কাউনিয়া প্রতিনিধি
উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। পানি বাড়ছে হু হু করে। ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। তীরবর্তী গ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কাউনিয়ায় রেলওয়ে সেতু পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচে।
গতকাল দুপুরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যে কিছু চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। চরগনাই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শুকনো মৌসুমে যেখানে নৌকা চলত না, সেখানে এখন নদী ফুঁসে উঠেছে। আবাদি জমির বাদামসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে পাড় ভেঙে নদী লোকালয়ে চলে এসেছে। অনেকেই ভাঙনের ভয়ে বসতবাড়ি সরিয়ে রাস্তার ধারে কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় হামার সব শ্যাষ হয়া গেইছিল। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থাকি নদীত পানি বাড়বের নাগছে। ঘরের কিনারত পানি আইছে। কখন যে ঘরত পানি উঠে। ছাওয়া পোয়াক নিয়া কোনটে যামো, এই চিন্তায় কাজত যাবার পাবার নাগছি না। যদি এবার বন্যা হয়, তাইলে খাইম কী, চলিম কী করি!’
চরগনাইয়ের আরেক বাসিন্দা জমিরা বেগম বলেন, ‘তিস্তা ভাঙতে ভাঙতে বসতভিটার কানিত আসছে। কখন যে ভিটাক্যান নদীত ভাঙি যায়। এল্যা কোনটে জামো কবার পাই না।’
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে বন্যার ঝুঁকিতে ছয়টি মৌজা রয়েছে। ভোর থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। তীরবর্তী হরিচরণশর্মা, আজমখা, হয়বৎখা, বিশ্বনাথ ও চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তীরবর্তী কিছু এলাকা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে গত কয়েক দিনে চরগনাই গ্রামের অন্তত ১০টি বসতবাড়ি এবং কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বাঁশ পুঁতে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। অনেকে ভাঙনের ভয়ে বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলার বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, তিস্তা খনন না হওয়ায় পলি জমে নদীর মধ্যভাগ উঁচু হয়ে গেছে। ফলে উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং বৃষ্টির পানিতে নদী ভরে গিয়ে বন্যায় বসতবাড়ি ও আবাদি জমিগুলো তলিয়ে যায়, গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তিনি বলেন, যে গতিতে তিস্তায় পানি বাড়ছে, তাতে তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান হাবিব সরকার বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার শঙ্কার সতর্কীকরণ বার্তা পাঠিয়েছে। তীরবর্তী কিছু এলাকায় নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সরকারিভাবে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ঢাকা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। এ সময় রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আহসান হাবীব জানান, উজানের ঢলে গত কয়েক দিন ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। গতকাল বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে একেবারে কাছ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবোর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, পানির প্রবল স্রোতের চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি কপাট খুলে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাটির চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির প্রবাহ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঢাকা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নদী অববাহিকায় বা চরাঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারণকে সতর্ক করতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। পানি বাড়ছে হু হু করে। ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। তীরবর্তী গ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কাউনিয়ায় রেলওয়ে সেতু পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচে।
গতকাল দুপুরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যে কিছু চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। চরগনাই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শুকনো মৌসুমে যেখানে নৌকা চলত না, সেখানে এখন নদী ফুঁসে উঠেছে। আবাদি জমির বাদামসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে পাড় ভেঙে নদী লোকালয়ে চলে এসেছে। অনেকেই ভাঙনের ভয়ে বসতবাড়ি সরিয়ে রাস্তার ধারে কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় হামার সব শ্যাষ হয়া গেইছিল। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থাকি নদীত পানি বাড়বের নাগছে। ঘরের কিনারত পানি আইছে। কখন যে ঘরত পানি উঠে। ছাওয়া পোয়াক নিয়া কোনটে যামো, এই চিন্তায় কাজত যাবার পাবার নাগছি না। যদি এবার বন্যা হয়, তাইলে খাইম কী, চলিম কী করি!’
চরগনাইয়ের আরেক বাসিন্দা জমিরা বেগম বলেন, ‘তিস্তা ভাঙতে ভাঙতে বসতভিটার কানিত আসছে। কখন যে ভিটাক্যান নদীত ভাঙি যায়। এল্যা কোনটে জামো কবার পাই না।’
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে বন্যার ঝুঁকিতে ছয়টি মৌজা রয়েছে। ভোর থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। তীরবর্তী হরিচরণশর্মা, আজমখা, হয়বৎখা, বিশ্বনাথ ও চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তীরবর্তী কিছু এলাকা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে গত কয়েক দিনে চরগনাই গ্রামের অন্তত ১০টি বসতবাড়ি এবং কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বাঁশ পুঁতে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। অনেকে ভাঙনের ভয়ে বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলার বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, তিস্তা খনন না হওয়ায় পলি জমে নদীর মধ্যভাগ উঁচু হয়ে গেছে। ফলে উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং বৃষ্টির পানিতে নদী ভরে গিয়ে বন্যায় বসতবাড়ি ও আবাদি জমিগুলো তলিয়ে যায়, গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। তিনি বলেন, যে গতিতে তিস্তায় পানি বাড়ছে, তাতে তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান হাবিব সরকার বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার শঙ্কার সতর্কীকরণ বার্তা পাঠিয়েছে। তীরবর্তী কিছু এলাকায় নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সরকারিভাবে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ঢাকা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। এ সময় রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আহসান হাবীব জানান, উজানের ঢলে গত কয়েক দিন ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। গতকাল বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে একেবারে কাছ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবোর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, পানির প্রবল স্রোতের চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি কপাট খুলে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাটির চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির প্রবাহ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঢাকা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নদী অববাহিকায় বা চরাঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারণকে সতর্ক করতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪