নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে একই আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বরে দেড় লাখের বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট চলছে। একই আইএমইআই নম্বর দিয়ে ডুপ্লিকেট ফোন (নকল ফোন) ব্যবহারের প্রবণতা অনেক। ভয়ংকর এই তথ্য দিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে সাহেদুল আলম এই তথ্য জানান। তিনি ‘মোবাইল হ্যান্ডসেট ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী সেমিনারে অংশ নেওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদকে অবৈধ মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলেন।
‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)। সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, মোবাইল ফোন উৎপাদকদের সংগঠন এমআইওবির সভাপতি জাকারিয়া শহীদ প্রমুখ।
প্রতিটি মোবাইলেই ১৫ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে। এটিই আইএমইআই। বিশ্বের যেকোনো মোবাইলকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে এই নম্বর ব্যবহৃত হয়। চুরি বা খোয়া যাওয়া মোবাইল আইএমইআই নম্বর দিয়েই শনাক্ত করা হয়।
সাহেদুল আলমের উপস্থাপনার পর প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘অবৈধ মোবাইল ফোন আমরা বন্ধ করব না। অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করতে হবে।’ তিনি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে বাজারে অবৈধ মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, অবৈধ মুঠোফোনের বাজারের দিকে তাঁদের নজর আছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর নামীদামি মার্কেটে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সেমিনারে জানানো হয়, হ্যান্ডসেট সংযোজনে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইলের দখলে। এতে বছরে সরকার ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচারফোন উৎপাদনসক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।
জাকারিয়া শহীদ বলেন, অবৈধভাবে কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা মোবাইল ফোন বাজারজাত করা বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে মোবাইল উৎপাদকদের।
সেমিনার শেষে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার)সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের চুরি হয়েছিল। এই ঈদের ছুটিতে ব্যাংকিং সেক্টরকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান অনলাইনে জুয়া ও বেটিং সাইটের তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, অনলাইনে জুয়া ও বেটিং ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৫৭৫টি। ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজের সংখ্যা ৫০৩টি। প্রতিমন্ত্রী জুয়া ও বেটিং সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
দেশে একই আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বরে দেড় লাখের বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট চলছে। একই আইএমইআই নম্বর দিয়ে ডুপ্লিকেট ফোন (নকল ফোন) ব্যবহারের প্রবণতা অনেক। ভয়ংকর এই তথ্য দিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে সাহেদুল আলম এই তথ্য জানান। তিনি ‘মোবাইল হ্যান্ডসেট ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী সেমিনারে অংশ নেওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদকে অবৈধ মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলেন।
‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)। সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, মোবাইল ফোন উৎপাদকদের সংগঠন এমআইওবির সভাপতি জাকারিয়া শহীদ প্রমুখ।
প্রতিটি মোবাইলেই ১৫ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে। এটিই আইএমইআই। বিশ্বের যেকোনো মোবাইলকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে এই নম্বর ব্যবহৃত হয়। চুরি বা খোয়া যাওয়া মোবাইল আইএমইআই নম্বর দিয়েই শনাক্ত করা হয়।
সাহেদুল আলমের উপস্থাপনার পর প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘অবৈধ মোবাইল ফোন আমরা বন্ধ করব না। অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করতে হবে।’ তিনি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদকে বাজারে অবৈধ মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, অবৈধ মুঠোফোনের বাজারের দিকে তাঁদের নজর আছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর নামীদামি মার্কেটে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সেমিনারে জানানো হয়, হ্যান্ডসেট সংযোজনে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইলের দখলে। এতে বছরে সরকার ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচারফোন উৎপাদনসক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।
জাকারিয়া শহীদ বলেন, অবৈধভাবে কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা মোবাইল ফোন বাজারজাত করা বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে মোবাইল উৎপাদকদের।
সেমিনার শেষে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার)সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের চুরি হয়েছিল। এই ঈদের ছুটিতে ব্যাংকিং সেক্টরকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান অনলাইনে জুয়া ও বেটিং সাইটের তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, অনলাইনে জুয়া ও বেটিং ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৫৭৫টি। ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজের সংখ্যা ৫০৩টি। প্রতিমন্ত্রী জুয়া ও বেটিং সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪