জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে উড়াল সড়ক। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা। পর্যটকেরা এ জেলায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন। কমে আসবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে দূরত্ব।
বিকল্প যোগাযোগ সৃষ্টি হলে কমবে পরিবহন ব্যয়। স্বপ্নের এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে তাই দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ হাওরবাসীর। সুনামগঞ্জের হাওরে প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হাওর এলাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সম্প্রতি ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে ধান আর ভরা বর্ষায় মাছ উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। এখানকার মানুষের জীবনজুড়ে মিতালি হাওরের সঙ্গে। দেশের ‘রামসার সাইট’ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর এখানে। সীমান্তঘেঁষা এই জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশির ভাগই নৌপথ। তবে উড়াল সড়ক তৈরি হলে পর্যটক বাড়বে। সমৃদ্ধ হবে পর্যটন শিল্প।
ইতিমধ্যে গেল কয়েক বছরে সড়ক যোগাযোগেও ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। বেড়েছে নতুন নতুন সড়কের সংখ্যা।
নতুন করে ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের এই হাওরাঞ্চলের উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একনেকে অনুমোদন হওয়ায় হাওরবাসীর মধ্যে উল্লাসের কাজ করছে। হাসি ফুটেছে হাওরের কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে। অপেক্ষা কবে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উত্তর শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির আলি বলেন, ‘তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান সরকার হাওরবাসীর জন্য। এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্নে ছিল। একনেকে উড়াল সড়ক অনুমোদন হয়েছে শুনে আমরা আনন্দিত। যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে।’
সুনামগঞ্জ এলজিইডি সূত্র জানায়, উড়াল সড়ক এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার থেকে হাওরের ওপর দিয়ে তাহিরপুর, জয়শ্রী-ধর্মপাশা হয়ে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হবে। এই প্রকল্পে উড়াল সড়ক হবে ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার। থাকবে অল ওয়েদার সড়কও। উড়াল সড়কের প্রস্থ থাকবে ৩০ ফুট, আর সড়কের প্রস্থ ৩৬ ফুট।
থাকবে ছোট বড় ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট। হাওরের গ্রামগুলোর পাশ দিয়ে উপজেলা অল ওয়েদার সড়ক থাকবে ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার, উপজেলা সাব মার্সিবল সড়ক থাকবে ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া ইউনিয়ন অল ওয়েদার বা উঁচু সড়ক থাকবে ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও ইউনিয়ন ডুবো সড়ক থাকবে ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, আগামী ২০২৫ সালেই উড়াল সড়কের সুবিধা পাবেন হাওরবাসী। কিছু প্রক্রিয়া শেষ হলেই শুরু হবে কাজ।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, উড়াল সড়কটি স্থাপিত হলে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নির্বাচনী উপজেলা জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও তাহিরপুরের সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি তাহিরপুরের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের দুটি জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা পাশাপাশি থাকার পরও সড়কপথে পরস্পর যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ দুই জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। উড়াল সড়ক এ দুই জেলার সংযোগ স্থাপন করবে। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য গ্রামীণ সড়কও উন্নত করা হবে।
হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে উড়াল সড়ক। এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা। পর্যটকেরা এ জেলায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন। কমে আসবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে দূরত্ব।
বিকল্প যোগাযোগ সৃষ্টি হলে কমবে পরিবহন ব্যয়। স্বপ্নের এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে তাই দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ হাওরবাসীর। সুনামগঞ্জের হাওরে প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হাওর এলাকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সম্প্রতি ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে ধান আর ভরা বর্ষায় মাছ উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। এখানকার মানুষের জীবনজুড়ে মিতালি হাওরের সঙ্গে। দেশের ‘রামসার সাইট’ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর এখানে। সীমান্তঘেঁষা এই জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশির ভাগই নৌপথ। তবে উড়াল সড়ক তৈরি হলে পর্যটক বাড়বে। সমৃদ্ধ হবে পর্যটন শিল্প।
ইতিমধ্যে গেল কয়েক বছরে সড়ক যোগাযোগেও ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। বেড়েছে নতুন নতুন সড়কের সংখ্যা।
নতুন করে ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের এই হাওরাঞ্চলের উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একনেকে অনুমোদন হওয়ায় হাওরবাসীর মধ্যে উল্লাসের কাজ করছে। হাসি ফুটেছে হাওরের কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে। অপেক্ষা কবে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উত্তর শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির আলি বলেন, ‘তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান সরকার হাওরবাসীর জন্য। এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্নে ছিল। একনেকে উড়াল সড়ক অনুমোদন হয়েছে শুনে আমরা আনন্দিত। যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে।’
সুনামগঞ্জ এলজিইডি সূত্র জানায়, উড়াল সড়ক এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার থেকে হাওরের ওপর দিয়ে তাহিরপুর, জয়শ্রী-ধর্মপাশা হয়ে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হবে। এই প্রকল্পে উড়াল সড়ক হবে ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার। থাকবে অল ওয়েদার সড়কও। উড়াল সড়কের প্রস্থ থাকবে ৩০ ফুট, আর সড়কের প্রস্থ ৩৬ ফুট।
থাকবে ছোট বড় ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট। হাওরের গ্রামগুলোর পাশ দিয়ে উপজেলা অল ওয়েদার সড়ক থাকবে ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার, উপজেলা সাব মার্সিবল সড়ক থাকবে ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া ইউনিয়ন অল ওয়েদার বা উঁচু সড়ক থাকবে ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও ইউনিয়ন ডুবো সড়ক থাকবে ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, আগামী ২০২৫ সালেই উড়াল সড়কের সুবিধা পাবেন হাওরবাসী। কিছু প্রক্রিয়া শেষ হলেই শুরু হবে কাজ।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, উড়াল সড়কটি স্থাপিত হলে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নির্বাচনী উপজেলা জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও তাহিরপুরের সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি তাহিরপুরের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের দুটি জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা পাশাপাশি থাকার পরও সড়কপথে পরস্পর যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ দুই জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। উড়াল সড়ক এ দুই জেলার সংযোগ স্থাপন করবে। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য গ্রামীণ সড়কও উন্নত করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪