Ajker Patrika

বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের সংকট

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ১৩: ৩৪
বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের সংকট

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নে বন্যায় প্লাবিত ও পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা বেশি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।

সরজমিন উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের বালুগ্রাম দক্ষিণ পাড়া, চাকুরিয়া, গুচ্ছগ্রাম ও গুজিমারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের ঘরের মেঝে পানিতে ডুবে গেছে।

পানি থই থই করছে। ডুবে গেছে টয়লেট, টিউবওয়েল, রান্নার চুলা। বাঁচার তাগিদে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু বাঁধ, স্কুলসহ অন্যান্য উঁচু স্থানে।

গুজিমারি গুচ্ছ গ্রামের বাবু মিয়া বলেন, ‘বন্যার শুরুতেই বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এক সপ্তাহ যাবৎ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’ তিনি ত্রাণসহায়তা পেয়েছেন বলে জানান। তবে বসতবাড়ি ফেলে রেখে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে জাননি তাঁদের অনেকেই সরকারি ত্রাণসহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

চাকুরিয়া গ্রামের ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ সোবহান মিয়া বলেন, ‘বন্যায় গৃহবন্দী হয়ে আছি। শুনেছি অনেকেই সরকারি সহায়তা পাচ্ছে, তবে আমি এখনো কিছু পাইনি। ’

বালুগ্রাম দক্ষিণপাড়ার পারুল বলেন, ‘বন্যায় আমি কোনো ত্রাণসহায়তা পাইনি। যাদের নাম তালিকায় আছে তারাই ত্রাণ পেয়েছে। আমিসহ আরও অনেকেই সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাইনি।’

চাকুরিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আছিনা, খোরশেদা, রহিমা, হাফেজা, সুরতি বলেন, ‘শুনেছি নৌকায় চড়ে চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহায্য দিয়ে গেছে, কিন্তু আমরা এবারের বন্যায় কোনো ত্রাণ পাইনি।’

এদিকে বালুগ্রামের জালাল মিয়া বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় চুকাইবাড়ি ও চিকাজানী ইউনিয়ন বন্যায়ই প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাড়িঘরে পানি ওঠে এলাকাবাসী হয়ে পড়ে পানিবন্দী। ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকাকে বন্যার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন। তিনি এ সময় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।’

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, এবারের বন্যায় চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য সরকারি একেএম কলেজ, রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ৩০০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুনাহার শেফা বলেন, ‘বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া বন্যার জন্য আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত