Ajker Patrika

এন-৫৩ পেঁয়াজে সাফল্য

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৬
এন-৫৩ পেঁয়াজে সাফল্য

পেঁয়াজ উৎপাদনে নতুন করে আশার কথা শোনালেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক শিরিল মুর্মু। তিনি পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত চাষে সাফল্য পেয়েছেন। এতে চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ২০ হাজার টাকা মূলধন খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক এ চাষি। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকেরাও এখন ছুটছেন নতুন এই জাতের পেঁয়াজ চাষে।

জানা যায়, ১০ বছর আগে শীতের ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবিত হলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। নানা সময় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, তখনই আলোর মুখ দেখে নাসিক রেড এন-৫৩ নামের এ পেঁয়াজ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, গত বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খানসামা উপজেলায় ১৮০ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করা হয়। একই সঙ্গে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য ১৮০ জন কৃষককে বীজ, সার, পলিথিন ও পরিচর্যা বাবদ খরচ দেওয়া হয়।

বর্তমানে এ জাতের পেঁয়াজ চাষের সফলতার কথা উঠে আসে চাষিদের কাছ থেকেও। উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া পাঁচপীর এলাকার কৃষক শিরিল মুর্মু জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ করেন। ৯০ থেকে ১১০ দিনে মধ্যে এ পেঁয়াজ বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মন উৎপাদন হয়। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা। এ ছাড়া নতুন এ জাতের পেঁয়াজ প্রতি বিঘায় চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, পেঁয়াজ সংকট কমাতে এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত