদেজার সাফল্য

হালুয়াঘাট উপজেলায় পাহাড়ি এলাকায় উঁচু জমিতে সেচসংকটে ধান চাষের প্রবণতা কমে যাওয়ায় অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকত। সেখানে কোনো ধরনের ফসল হতো না। সেই জমিতে একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো তুলা চাষে সাফল্য পেয়েছেন এক নারী।

ওই নারীর নাম মোছা. খোদেজা বেগম। তার বাড়ি ভূবনকুড়া ইউনিয়নের গোবরাকুড়া এলাকায়। তাঁর কোনো ফসলি জায়গা জমি ছিল না। খোদেজার বাড়ির পাশে কিছু অনাবাদি জমি ছিল। সেচের সুবিধা না থাকায় বছরের পর বছর সে জমি পতিত থাকত।

এর মধ্যে ওই নারীকে স্থানীয় ফ্রেন্ডশিপ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা তুলা চাষে করতে আগ্রহী করে তোলেন। এরপর স্থানীয় কৃষি কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো ২৫ শতাংশ জমিতে তুলা চাষ করেন তিনি। প্রথমবারের মতো তুলা চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হালুয়াঘাটের পাহাড়ি এলাকা তুলা চাষের জন্য উপযোগী। এখানে যেসব অনাবাদি জমি রয়েছে তা তুলা চাষের আওতায় আনলে একদিকে জমিগুলো চাষবাদের আওতায় আসবে, অন্যদিকে কৃষকেরাও উপকৃত হবেন। এলাকার কৃষকেরা এসব পতিত জমিতে কম সেচের মাধ্যমে তুলা চাষে সাফল্য পাবেন।

জানতে চাইলে খোদেজা বেগম বলেন, ‘ফ্রেন্ডশিপ সংগঠনের স্যারেরা আমারে সহযোগিতা করছে। নতুন জিনিস কইরা দেখলাম শিখলাম, এহন দেহি ভালা অইছে। আগামীতে আরও বেশি কইরা করাম।’

ফ্রেন্ডশিপের প্রকল্প কর্মকর্তা ফজলুর রহমান আরিফ বলেন, উপজেলায় প্রায় ৬ বিঘার মতো জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে খোদেজা বেগমও দেখিয়ে দিয়েছেন শুধু পুরুষেরাই এ তুলা চাষ করতে পারেন না, নারীরাও পারেন।

কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসাদুর রহমান বলেন, হালুয়াঘাটে পাহাড়ি এলাকার এই পতিত জমিগুলো তুলা চাষের জন্য উপযোগী। এসব জমিতে তুলা চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত