বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তিনটি প্রধান নদ-নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবাধে চলছে রেণু পোনা শিকার। স্থানীয় কিছু অসাধু জেলে ও পাইকাররা মিলে রেণু শিকার ও বিক্রি করছেন। এতে মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, রেণু শিকার বন্ধে তাঁরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনার বলেশ্বর নদ এবং পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা এই তিন নদ-নদীর তীরে নিষিদ্ধ ছোট ফাঁসের হাজার হাজার জাল পেতে রেণু শিকার করছেন। সূক্ষ্ম জালের ফাঁদে আটকে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা মারা পড়ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা, জলজ প্রাণী ও মাছের ডিম।
গত সোমবার বরগুনার বিষখালী নদীতীরবর্তী বড়ইতলা ডালভাঙ্গা, রায়ভোগ, নলি, নিশানবাড়িয়া, সোনাতলাসহ বেশ কিছু পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, এসব এলাকায় নদীতে প্রায় ১০ হাজার জেলে সূক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে রেণু শিকার করছেন। একইভাবে নদীর বিপরীত পাড়ের, বাইনচটকা থেকে শুরু করে পাথরঘাটা পর্যন্ত হাজার হাজার জেলে নিষিদ্ধ সূক্ষ্ম জাল ব্যবহার করে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করছেন। একইভাবে বলেশ্বর নদ, পায়রা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের তিন নদীর মোহনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় অবাধে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করা হয়।
সদর উপজেলার ডালভাঙা এলাকার জেলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মোগো বাড়ি গাঙ্গের লগে, গাঙ্গের মাছ-পোনা ধইররাই খাই। এহন গলদা আর বাগদার পোনা ধইরা শতমূলে বেচি। বাগদা রেণু প্রতি শ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর গলদা রেণু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।’
পাথরঘাটার কালমেঘা গ্রামের আরেক জেলে হেলাল মিয়া বলেন, ‘এই চত্তির মাস আইলে গাঙ্গে পোনা পাওন যায়। ডেইলি যদি ৫ থেকে ৬ শ পোনা ধরতে পারি, তাইলে এক দেড় হাজার টাকা বিক্রি করন যায়। পাইকার আইস্যা কিন্না নিয়া যায় মোগো পোনা, হেরা চালান কইরা দাম দেয়।’
তালতলীর বগী এলাকার পায়রা নদীতে রেণু পোনাশিকারি জেলে আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ‘রেণু রাইখ্যা অন্য মাছের পোনা গাঙ্গে ঢাইল্যা দেই। হ্যাতে বেশি মরে না।’ ক্ষতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জলিল বলেন, ‘ওনারা পোনা না কেনলে মোরা ধইরা কী করতাম?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পাইকার বলেন, ‘বরগুনা জেলার সব রেণু পোনা পাথরঘাটা থেকে চরদুয়ানীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসব পোনা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে চালান করে দেওয়া হয়। ভারতের তৈরি একপ্রকার সূক্ষ্ম নেট দিয়ে তৈরি জাল দিয়ে এসব পোনা শিকার করা হয়।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিছু অসাধু জেলে ও পাইকাররা মিলে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে রেণু পোনা শিকার করে থাকেন। আমরা এসব বন্ধে একাধিক অভিযান চালিয়েছি। এ ছাড়া জেলেদের সচেতন করতে মৎস্য বিভাগ কাজ করছে।’
কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশীদ বলেন, ‘রেণু পোনা শিকার বন্ধে আমরা একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছি। ইতিমধ্যেই আমরা কয়েক লাখ শিকার করা রেণু জব্দ করে নদীতে ছেড়ে দিয়েছি। রেণু পোনা শিকারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বরগুনার তিনটি প্রধান নদ-নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবাধে চলছে রেণু পোনা শিকার। স্থানীয় কিছু অসাধু জেলে ও পাইকাররা মিলে রেণু শিকার ও বিক্রি করছেন। এতে মাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, রেণু শিকার বন্ধে তাঁরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনার বলেশ্বর নদ এবং পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা এই তিন নদ-নদীর তীরে নিষিদ্ধ ছোট ফাঁসের হাজার হাজার জাল পেতে রেণু শিকার করছেন। সূক্ষ্ম জালের ফাঁদে আটকে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা মারা পড়ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা, জলজ প্রাণী ও মাছের ডিম।
গত সোমবার বরগুনার বিষখালী নদীতীরবর্তী বড়ইতলা ডালভাঙ্গা, রায়ভোগ, নলি, নিশানবাড়িয়া, সোনাতলাসহ বেশ কিছু পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, এসব এলাকায় নদীতে প্রায় ১০ হাজার জেলে সূক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে রেণু শিকার করছেন। একইভাবে নদীর বিপরীত পাড়ের, বাইনচটকা থেকে শুরু করে পাথরঘাটা পর্যন্ত হাজার হাজার জেলে নিষিদ্ধ সূক্ষ্ম জাল ব্যবহার করে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করছেন। একইভাবে বলেশ্বর নদ, পায়রা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের তিন নদীর মোহনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় অবাধে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার করা হয়।
সদর উপজেলার ডালভাঙা এলাকার জেলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মোগো বাড়ি গাঙ্গের লগে, গাঙ্গের মাছ-পোনা ধইররাই খাই। এহন গলদা আর বাগদার পোনা ধইরা শতমূলে বেচি। বাগদা রেণু প্রতি শ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর গলদা রেণু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।’
পাথরঘাটার কালমেঘা গ্রামের আরেক জেলে হেলাল মিয়া বলেন, ‘এই চত্তির মাস আইলে গাঙ্গে পোনা পাওন যায়। ডেইলি যদি ৫ থেকে ৬ শ পোনা ধরতে পারি, তাইলে এক দেড় হাজার টাকা বিক্রি করন যায়। পাইকার আইস্যা কিন্না নিয়া যায় মোগো পোনা, হেরা চালান কইরা দাম দেয়।’
তালতলীর বগী এলাকার পায়রা নদীতে রেণু পোনাশিকারি জেলে আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ‘রেণু রাইখ্যা অন্য মাছের পোনা গাঙ্গে ঢাইল্যা দেই। হ্যাতে বেশি মরে না।’ ক্ষতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জলিল বলেন, ‘ওনারা পোনা না কেনলে মোরা ধইরা কী করতাম?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পাইকার বলেন, ‘বরগুনা জেলার সব রেণু পোনা পাথরঘাটা থেকে চরদুয়ানীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসব পোনা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে চালান করে দেওয়া হয়। ভারতের তৈরি একপ্রকার সূক্ষ্ম নেট দিয়ে তৈরি জাল দিয়ে এসব পোনা শিকার করা হয়।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিছু অসাধু জেলে ও পাইকাররা মিলে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে রেণু পোনা শিকার করে থাকেন। আমরা এসব বন্ধে একাধিক অভিযান চালিয়েছি। এ ছাড়া জেলেদের সচেতন করতে মৎস্য বিভাগ কাজ করছে।’
কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশীদ বলেন, ‘রেণু পোনা শিকার বন্ধে আমরা একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছি। ইতিমধ্যেই আমরা কয়েক লাখ শিকার করা রেণু জব্দ করে নদীতে ছেড়ে দিয়েছি। রেণু পোনা শিকারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪