নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
ছবিটা বেশ ভাইরাল হয়েছে ম্যাচের পর। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শামীম পাটোয়ারীর আউটে মেজাজ হারিয়ে বাংলাদেশ প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মাথার ক্যাপ হাতে নিয়ে ছুড়ে মারতে গিয়েও নিজেকে সামলেছেন। রাগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ, সহজেই বোঝা যাচ্ছিল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি তখন জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের দরকার ১৮ রান। বল বাকি ১৬টি। টি-টোয়েন্টিতে এ আর এমন কি! পঞ্চম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়া তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন যেভাবে খেলেছেন—এখান থেকে ম্যাচটা তাঁরা শেষ করবেন, এটাই প্রত্যাশিত।
অবশ্য সব নিজেদের পরিকল্পনামতো হলে ক্রিকেট আর গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হয় কীভাবে! ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’ বাড়াতেই রশিদ খানের বলে শামীম নিজের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছুড়ে এলেন। শামীমের আউটের পরই হাথুরুর মেজাজ হারানো। তীক্ষ্ণ ক্রিকেট মস্তিষ্কের হাথুরু চট করে বুঝলেন, টিভি ক্যামেরা আছে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ২০১৭ সালের মার্চে পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টে লক্ষ্য তাড়া করার পথে তামিম ইকবাল দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাতছাড়া করায় হাথুরু একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন।
এসব মুহূর্তে হাথুরু কেন রেগে যান? তিনি চান, যে কাজটা স্বাভাবিকভাবেই শেষ করে আসা যায়, তখন কেন অহেতুক আবেগতাড়িত হয়ে সব সম্ভাবনা নষ্ট করে দেওয়া। তাই তো তিনি কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আবেগ ম্যাচ জেতায় না, জেতায় খেলোয়াড়ের স্কিল।’ গত পরশু সিলেটেও তাঁর চাওয়াটা এমন ছিল, ম্যাচটা হৃদয়-শামীমের জুটিই শেষ করে আসুক। স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে নিজেদের শেষ করে আসার কাজটা নতুন একজন ব্যাটারের ওপর চাপানো মানে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। আর সেট হওয়া ব্যাটারের চেয়ে নতুন (সেটিও যদি হয় লেজের) কারও পক্ষে কাজটা হয়ে যায় অনেক কঠিন।
যে ভুলে ২০১৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছিল, সেই দৃশ্য যেন ফিরে এসেছিল সিলেটেও। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ভুলে ৩ বলে ২ রান নিতে না পারার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তিই হতে বসেছিল পরশু। শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিকে আফগানরা যেন হঠাৎ স্পন্দন খুঁজে পেয়েছিল। অথচ এই জানাতের করা প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক বাউন্ডারিতে সমীকরণটা সহজ করে এনেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ওই মুহূর্তে একটি বাউন্ডারি মেরে মিরাজের মনে হলো, বিলাসী শটেই দলের জয় নিশ্চিত করবেন। আর তখনই টপাটপ ৩ উইকেট নেই! সবারই পুরোনো রোগে ধরল—গ্লোরিয়াস শটে ম্যাচ শেষ করে আসার ভাবনা। পা পিছলে পড়তে পড়তে শেষরক্ষা করেছেন শরীফুল ইসলাম। অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ার আগে ড্রেসিংরুমে তখন কী কথাবার্তা চলছিল, মাঠে নামার সময় হাথুরু কী বলেছিলেন, সেট শরীফুল নিজেই গতকাল বলেছেন এভাবে, ‘১ ওভারে ৬ রান লাগে। মিরাজ ভাই যখন চার মারে, তখন আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম, আমরা জিতে যাব। আমি মোস্তাফিজ ভাই, নাসুম ভাই নির্ভার। একটা প্যাডও খুলে ফেলছিলাম। যখন মিরাজ ভাই আউট হলো, তখন আবার প্যাড পরতে লাগলাম। তাসকিন ভাই আউট হওয়ার পর ধীরে ধীরে নিচে গেলাম। আমি যাচ্ছিলাম, কোচ আমাকে বলল, তুমি পারবা। শুধু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাবে, সহজ হয়ে যাবে।’
হাথুরুর কথা রাখতে পেরেছেন শরীফুল। দারুণ এক কাট শটে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে বাংলাদেশকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দেন তিনি। আফগানদের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেলেও চাপের মুহূর্তে বিলাসী শটে আত্মহননের বিষয়টি কিন্তু আড়াল হচ্ছে না।
ছবিটা বেশ ভাইরাল হয়েছে ম্যাচের পর। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শামীম পাটোয়ারীর আউটে মেজাজ হারিয়ে বাংলাদেশ প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মাথার ক্যাপ হাতে নিয়ে ছুড়ে মারতে গিয়েও নিজেকে সামলেছেন। রাগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ, সহজেই বোঝা যাচ্ছিল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি তখন জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের দরকার ১৮ রান। বল বাকি ১৬টি। টি-টোয়েন্টিতে এ আর এমন কি! পঞ্চম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়া তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন যেভাবে খেলেছেন—এখান থেকে ম্যাচটা তাঁরা শেষ করবেন, এটাই প্রত্যাশিত।
অবশ্য সব নিজেদের পরিকল্পনামতো হলে ক্রিকেট আর গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হয় কীভাবে! ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’ বাড়াতেই রশিদ খানের বলে শামীম নিজের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছুড়ে এলেন। শামীমের আউটের পরই হাথুরুর মেজাজ হারানো। তীক্ষ্ণ ক্রিকেট মস্তিষ্কের হাথুরু চট করে বুঝলেন, টিভি ক্যামেরা আছে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ২০১৭ সালের মার্চে পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম টেস্টে লক্ষ্য তাড়া করার পথে তামিম ইকবাল দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাতছাড়া করায় হাথুরু একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন।
এসব মুহূর্তে হাথুরু কেন রেগে যান? তিনি চান, যে কাজটা স্বাভাবিকভাবেই শেষ করে আসা যায়, তখন কেন অহেতুক আবেগতাড়িত হয়ে সব সম্ভাবনা নষ্ট করে দেওয়া। তাই তো তিনি কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আবেগ ম্যাচ জেতায় না, জেতায় খেলোয়াড়ের স্কিল।’ গত পরশু সিলেটেও তাঁর চাওয়াটা এমন ছিল, ম্যাচটা হৃদয়-শামীমের জুটিই শেষ করে আসুক। স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে নিজেদের শেষ করে আসার কাজটা নতুন একজন ব্যাটারের ওপর চাপানো মানে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। আর সেট হওয়া ব্যাটারের চেয়ে নতুন (সেটিও যদি হয় লেজের) কারও পক্ষে কাজটা হয়ে যায় অনেক কঠিন।
যে ভুলে ২০১৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছিল, সেই দৃশ্য যেন ফিরে এসেছিল সিলেটেও। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ভুলে ৩ বলে ২ রান নিতে না পারার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তিই হতে বসেছিল পরশু। শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিকে আফগানরা যেন হঠাৎ স্পন্দন খুঁজে পেয়েছিল। অথচ এই জানাতের করা প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক বাউন্ডারিতে সমীকরণটা সহজ করে এনেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ওই মুহূর্তে একটি বাউন্ডারি মেরে মিরাজের মনে হলো, বিলাসী শটেই দলের জয় নিশ্চিত করবেন। আর তখনই টপাটপ ৩ উইকেট নেই! সবারই পুরোনো রোগে ধরল—গ্লোরিয়াস শটে ম্যাচ শেষ করে আসার ভাবনা। পা পিছলে পড়তে পড়তে শেষরক্ষা করেছেন শরীফুল ইসলাম। অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ার আগে ড্রেসিংরুমে তখন কী কথাবার্তা চলছিল, মাঠে নামার সময় হাথুরু কী বলেছিলেন, সেট শরীফুল নিজেই গতকাল বলেছেন এভাবে, ‘১ ওভারে ৬ রান লাগে। মিরাজ ভাই যখন চার মারে, তখন আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম, আমরা জিতে যাব। আমি মোস্তাফিজ ভাই, নাসুম ভাই নির্ভার। একটা প্যাডও খুলে ফেলছিলাম। যখন মিরাজ ভাই আউট হলো, তখন আবার প্যাড পরতে লাগলাম। তাসকিন ভাই আউট হওয়ার পর ধীরে ধীরে নিচে গেলাম। আমি যাচ্ছিলাম, কোচ আমাকে বলল, তুমি পারবা। শুধু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাবে, সহজ হয়ে যাবে।’
হাথুরুর কথা রাখতে পেরেছেন শরীফুল। দারুণ এক কাট শটে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে বাংলাদেশকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দেন তিনি। আফগানদের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেলেও চাপের মুহূর্তে বিলাসী শটে আত্মহননের বিষয়টি কিন্তু আড়াল হচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪