ওমর ফারুক, ঢাকা
জাতীয় দলের বেশির ভাগ সতীর্থ যখন জমজমাট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে ব্যস্ত, হনুমা বিহারির সময় কাটছে তখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলে। অবশ্য হনুমার কাছে এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। গত আইপিএলেও দল না পেয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলে খেলেছিলেন ভারতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত এই সদস্য।
পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে দল না পাওয়ায় অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই হনুমার। বরং এই সময়ে ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারাটাই বড় করে দেখছেন হনুমা। দক্ষিণ ভারত থেকে উঠে আসা ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার আবাহনীর হয়ে ডিপিএল রাঙাতে চান। এরই মধ্যে ৫ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড়ে ১ সেঞ্চুরি আর ১ ফিফটিতে ২৩৭ রান করা হনুমা গত পরশু আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘এই পর্যায়ে এসে হতাশ বা খুশি হওয়ার কিছু নেই। আমি যেখানেই খেলার সুযোগ পাই, সেটা নিয়েই খুশি থাকতে চাই। অবশ্যই আমার প্রত্যাশা ও লক্ষ্য আছে (আইপিএল খেলার)। কিন্তু এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে হনুমার। চার বছর আগে ডিপিএলে তিনি খেলেছিলেন এই আবাহনীর হয়েই। অবশ্য তখনো আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা দেওয়া হয়নি তাঁর। হনুমা জানালেন, এখানে খেলাটা বেশ উপভোগ করেন তিনি, ‘আগেরবার যখন এসেছিলাম, তখন এখনকার মতো অভিজ্ঞ ছিলাম না। আমি সব সময় আবাহনীর হয়ে খেলা উপভোগ করি।’
চার বছর পর বাংলাদেশ এসে অবশ্য এখানকার ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। এ সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি ভারতীয় ক্রিকেটারকে মুগ্ধ করেছে। হায়দরাবাদের হয়ে ভারতের বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। দুই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের পার্থক্য তাঁর ভালোভাবেই জানার কথা। সেই পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে হনুমা বলেছেন, ‘পার্থক্য খুব বেশি না। বাংলাদেশে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হচ্ছে। ১২-১৩টি (ডিপিএলে) দল আছে, খেলোয়াড়দের মান প্রতিবছরই বাড়ছে। আগে যখন এসেছিলাম, কিছু ঘাটতি ছিল, যেটা এখন কাটিয়ে উঠেছে তারা। পেশাদার ক্রিকেটাররা আসছে, তারা তরুণদের সহায়তা করছে, তরুণেরাও শিখছে।’
গত কিছুদিনে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিংয়ের উন্নতিও নজর কেড়েছে হনুমার। বিদেশের মাঠে সাফল্য পেতে এটি অনেক এগিয়ে রাখে বলে মনে করেন এই ভারতীয় ব্যাটার। বললেন, ‘উপমহাদেশের দলগুলোতে সাধারণত ভালো স্পিনার থাকে। কিন্তু ভারতে এখন ভালো পেসার আছে। আমরা তাই বিদেশেও সাফল্য পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটেও এই জায়গায় উন্নতিতে মনোযোগ দিচ্ছে।’
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ টেস্ট খেলেছেন হনুমা, সাদা বলে খেলার সুযোগ তাঁর হয়নি। বাংলাদেশেও এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের ক্যারিয়ার শুধু টেস্টেই সীমাবদ্ধ। এটাকে কোনোভাবেই হতাশার বিষয় হিসেবে দেখেন না তিনি। উল্টো এক ফরম্যাটে খেলেই খুশি হনুমা বলছেন, ‘যখন ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন, সেটা যেকোনো ফরম্যাটেই হোক, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি এটাকে একটা ফরম্যাট হিসেবে দেখি না, ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ হিসেবে দেখি।’
হনুমার কথাটায় মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহিদের মতো ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আবাহনীতে হনুমার সতীর্থ আফিফ হোসেন ধ্রুবের ব্যাপারটা ঠিক উল্টো, তিনি সাদা বলের ক্রিকেটেই বেশি নিয়মিত। আফিফে মুগ্ধ হনুমা বলছেন, ‘সে খুব রোমাঞ্চকর এক খেলোয়াড়। লম্বা সময় বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবে। ও তিন বিভাগেই ভালো। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিনটিই ভালো পারে। ব্যাটিংয়ে বড় ছক্কা হাঁকাতে পারে। ম্যাচ শেষ করতে পারে। আমার মনে হয় সে এক্সাইটিং এক খেলোয়াড়।’
জাতীয় দলের বেশির ভাগ সতীর্থ যখন জমজমাট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে ব্যস্ত, হনুমা বিহারির সময় কাটছে তখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলে। অবশ্য হনুমার কাছে এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। গত আইপিএলেও দল না পেয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলে খেলেছিলেন ভারতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত এই সদস্য।
পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে দল না পাওয়ায় অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই হনুমার। বরং এই সময়ে ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারাটাই বড় করে দেখছেন হনুমা। দক্ষিণ ভারত থেকে উঠে আসা ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার আবাহনীর হয়ে ডিপিএল রাঙাতে চান। এরই মধ্যে ৫ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড়ে ১ সেঞ্চুরি আর ১ ফিফটিতে ২৩৭ রান করা হনুমা গত পরশু আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘এই পর্যায়ে এসে হতাশ বা খুশি হওয়ার কিছু নেই। আমি যেখানেই খেলার সুযোগ পাই, সেটা নিয়েই খুশি থাকতে চাই। অবশ্যই আমার প্রত্যাশা ও লক্ষ্য আছে (আইপিএল খেলার)। কিন্তু এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে হনুমার। চার বছর আগে ডিপিএলে তিনি খেলেছিলেন এই আবাহনীর হয়েই। অবশ্য তখনো আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা দেওয়া হয়নি তাঁর। হনুমা জানালেন, এখানে খেলাটা বেশ উপভোগ করেন তিনি, ‘আগেরবার যখন এসেছিলাম, তখন এখনকার মতো অভিজ্ঞ ছিলাম না। আমি সব সময় আবাহনীর হয়ে খেলা উপভোগ করি।’
চার বছর পর বাংলাদেশ এসে অবশ্য এখানকার ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। এ সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি ভারতীয় ক্রিকেটারকে মুগ্ধ করেছে। হায়দরাবাদের হয়ে ভারতের বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। দুই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের পার্থক্য তাঁর ভালোভাবেই জানার কথা। সেই পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে হনুমা বলেছেন, ‘পার্থক্য খুব বেশি না। বাংলাদেশে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হচ্ছে। ১২-১৩টি (ডিপিএলে) দল আছে, খেলোয়াড়দের মান প্রতিবছরই বাড়ছে। আগে যখন এসেছিলাম, কিছু ঘাটতি ছিল, যেটা এখন কাটিয়ে উঠেছে তারা। পেশাদার ক্রিকেটাররা আসছে, তারা তরুণদের সহায়তা করছে, তরুণেরাও শিখছে।’
গত কিছুদিনে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিংয়ের উন্নতিও নজর কেড়েছে হনুমার। বিদেশের মাঠে সাফল্য পেতে এটি অনেক এগিয়ে রাখে বলে মনে করেন এই ভারতীয় ব্যাটার। বললেন, ‘উপমহাদেশের দলগুলোতে সাধারণত ভালো স্পিনার থাকে। কিন্তু ভারতে এখন ভালো পেসার আছে। আমরা তাই বিদেশেও সাফল্য পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটেও এই জায়গায় উন্নতিতে মনোযোগ দিচ্ছে।’
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ টেস্ট খেলেছেন হনুমা, সাদা বলে খেলার সুযোগ তাঁর হয়নি। বাংলাদেশেও এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের ক্যারিয়ার শুধু টেস্টেই সীমাবদ্ধ। এটাকে কোনোভাবেই হতাশার বিষয় হিসেবে দেখেন না তিনি। উল্টো এক ফরম্যাটে খেলেই খুশি হনুমা বলছেন, ‘যখন ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন, সেটা যেকোনো ফরম্যাটেই হোক, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি এটাকে একটা ফরম্যাট হিসেবে দেখি না, ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ হিসেবে দেখি।’
হনুমার কথাটায় মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহিদের মতো ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আবাহনীতে হনুমার সতীর্থ আফিফ হোসেন ধ্রুবের ব্যাপারটা ঠিক উল্টো, তিনি সাদা বলের ক্রিকেটেই বেশি নিয়মিত। আফিফে মুগ্ধ হনুমা বলছেন, ‘সে খুব রোমাঞ্চকর এক খেলোয়াড়। লম্বা সময় বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবে। ও তিন বিভাগেই ভালো। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিনটিই ভালো পারে। ব্যাটিংয়ে বড় ছক্কা হাঁকাতে পারে। ম্যাচ শেষ করতে পারে। আমার মনে হয় সে এক্সাইটিং এক খেলোয়াড়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪