মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
গ্রীষ্মের এই প্রবল দাবদাহে মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন একদল মানুষ জানাচ্ছেন, এই গরম তাঁদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে!
কক্সবাজারের খুরুশকুল ও চৌফলদণ্ডীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে তপ্ত রোদে চিকচিক করছে সাদা সোনাখ্যাত লবণ। সাদা রঙের ওপর ঠিকরে পড়া সূর্যের প্রখর আলোয় চোখ ঝলসে যায়। বিভ্রম জাগে দৃষ্টিতে। তারপরও মানুষজন কাজ করছেন প্রচণ্ড উৎসাহে। কেউ মাঠ প্রস্তুত করছেন, কেউ মাঠে নোনাপানি তুলছেন। মাঠ থেকে লবণ কুড়িয়ে লাই ও বস্তায় ভরে গাড়ি কিংবা ট্রলারে তুলছেন কেউ। অনেকেই মাঠে গর্ত করে লবণ ঢুকিয়ে রাখছেন। কেউ লবণ নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি অথবা গুদামে। কোনো কোনো মাঠে নোনাপানিতে ঠিকরে পড়ছে গ্রীষ্মের কড়া রোদ আবার কোনো মাঠে পলিথিনের ওপর লবণ ফুটে আছে। আদুল হাকিম ও সৈয়দ আহমদ নামে চৌফলদণ্ডীর দুজন লবণচাষি জানালেন, বৈশাখের তীব্র গরম লবণ উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদ। এ বছরই সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে এই মুহূর্তে লবণের দাম ভালো আছে বলে বেশ খুশি তাঁরা। এ কারণে লবণচাষিরা এই তীব্র গরমকে মানছেন আশীর্বাদ হিসেবে!
উপকূলের ৪৫ হাজার চাষি লবণ উৎপাদনে জড়িত। শুষ্ক মৌসুমে সাগরের নোনা পানির সাহায্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লবণ উৎপাদন করা হয়। একসময় সনাতন পদ্ধতিতে চাষ হলেও এখন মাঠে পলিথিন বিছিয়ে চাষ হচ্ছে লবণের। এই প্রচণ্ড গরমে প্রায় ১০ দিন ধরে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ, রামু ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। এ বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হলেও মূলত ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বেশি লবণ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে অন্য মাসের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ লবণ উৎপাদন বাড়ে। বিসিক এবং চাষিদের হিসাব অনুসারে, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। তবে পুরো বৈশাখ মাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাকি ৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে দেশের ২৪ লাখ মেট্রিক টন লবণের বার্ষিক চাহিদা পূরণ হবে।
গত ২০ মার্চ ও ২ এপ্রিল দুইবার বৃষ্টিতে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। একবার বৃষ্টি হলে মাঠে পুনরায় উৎপাদনে যেতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যায়। তবে মৌসুম শেষের আগে কালবৈশাখীর তাণ্ডব বা ঝড়-বৃষ্টি হলে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে।
বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহের ফলে এখন দৈনিক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন করে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ উৎপাদন। ইতিমধ্যে উৎপাদন ১৮ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪১০ থেকে ৪২০ টাকায়।
ফেসবুকে আমরা যতই মাতম তুলি না কেন, গরমেরও যে ভীষণ উপকারিতা আছে, সেটা কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকার লবণের মাঠগুলোতে না ঘুরলে বোঝা যাবে না।
গ্রীষ্মের এই প্রবল দাবদাহে মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন একদল মানুষ জানাচ্ছেন, এই গরম তাঁদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে!
কক্সবাজারের খুরুশকুল ও চৌফলদণ্ডীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে তপ্ত রোদে চিকচিক করছে সাদা সোনাখ্যাত লবণ। সাদা রঙের ওপর ঠিকরে পড়া সূর্যের প্রখর আলোয় চোখ ঝলসে যায়। বিভ্রম জাগে দৃষ্টিতে। তারপরও মানুষজন কাজ করছেন প্রচণ্ড উৎসাহে। কেউ মাঠ প্রস্তুত করছেন, কেউ মাঠে নোনাপানি তুলছেন। মাঠ থেকে লবণ কুড়িয়ে লাই ও বস্তায় ভরে গাড়ি কিংবা ট্রলারে তুলছেন কেউ। অনেকেই মাঠে গর্ত করে লবণ ঢুকিয়ে রাখছেন। কেউ লবণ নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি অথবা গুদামে। কোনো কোনো মাঠে নোনাপানিতে ঠিকরে পড়ছে গ্রীষ্মের কড়া রোদ আবার কোনো মাঠে পলিথিনের ওপর লবণ ফুটে আছে। আদুল হাকিম ও সৈয়দ আহমদ নামে চৌফলদণ্ডীর দুজন লবণচাষি জানালেন, বৈশাখের তীব্র গরম লবণ উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদ। এ বছরই সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে এই মুহূর্তে লবণের দাম ভালো আছে বলে বেশ খুশি তাঁরা। এ কারণে লবণচাষিরা এই তীব্র গরমকে মানছেন আশীর্বাদ হিসেবে!
উপকূলের ৪৫ হাজার চাষি লবণ উৎপাদনে জড়িত। শুষ্ক মৌসুমে সাগরের নোনা পানির সাহায্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লবণ উৎপাদন করা হয়। একসময় সনাতন পদ্ধতিতে চাষ হলেও এখন মাঠে পলিথিন বিছিয়ে চাষ হচ্ছে লবণের। এই প্রচণ্ড গরমে প্রায় ১০ দিন ধরে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণশিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ, রামু ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। এ বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হলেও মূলত ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বেশি লবণ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে অন্য মাসের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ লবণ উৎপাদন বাড়ে। বিসিক এবং চাষিদের হিসাব অনুসারে, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। তবে পুরো বৈশাখ মাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাকি ৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে দেশের ২৪ লাখ মেট্রিক টন লবণের বার্ষিক চাহিদা পূরণ হবে।
গত ২০ মার্চ ও ২ এপ্রিল দুইবার বৃষ্টিতে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। একবার বৃষ্টি হলে মাঠে পুনরায় উৎপাদনে যেতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যায়। তবে মৌসুম শেষের আগে কালবৈশাখীর তাণ্ডব বা ঝড়-বৃষ্টি হলে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে।
বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহের ফলে এখন দৈনিক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন করে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ উৎপাদন। ইতিমধ্যে উৎপাদন ১৮ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪১০ থেকে ৪২০ টাকায়।
ফেসবুকে আমরা যতই মাতম তুলি না কেন, গরমেরও যে ভীষণ উপকারিতা আছে, সেটা কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকার লবণের মাঠগুলোতে না ঘুরলে বোঝা যাবে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪