সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও বিদ্যুৎ-সংকটে বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের কৃষকেরা। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে সেচব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে আমন চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে প্রয়োজনমতো সেচযন্ত্র চালানো যাচ্ছে না। এতে আমনের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আবাদে খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। সমস্যা সমাধানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, মাঝেমধ্যে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তা জমি চাষ করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। চাষ দেওয়ার জন্য জমিতে প্রচুর পরিমাণ পানির দরকার হয়। এ জন্য কেউ কেউ বাড়িতে স্থাপন করা পানির পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে ওই চেষ্টাও বিফলে যাচ্ছে। আর কয়েক দিন এমন অবস্থা বিরাজ করলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রোপা আমন চাষ।
উপজেলার মৌশা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার কৃষি ব্লকে মোট ৬০০ হেক্টর আমন ধানের চাষযোগ্য জমি রয়েছে। আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকলে প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত আষাঢ় মাসের শুরু থেকে আমনের জমি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর শ্রাবণ মাসজুড়ে চলে ধানের চারা রোপণ। কিন্তু চলতি বছর ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমনের চারা রোপণ শুরু করতে পারেননি এ অঞ্চলের কৃষকেরা। পানির পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে ও হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে কোনোরকমে ধানের চারা রক্ষা করা গেলেও আমনের জমি চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকেরা। কেউ কেউ বাড়িতে স্থাপন করা বৈদ্যুতিক পানির পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ-সংকটে তা-ও সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ধানের চারাগুলোর বয়স বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় গত শুক্রবার জমিতে সেচ দিতে পলিথিনের পাইপ কিনতে গিয়েছিলাম। ৮৫ টাকা কেজি দরের পাইপ কিনতে হয়েছে ২৩০ টাকা করে। এদিকে বিদ্যুতের নিয়মিত বিড়ম্বনায় দুই দিনে ১০০ শতাংশ জমিতেও সেচ দিতে পারিনি। যেভাবে ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে, এতে আমার পানির পাম্পটিও নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তিন ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের তালিকা করা হলেও তাঁরা দিনে মোট তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।
লোডশেডিংয়ের তালিকা অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না স্বীকার করে পিডিবির সখীপুর অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী উচ্চতর দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের পর্যাপ্ত লোড পাচ্ছি না। এ কারণেই যখন তখন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। অনেক কৃষক তাঁদের গভীর নলকূপ চালু করতে আমার কাছে এসেছিলেন। তাই রাত ১২টার পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় কি না, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা সারা দেশেই হচ্ছে। তারপরও আমনের চারা রোপণের সময়ে কৃষকদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া যায় কি না, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও বিদ্যুৎ-সংকটে বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের কৃষকেরা। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে সেচব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে আমন চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে প্রয়োজনমতো সেচযন্ত্র চালানো যাচ্ছে না। এতে আমনের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আবাদে খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। সমস্যা সমাধানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, মাঝেমধ্যে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও তা জমি চাষ করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। চাষ দেওয়ার জন্য জমিতে প্রচুর পরিমাণ পানির দরকার হয়। এ জন্য কেউ কেউ বাড়িতে স্থাপন করা পানির পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে ওই চেষ্টাও বিফলে যাচ্ছে। আর কয়েক দিন এমন অবস্থা বিরাজ করলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রোপা আমন চাষ।
উপজেলার মৌশা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার কৃষি ব্লকে মোট ৬০০ হেক্টর আমন ধানের চাষযোগ্য জমি রয়েছে। আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকলে প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত আষাঢ় মাসের শুরু থেকে আমনের জমি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর শ্রাবণ মাসজুড়ে চলে ধানের চারা রোপণ। কিন্তু চলতি বছর ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমনের চারা রোপণ শুরু করতে পারেননি এ অঞ্চলের কৃষকেরা। পানির পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে ও হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে কোনোরকমে ধানের চারা রক্ষা করা গেলেও আমনের জমি চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকেরা। কেউ কেউ বাড়িতে স্থাপন করা বৈদ্যুতিক পানির পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ-সংকটে তা-ও সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ধানের চারাগুলোর বয়স বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় গত শুক্রবার জমিতে সেচ দিতে পলিথিনের পাইপ কিনতে গিয়েছিলাম। ৮৫ টাকা কেজি দরের পাইপ কিনতে হয়েছে ২৩০ টাকা করে। এদিকে বিদ্যুতের নিয়মিত বিড়ম্বনায় দুই দিনে ১০০ শতাংশ জমিতেও সেচ দিতে পারিনি। যেভাবে ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে, এতে আমার পানির পাম্পটিও নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তিন ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের তালিকা করা হলেও তাঁরা দিনে মোট তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।
লোডশেডিংয়ের তালিকা অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না স্বীকার করে পিডিবির সখীপুর অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী উচ্চতর দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের পর্যাপ্ত লোড পাচ্ছি না। এ কারণেই যখন তখন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। অনেক কৃষক তাঁদের গভীর নলকূপ চালু করতে আমার কাছে এসেছিলেন। তাই রাত ১২টার পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় কি না, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা সারা দেশেই হচ্ছে। তারপরও আমনের চারা রোপণের সময়ে কৃষকদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া যায় কি না, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫