মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট
সন্ধ্যা হতেই তেল ও পানির বোতল হাতে নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় জমান। অনেকের হাতে তাবিজ। যে যেভাবে পারছেন, সেভাবে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘জিনের সান্নিধ্য পাওয়া’ এক কবিরাজের বাড়িতে। মাথাব্যথা, প্রতিবন্ধীদের শারীরিক সমস্যা, প্যারালাইসিস ও হাঁপানির মতো জটিল রোগের চিকিৎসা তিনি করছেন তেল-পানি পড়া আর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে।
এমন আধ্যাত্মিক চিকিৎসা চলছে হালুয়াঘাটের আশ্রমপাড়া গ্রামের নেওয়াজ আলীর বাড়িতে। কথিত এই কবিরাজ নেওয়াজ আলীর ছেলে মুর্শিদ মিয়া। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুর্শিদ মিয়া কখনো রিকশা চালিয়ে কখনো ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে বা দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিন রাত ১০টায় হাজির হয়ে বসেন তাঁর আসনে। তারপর চলে ঝাড়ফুঁক।
আসনে বসেই মাটিতে সজোরে তিনটি থাপ্পড় দিয়ে একজন রোগীকে তিনি ঝাড়ফুঁক দেন। এতেই সেখানে উপস্থিত থাকা সবার শরীরে ফুঁক চলে যায়। এ ছাড়া একজন রোগীর তেল পড়ে দিলে তাতে সবার তেল পড়া হয়ে যায় বলে দাবি ওই কবিরাজ ও তাঁর শিষ্যদের।
পরিবারের দাবি, এক মাস আগে তাঁকে ‘জিনে পায়’ (আছর করে)। জিনের কথামতো স্থানীয় একজন প্যারালাইসিসের রোগীকে সুস্থ করে তোলেন বলে দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিদিন বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। এখন প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসেন ঝাড়ফুঁক নিতে। তবে সচেতন মানুষ বলছেন, তাবিজ বা পানি পড়া দিয়ে এসব রোগ মুক্তির ব্যাখ্যা আদৌ নেই। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রতারণার অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
উপজেলার ঝাউগড়া ভূঁইয়া বাড়ির বয়োবৃদ্ধ ইছব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে প্যারালাইজ হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। দুদিন ধরে ভালো হওয়ার আশায় এখানে আসতে হচ্ছে। এখনো কোনো উন্নতি হয়নি।’
এদিকে টানা তিন দিন ওই কবিরাজের বাড়িতে রাতে গিয়েও মুর্শিদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। বরং সহযোগীদের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে তাঁর বাবা নেওয়াজ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে জিনের পরামর্শে পাওয়া কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছে। প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে। আমার ছেলে কোনো টাকাপয়সাও নেয় না। এখানে সেবা পাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।’
তবে পাবিয়াজুরী এলাকার আল আমিন বলেন, ‘আমি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে এখানে আসি। তেল পড়া মালিশ করে ভালো অনুভব করছি।’ চিকিৎসা নিতে আসা ফুলপুর উপজেলার রামসোনা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সবার কাছে শুনছি ঝাড়ফুঁক আর তেলপড়ায় ভালো হয়। সে জন্য এসেছি। আমার
শ্বাসকষ্ট রয়েছে।’
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কথিত এই কবিরাজ সরাসরি টাকা না নিলেও ভিন্ন উপায়ে জটিল রোগীদের কাছ থেকে ওষুধ সরবরাহ করতে হবে বলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ছাড়া নারী রোগীদের ভিন্ন কক্ষে নিয়ে তেল পড়া ও ঝাড়ফুঁক করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ধরনের চিকিৎসার গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনীর আহমেদ বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের কোনো চিকিৎসা নেই। এটা অপচিকিৎসা। সাধারণ মানুষদের অপচিকিৎসার শিকার না হতে তিনি পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত একটি ছবি পেয়েছি। তবে অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন এমন কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সন্ধ্যা হতেই তেল ও পানির বোতল হাতে নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় জমান। অনেকের হাতে তাবিজ। যে যেভাবে পারছেন, সেভাবে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘জিনের সান্নিধ্য পাওয়া’ এক কবিরাজের বাড়িতে। মাথাব্যথা, প্রতিবন্ধীদের শারীরিক সমস্যা, প্যারালাইসিস ও হাঁপানির মতো জটিল রোগের চিকিৎসা তিনি করছেন তেল-পানি পড়া আর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে।
এমন আধ্যাত্মিক চিকিৎসা চলছে হালুয়াঘাটের আশ্রমপাড়া গ্রামের নেওয়াজ আলীর বাড়িতে। কথিত এই কবিরাজ নেওয়াজ আলীর ছেলে মুর্শিদ মিয়া। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুর্শিদ মিয়া কখনো রিকশা চালিয়ে কখনো ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে বা দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিন রাত ১০টায় হাজির হয়ে বসেন তাঁর আসনে। তারপর চলে ঝাড়ফুঁক।
আসনে বসেই মাটিতে সজোরে তিনটি থাপ্পড় দিয়ে একজন রোগীকে তিনি ঝাড়ফুঁক দেন। এতেই সেখানে উপস্থিত থাকা সবার শরীরে ফুঁক চলে যায়। এ ছাড়া একজন রোগীর তেল পড়ে দিলে তাতে সবার তেল পড়া হয়ে যায় বলে দাবি ওই কবিরাজ ও তাঁর শিষ্যদের।
পরিবারের দাবি, এক মাস আগে তাঁকে ‘জিনে পায়’ (আছর করে)। জিনের কথামতো স্থানীয় একজন প্যারালাইসিসের রোগীকে সুস্থ করে তোলেন বলে দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিদিন বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। এখন প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসেন ঝাড়ফুঁক নিতে। তবে সচেতন মানুষ বলছেন, তাবিজ বা পানি পড়া দিয়ে এসব রোগ মুক্তির ব্যাখ্যা আদৌ নেই। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রতারণার অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
উপজেলার ঝাউগড়া ভূঁইয়া বাড়ির বয়োবৃদ্ধ ইছব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে প্যারালাইজ হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। দুদিন ধরে ভালো হওয়ার আশায় এখানে আসতে হচ্ছে। এখনো কোনো উন্নতি হয়নি।’
এদিকে টানা তিন দিন ওই কবিরাজের বাড়িতে রাতে গিয়েও মুর্শিদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। বরং সহযোগীদের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে তাঁর বাবা নেওয়াজ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে জিনের পরামর্শে পাওয়া কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছে। প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে। আমার ছেলে কোনো টাকাপয়সাও নেয় না। এখানে সেবা পাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।’
তবে পাবিয়াজুরী এলাকার আল আমিন বলেন, ‘আমি শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে এখানে আসি। তেল পড়া মালিশ করে ভালো অনুভব করছি।’ চিকিৎসা নিতে আসা ফুলপুর উপজেলার রামসোনা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সবার কাছে শুনছি ঝাড়ফুঁক আর তেলপড়ায় ভালো হয়। সে জন্য এসেছি। আমার
শ্বাসকষ্ট রয়েছে।’
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কথিত এই কবিরাজ সরাসরি টাকা না নিলেও ভিন্ন উপায়ে জটিল রোগীদের কাছ থেকে ওষুধ সরবরাহ করতে হবে বলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ছাড়া নারী রোগীদের ভিন্ন কক্ষে নিয়ে তেল পড়া ও ঝাড়ফুঁক করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ধরনের চিকিৎসার গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনীর আহমেদ বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের কোনো চিকিৎসা নেই। এটা অপচিকিৎসা। সাধারণ মানুষদের অপচিকিৎসার শিকার না হতে তিনি পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত একটি ছবি পেয়েছি। তবে অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন এমন কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪