Ajker Patrika

খননে প্রাণ ফিরেছে জলমহালে

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫৭
Thumbnail image

হাওরাঞ্চলে জলমহাল ও জলাশয় খনন না হওয়ায় ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ১০-১২ প্রজাতির মাছ। সেসঙ্গে কমেছে উৎপাদন। হাওরের এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য অধিদপ্তর। হাওরে মাছ উৎপাদন বাড়াতে ও বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ রক্ষায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিতাইগাঙ্গ জলাশয় ও বিল খনন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। খননে প্রাণ ফিরেছে নিতাইগাঙ্গ জলমহালে।

এতে মৎস্যজীবীরা পেয়েছেন তাঁদের পেশা ধরে রাখার পথ আর কৃষকেরা পেয়েছেন সেচসুবিধা। এদিকে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন জলমহালের আশপাশের বাসিন্দারা।

সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের নিতাইগাঙ্গ জলমহালের ১ দশমিক ৫৭৯ হেক্টর ভূমি পুনঃখনন করার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। সেই ধারাবাহিকতায় নিতাইগাঙ্গ জলমহালের সুবিধাভোগী কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সুফলভোগী সমিতির লোকজনদের দিয়ে জলমহালটি খননে কাজ শেষ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার হাওরে সুদিন ফিরে আসবে, বৃদ্ধি পাবে মাছের উৎপাদন। অন্যদিকে বিল ও জলাশয় খনন হওয়ায় জেলার হাজারো জেলে পরিবার নতুন স্বপ্ন বুনছে। তাঁরা বলছেন, এবার শূন্যহাতে বাড়ি ফিরতে হবে না। জালে এবার ব্যাপক মাছ ধরা পড়বে। তবে জেলার প্রতিটি জলাশয় ও নদী খনন হলে আরও উপকৃত হতেন। সেসঙ্গে রক্ষা পেত বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ।

পাথারিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তেরাই মিয়া, তেহকিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও শিমুলবাক গ্রামের মহিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকার বিল খনন না করায় হাওরের অনেক প্রজাতির মাছও এখন বিলুপ্ত পথে। এ বছর নিতাইগাঙ্গ বিল ও জলমহাল খনন করা হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন আগামীতে মাছের উৎপাদন বেশি হবে। বিলে মাছ বেশি ধরা পড়বে। এমনকি বোরো মৌসুমে সেচসুবিধাও পাওয়া যাবে। বিল খননে শিমুলবাক গ্রাম ও গোবিন্দপুর গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিন্টু কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিল ভরাট হওয়ায় ঠিকমতো মাছ চাষ করতে পারতাম না। অথচ প্রতিবছর ইজারামূল্য দিতে হতো। জলমহালটির একটি অংশে গত বছর প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এ বছর আরও একটি অংশে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুফলভোগীদের নিয়ে খনন কাজ করেছি।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘নিতাইগাঙ্গ জলমহালটি আগে যতবার বন্দোবস্ত নিয়েছি, ততবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কারণ আগে এই জলমহালের নাব্যতা ছিল না, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছ পাওয়া যেত না। এই বছর জলমহালটি খনন হওয়ায় আমাদের সমিতির লোকজন আগামীতে লাভের মুখ দেখবে, আগের তুলনায় এখন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’

সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, জলাশয়গুলো খনন হওয়ায় হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়বে। সঙ্গে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছও রক্ষা করা যাবে। এতে উপকারভোগী সমিতির সদস্যসহ মৎস্যজীবী লোকজন লাভবান হবেন। দেশি প্রজাতির মাছের প্রজনন বাড়বে; অন্যদিকে কৃষকদের তাঁদের কৃষিজমিতে সেচ দিয়ে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত