মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জনবলের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে ২৫০ শয্যার মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও জনবলের ঘাটতিতে চালু করা যাচ্ছে না। পুরোনো ভবনেই খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। তাই মেডিকেল কর্মকর্তারা কোনোমতে বহির্বিভাগে আসা হাজারো রোগীকে সামলাচ্ছেন। জরুরি বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসা দিচ্ছেন নার্সরা। তাঁদের সহযোগিতা করে আউটসোর্সিং করা কিছু লোক, আর সামান্য জটিলতা দেখলেই রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
হাসপাতালের ছয়জন সিনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে পাঁচজনের পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নেই সিনিয়র কনসালট্যান্ট (নাক-কান-গলা)। চক্ষু বিভাগের কনসালট্যান্টের পদটিও রয়েছে শূন্য। সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট নেই; মেডিকেল অফিসার দিয়ে চালানো হচ্ছে এ বিভাগটি।
রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান বা রেসিডেন্ট সার্জনের ছয়টি পদের মধ্যে তিনটি শূন্য। নেই রেডিওগ্রাফি, ফিজিওগ্রাফি ও ফার্মাসিস্ট পদের জনবল। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে ৯৪ জন নার্সের মধ্যে ৩২টি শূন্য পদ রয়েছে। ফিজিশিয়ান ৫৭ পদের ২৪টিই খালি। সাপোর্ট স্টাফের ২৭ পদের মধ্যে ১৩টি ফাঁকা। এ ছাড়া দারোয়ান, মালি, এমএলএসএস ও ইলেকট্রিশিয়ানের পদেও জনবল নেই এই হাসপাতালে। অপরিচ্ছন্নতা হাসপাতালের নিত্যদিনের চেহারা।
সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জনবল ঘাটতির পাশাপাশি হাসপাতালে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ব্যক্তি-উদ্যোগে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পাসেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। রোগীর স্বজনেরা বাধ্য হন বেশি টাকায় সেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এক্স-রে, প্যাথলজিসহ যেসব যন্ত্রপাতি আছে সবগুলোই অ্যানালগ প্রকৃতির। হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ নেই। এ ছাড়া বেলা দুইটার পর থেকে আলট্রাসনোগ্রাম ও প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়।
সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসা সাথী আক্তার বলেন, ‘ছেলের এক্স-রে করতে দিয়েছেন চিকিৎসক। আমাদের ইচ্ছা হাসপাতালেই এক্স-রে করাব; কিন্তু হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন নষ্ট।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শাখাওয়াত হোসেন জানান, হাসপাতালটিতে সিনিয়র ও জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট নেই।
সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম জানান, ‘২৫০ শয্যার জন্য জনবল ও অন্যান্য সাপোর্ট যেটা লাগে, আমরা সেটা পেয়ে গেছি। আমাদের ডাক্তাররা যোগদান করা শুরু করেছেন। অচিরেই নার্সরাও যোগদান করবেন। যেসব বিভাগে কনসালট্যান্ট নেই, সেগুলোতেও কনসালট্যান্টরা শিগগিরই চলে আসবেন।’
জনবলের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে ২৫০ শয্যার মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও জনবলের ঘাটতিতে চালু করা যাচ্ছে না। পুরোনো ভবনেই খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। তাই মেডিকেল কর্মকর্তারা কোনোমতে বহির্বিভাগে আসা হাজারো রোগীকে সামলাচ্ছেন। জরুরি বিভাগে বেশির ভাগ চিকিৎসা দিচ্ছেন নার্সরা। তাঁদের সহযোগিতা করে আউটসোর্সিং করা কিছু লোক, আর সামান্য জটিলতা দেখলেই রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
হাসপাতালের ছয়জন সিনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে পাঁচজনের পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নেই সিনিয়র কনসালট্যান্ট (নাক-কান-গলা)। চক্ষু বিভাগের কনসালট্যান্টের পদটিও রয়েছে শূন্য। সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট নেই; মেডিকেল অফিসার দিয়ে চালানো হচ্ছে এ বিভাগটি।
রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান বা রেসিডেন্ট সার্জনের ছয়টি পদের মধ্যে তিনটি শূন্য। নেই রেডিওগ্রাফি, ফিজিওগ্রাফি ও ফার্মাসিস্ট পদের জনবল। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে ৯৪ জন নার্সের মধ্যে ৩২টি শূন্য পদ রয়েছে। ফিজিশিয়ান ৫৭ পদের ২৪টিই খালি। সাপোর্ট স্টাফের ২৭ পদের মধ্যে ১৩টি ফাঁকা। এ ছাড়া দারোয়ান, মালি, এমএলএসএস ও ইলেকট্রিশিয়ানের পদেও জনবল নেই এই হাসপাতালে। অপরিচ্ছন্নতা হাসপাতালের নিত্যদিনের চেহারা।
সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জনবল ঘাটতির পাশাপাশি হাসপাতালে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ব্যক্তি-উদ্যোগে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পাসেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। রোগীর স্বজনেরা বাধ্য হন বেশি টাকায় সেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এক্স-রে, প্যাথলজিসহ যেসব যন্ত্রপাতি আছে সবগুলোই অ্যানালগ প্রকৃতির। হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ নেই। এ ছাড়া বেলা দুইটার পর থেকে আলট্রাসনোগ্রাম ও প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়।
সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসা সাথী আক্তার বলেন, ‘ছেলের এক্স-রে করতে দিয়েছেন চিকিৎসক। আমাদের ইচ্ছা হাসপাতালেই এক্স-রে করাব; কিন্তু হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন নষ্ট।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শাখাওয়াত হোসেন জানান, হাসপাতালটিতে সিনিয়র ও জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট নেই।
সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম জানান, ‘২৫০ শয্যার জন্য জনবল ও অন্যান্য সাপোর্ট যেটা লাগে, আমরা সেটা পেয়ে গেছি। আমাদের ডাক্তাররা যোগদান করা শুরু করেছেন। অচিরেই নার্সরাও যোগদান করবেন। যেসব বিভাগে কনসালট্যান্ট নেই, সেগুলোতেও কনসালট্যান্টরা শিগগিরই চলে আসবেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪