Ajker Patrika

কাঁচা পণ্যে তিন দফায় খাজনা দেন বিক্রেতারা

তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৩: ৩০
কাঁচা পণ্যে তিন দফায় খাজনা দেন বিক্রেতারা

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বরগুনার পাথরঘাটায় আনা হয় কাঁচা মরিচ, বেগুন, লাউ, শাকসবজি, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা কাঁচা পণ্য এবং আম-লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল। আড়তদারের মাধ্যমে এসব কাঁচা পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু একই পণ্য ক্রয় থেকে বিক্রয় পর্যন্ত তিনবার খাজনা পরিশোধ করতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে চড়া দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

পাথরঘাটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পাথরঘাটায় তুলনামূলক প্রতিকেজি কাঁচা পণ্যের দাম এক টাকা থেকে দুই টাকা বেশি। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ ও অতিরিক্ত খাজনা দেওয়াকে দুষছেন।

উপজেলার কাঁচা পণ্য সরবরাহকারী আড়তদার আউয়াল হোসেন বলেন, স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে রাজশাহী, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা পণ্য কিনতে হলে সেখানকার স্থানীয় বাজারে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। সেখান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে পাথরঘাটায় এলে ট্রাক প্রতি ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা খাজনা দিতে হয়। এর পর যখন খুচরা বিক্রেতারা ভ্যানে বা বাজারে বসে বিক্রি করেন, তাঁদের কাছ থেকেও ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা আদায় করেন পাথরঘাটা পৌরসভার ইজারাদারেরা।

একই অভিযোগ করেন আড়তদার সেফাজউদ্দিন ও আল-আমিন। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খাজনা পরিশোধের রসিদ চাইলে আড়তদার বলেন, ইজারাদারেরা খাতায় স্বাক্ষর করে খাজনা আদায় করেন, কোনো রসিদ দেন না। খাতায় দেখা যায় খলিলুর রহমান নামের এক ইজারাদার আদায়কারীর স্বাক্ষর রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতা আল-আমিন, মিলন, জহির রবিউল, সগির ও মহসিন বলেন, ‘আমরা যাঁরা খুচরা বাজারে চটের ওপর বসে কিংবা গাড়িতে করে কাঁচা পণ্য বিক্রি করি, তাঁদের থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা নিচ্ছেন ইজারাদার। আমাদের মহাজনেরা ঘর থেকেও খাজনা আদায় করা হয়। আর আমরা রাস্তায় বসে পণ্য বিক্রি করে খাজনা দিই। এর প্রভাব পড়ে পণ্যের ওপর।’

বরিশালের কাঁচা পণ্যের ব্যাপারী রিপন মিয়া বলেন, ‘আমরা সারা দেশে কাঁচামাল সরবরাহ করি। কিন্তু পাথরঘাটায় পাইকারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা নেয়। তাই এ বাজারে আমরা পণ্য পাইকারি দিই না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার খলিলুর রহমান বলেন, ‘রসিদে টাকা আদায় করা হয় না। কাঁচামাল যতবার বিক্রি হবে, ততবার খাজনা পরিশোধ করতে হবে।’ পৌরসভা থেকে এমন কোনো নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পৌরসভার বাজার পরিদর্শক বিপ্লব জানান, ‘কাঁচা পণ্য সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কোনো খাজনা আদায়ের বৈধতা নেই। ইজারাদারেরা খাজনা আদায় করলে তাঁকে রসিদ প্রদান করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

বিএনপি নেতা নাছিরের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ দুই সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত