নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শীত আসতে আরও দুই মাস বাকি। তবে এর মধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের শীতের সবজি। রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই চোখে পড়ছে ডালা ভরে রাখা মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও গাজর। এসব আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ক্রেতারা বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় শীতের সবজি একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এই দাম কমে যাবে।
এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মাছ ও ডিমের দাম। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বঙ্গবাজার এবং রামপুরা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা শামসুল ইসলামের দোকানে শিম, শালগম ও নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে গতকাল। তাঁর দোকানে বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়। এসব সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বেশি দাম প্রসঙ্গে শামসুল ইসলাম বলেন, শীত যত বাড়বে, শীতের সবজির সরবরাহ তত বাড়তে থাকবে। তখন দাম কমবে।
এদিকে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে আবার বেড়েছে ডিমের দাম। রাজধানীর বঙ্গবাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বাজারের ডিম ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের ডজন ১৬০ টাকা হয়েছিল। দাম বেশি হওয়ার কারণে সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। এ কারণে ডিমের দাম ডজন ১২০ টাকায় নেমে আসে। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
হঠাৎ বেড়েছে মাছের দামও। গতকাল রামপুরা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড় শ টাকার নিচে নয়। ছোট আকারের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। পাবদা মাছের দাম সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে শুরু করে আকারভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ ৭৫০ টাকা কেজি। ট্যাংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
মাছবিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, মাছের একেক সময় একেক দাম, সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমের দিকে থাকে। এ ছাড়া এখন ইলিশ ধরা কিংবা বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকায় অন্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে সবজিসহ মাছ ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা নুরুন নাহার খানম বলেন, দিন দিন বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে। এ সময় তিনি সরকারের কাছে বাজার তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান।
বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের কৃষকেরা যে কাঁচা পণ্য উৎপাদন করেন, সেগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের পরিবহনের ক্ষেত্রেও হয়নি, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও হয়নি। কারণ, আমাদের নিত্যপণ্যগুলোর হাতবদল বেশি হয়, লাভের বেশি অংশই নিয়ে নেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
শীত আসতে আরও দুই মাস বাকি। তবে এর মধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের শীতের সবজি। রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই চোখে পড়ছে ডালা ভরে রাখা মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও গাজর। এসব আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ক্রেতারা বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় শীতের সবজি একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এই দাম কমে যাবে।
এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মাছ ও ডিমের দাম। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বঙ্গবাজার এবং রামপুরা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা শামসুল ইসলামের দোকানে শিম, শালগম ও নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে গতকাল। তাঁর দোকানে বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়। এসব সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বেশি দাম প্রসঙ্গে শামসুল ইসলাম বলেন, শীত যত বাড়বে, শীতের সবজির সরবরাহ তত বাড়তে থাকবে। তখন দাম কমবে।
এদিকে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে আবার বেড়েছে ডিমের দাম। রাজধানীর বঙ্গবাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বাজারের ডিম ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের ডজন ১৬০ টাকা হয়েছিল। দাম বেশি হওয়ার কারণে সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। এ কারণে ডিমের দাম ডজন ১২০ টাকায় নেমে আসে। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
হঠাৎ বেড়েছে মাছের দামও। গতকাল রামপুরা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড় শ টাকার নিচে নয়। ছোট আকারের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। পাবদা মাছের দাম সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে শুরু করে আকারভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ ৭৫০ টাকা কেজি। ট্যাংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
মাছবিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, মাছের একেক সময় একেক দাম, সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমের দিকে থাকে। এ ছাড়া এখন ইলিশ ধরা কিংবা বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকায় অন্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে সবজিসহ মাছ ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা নুরুন নাহার খানম বলেন, দিন দিন বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে। এ সময় তিনি সরকারের কাছে বাজার তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান।
বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের কৃষকেরা যে কাঁচা পণ্য উৎপাদন করেন, সেগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের পরিবহনের ক্ষেত্রেও হয়নি, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও হয়নি। কারণ, আমাদের নিত্যপণ্যগুলোর হাতবদল বেশি হয়, লাভের বেশি অংশই নিয়ে নেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪