Ajker Patrika

সওজের খালি জায়গায় এক রাতেই উঠল গুদামঘর

রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৬: ৫২
সওজের খালি জায়গায় এক রাতেই উঠল গুদামঘর

জয়পুরহাটের কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কালাই বাজারের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে গুদামঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। কালাই পৌরসভার কাজীপাড়া মহল্লার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। রুহুল আমিন বলেছেন, সওজের থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছেন। অথচ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না কালাই পৌরসভার হাট ইজারাদার।

এদিকে সওজ জানিয়েছে, গুদামঘর নির্মাণে তাঁদের কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়ের বারোয়ারি শেড অনেক পুরোনো। আগে এখানে কালাইয়ের বাজার বসত। বাজার হওয়ার কারণে তৎকালীন আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামের সময় দুটি বারোয়ারি শেড নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ২০০৮ সালে সড়কে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সময় একটি শেড ভাঙা হলেও আরেকটি থেকে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজ অধিদপ্তরের জায়গায় রয়েছে অনেকগুলো চা ও কাঁচাবাজারের দোকান। সওজের হলেও এ জায়গা থেকে খাজনা আদায় করে কালাই পৌরসভার হাট ইজারাদার। দুদিন আগেও যে জায়গাটি ছিল ফাঁকা। এক দিনের ব্যবধানে সেই একই জায়গা রাতের আঁধারে চারপাশে টিন দিয়ে গুদামঘর তৈরি করা হয়েছে।

কথা হয় কালাই বাজারের ব্যবসায়ী কালাই আদর্শ পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি ছিল কালাই বাজারের বারোয়ারির শেড। এখানে ১৫-২০ বছর আগে বসত চাল-মরিচ দোকান; পরে শুরু হয় মাছের দোকান। এখন এই বারোয়ারির শেডে কোনো দোকান না বসলেও কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাঁচামাল শুকানোর কাজে ব্যবহার করেন। আবার হিমাগার থেকে আলু এনে শুকানোর কাজে এই শেড ব্যবহার করা হতো।

কালাই থুপসাড়া গ্রামের ওসমান গনি বলেন, সেদিনই দেখলাম খোলা জায়গা। অথচ এক দিনের ব্যবধানে সওজের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। শুনলাম হাট ইজারাদাররা একজনকে এই জায়গা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালাই পৌরসভার হাট ইজারাদার রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সওজের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কোনো কিছু নির্মাণে আমরা অনুমতি দিতে পারি না। এটি সরকারের জায়গা। কে বা কারা এই গুদামঘর নির্মাণ করেছেন, তা আমি কিছুই জানি না।’

গুদামঘর নির্মাণকারী রুহুল আমিন বলেন, এই ঘর নির্মাণ সম্পর্কে অনেকেরই জানা। ঘর নির্মাণে সওজের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘গুদামঘর নির্মাণের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সওজের জায়গায় ঘর নির্মাণে কাউকে মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত