সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, দিগন্তবিস্তৃত ধানখেত আর সবুজের সমারোহ—সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্য। আবহমান গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ তো এমনই হয়! তাহলে বিশেষ কী এমন বিষয়, যে কারণে একটি গ্রামের এত জয়জয়কার। গ্রামের গল্প নাকি হার মানাতে পারে রূপকথাকেও! হ্যাঁ, গল্পটা শেষ হলে ‘হুলহুলিয়া’ নিয়ে সন্দেহ কেটে যাবে। গ্রামটির শত বছরের বিবর্তনের কাহিনি সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে এখানকার মানুষগুলোও হয়ে উঠেছেন সুন্দর। এ সুন্দর যতটা না চোখে দেখার, তার চেয়ে বেশি অনুভবের। গত ৫০ বছরে কোনো মামলা-মোকদ্দমার জন্য পুলিশ আসেনি এখানে। নেই রাজনৈতিক বিভাজন, হানাহানি। শুধু তা-ই নয়, গ্রামের মানুষজনও শতভাগ শিক্ষিত। গ্রামটি বাল্যবিবাহ, মাদক ও যৌতুকমুক্ত। সুখে-দুঃখে একে-অন্যের পাশে থাকেন সবাই।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত বিস্ময়কর গ্রাম হুলহুলিয়া। জেলা সদর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে ১৩টি পাড়া নিয়ে গঠিত চলনবিলবেষ্টিত গ্রামটির আয়তন প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার।
গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়ে বিশাল একটি গেট। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আদর্শ গ্রাম হুলহুলিয়া’। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি স্যানিটেশন-ব্যবস্থাও প্রায় শতভাগ। শীতে এ গ্রামে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। কিন্তু গ্রামের কারোরই পাখি মারার স্বভাব নেই। গ্রামটি থেকে দুই শর বেশি বিএসসি প্রকৌশলী, শতাধিক এমবিবিএস চিকিৎসক, ১৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ১১ জন বিচারকসহ নানা পেশার মানুষ ও প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। আদর্শ গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ।
পরিষদের সহসভাপতি মো. আলমগীর কবীর শাহ জানান, শত বছর আগে একবার প্রবল বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়। গ্রামের ঘরে ঘরে তখন অভাব, মনে কষ্ট আর হতাশা। বিষয়টি গ্রামের মাতবর মছির উদ্দিন মৃধার মনে দাগ কাটে। একদিন গ্রামের লোকদের নিয়ে সভা ডাকেন তিনি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, যাঁদের ঘরে অতিরিক্ত ধানবীজ আছে, তাঁরা বিনা শর্তে অন্যদের ধার দেবেন। সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, সোনার ফসলে ভরে ওঠে জমি। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪০ সালে ‘হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ’ গঠন করে গ্রামবাসী।
আলমগীর জানান, এ পরিষদের মাধ্যমে গ্রামের ‘শাসনব্যবস্থা’ পরিচালিত হয়। ২৩ সদস্যের পরিষদে আছেন পাঁচজন উপদেষ্টাও। দুই বছর পরপর গ্রামবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটেই সদস্যরা নির্বাচিত হন। গ্রামে কোনো বিরোধ হলে এই পরিষদই আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে দেয়। বড় অপরাধ নেই, তাই দরকার হয়নি থানায় যাওয়ারও।
১৯৬৬ সালের কথা। হুলহুলিয়াতে তখন প্রথম উচ্চবিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। গ্রামের দরিদ্র মানুষদের কথা ভেবে শিক্ষকদের অনেকেই বিনা বেতনে শিক্ষাদান করেন। এরপর হয় মাদ্রাসাও। বর্তমানে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি দুটি বিদ্যালয়ও চলছে।
১৯৪৪ সালে ‘দ্য হুলহুলিয়া ডায়মন্ড ক্লাব’ গঠন করা হয়। যেটির কাজ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামের রয়েছে শেকড় ও বটবৃক্ষ নামের সংগঠন। ৩৫ বিঘা জমির ওপর একটি স্থায়ী কবরস্থান রয়েছে গ্রামে।
সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, হুলহুলিয়া গ্রামের মানুষ মিলেমিশে থাকে। কোনো মামলা আছে বলে আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, হুলহুলিয়া একটা আদর্শ গ্রাম। এটি সিংড়া উপজেলার গর্ব।
আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, দিগন্তবিস্তৃত ধানখেত আর সবুজের সমারোহ—সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্য। আবহমান গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ তো এমনই হয়! তাহলে বিশেষ কী এমন বিষয়, যে কারণে একটি গ্রামের এত জয়জয়কার। গ্রামের গল্প নাকি হার মানাতে পারে রূপকথাকেও! হ্যাঁ, গল্পটা শেষ হলে ‘হুলহুলিয়া’ নিয়ে সন্দেহ কেটে যাবে। গ্রামটির শত বছরের বিবর্তনের কাহিনি সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে এখানকার মানুষগুলোও হয়ে উঠেছেন সুন্দর। এ সুন্দর যতটা না চোখে দেখার, তার চেয়ে বেশি অনুভবের। গত ৫০ বছরে কোনো মামলা-মোকদ্দমার জন্য পুলিশ আসেনি এখানে। নেই রাজনৈতিক বিভাজন, হানাহানি। শুধু তা-ই নয়, গ্রামের মানুষজনও শতভাগ শিক্ষিত। গ্রামটি বাল্যবিবাহ, মাদক ও যৌতুকমুক্ত। সুখে-দুঃখে একে-অন্যের পাশে থাকেন সবাই।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত বিস্ময়কর গ্রাম হুলহুলিয়া। জেলা সদর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে ১৩টি পাড়া নিয়ে গঠিত চলনবিলবেষ্টিত গ্রামটির আয়তন প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার।
গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়ে বিশাল একটি গেট। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আদর্শ গ্রাম হুলহুলিয়া’। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি স্যানিটেশন-ব্যবস্থাও প্রায় শতভাগ। শীতে এ গ্রামে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। কিন্তু গ্রামের কারোরই পাখি মারার স্বভাব নেই। গ্রামটি থেকে দুই শর বেশি বিএসসি প্রকৌশলী, শতাধিক এমবিবিএস চিকিৎসক, ১৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ১১ জন বিচারকসহ নানা পেশার মানুষ ও প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। আদর্শ গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ।
পরিষদের সহসভাপতি মো. আলমগীর কবীর শাহ জানান, শত বছর আগে একবার প্রবল বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়। গ্রামের ঘরে ঘরে তখন অভাব, মনে কষ্ট আর হতাশা। বিষয়টি গ্রামের মাতবর মছির উদ্দিন মৃধার মনে দাগ কাটে। একদিন গ্রামের লোকদের নিয়ে সভা ডাকেন তিনি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, যাঁদের ঘরে অতিরিক্ত ধানবীজ আছে, তাঁরা বিনা শর্তে অন্যদের ধার দেবেন। সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, সোনার ফসলে ভরে ওঠে জমি। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪০ সালে ‘হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ’ গঠন করে গ্রামবাসী।
আলমগীর জানান, এ পরিষদের মাধ্যমে গ্রামের ‘শাসনব্যবস্থা’ পরিচালিত হয়। ২৩ সদস্যের পরিষদে আছেন পাঁচজন উপদেষ্টাও। দুই বছর পরপর গ্রামবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটেই সদস্যরা নির্বাচিত হন। গ্রামে কোনো বিরোধ হলে এই পরিষদই আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে দেয়। বড় অপরাধ নেই, তাই দরকার হয়নি থানায় যাওয়ারও।
১৯৬৬ সালের কথা। হুলহুলিয়াতে তখন প্রথম উচ্চবিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। গ্রামের দরিদ্র মানুষদের কথা ভেবে শিক্ষকদের অনেকেই বিনা বেতনে শিক্ষাদান করেন। এরপর হয় মাদ্রাসাও। বর্তমানে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি দুটি বিদ্যালয়ও চলছে।
১৯৪৪ সালে ‘দ্য হুলহুলিয়া ডায়মন্ড ক্লাব’ গঠন করা হয়। যেটির কাজ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামের রয়েছে শেকড় ও বটবৃক্ষ নামের সংগঠন। ৩৫ বিঘা জমির ওপর একটি স্থায়ী কবরস্থান রয়েছে গ্রামে।
সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, হুলহুলিয়া গ্রামের মানুষ মিলেমিশে থাকে। কোনো মামলা আছে বলে আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, হুলহুলিয়া একটা আদর্শ গ্রাম। এটি সিংড়া উপজেলার গর্ব।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫