সাজ্জাদ মাহমুদ খান ও মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী থেকে
মন্দিরের দোতলায় উঠতেই হাতের বাঁ পাশে তুলসীগাছ। গাছটি ওপড়ানো। দানবাক্সটিও ভাঙা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর রাধামাধব জীউর মন্দিরের সর্বত্র এ রকম তাণ্ডবের চিহ্ন।
মন্দিরের ম্যানেজার অনন্ত কুমার ভৌমিক আজকের পত্রিকাকে জানান, দানবাক্সে টাকা দিয়ে তুলসীগাছে প্রণাম করে ভক্তরা মন্দিরে ঢোকেন। গাছটি কেন মেরে ফেলা হলো? গাছ কী ক্ষতি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে পাথর মারা হয়েছে। এর আগে গত ২২ অক্টোবর মন্দির লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। হামলাকারীরা এখনো সক্রিয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চৌমুহনীতে সাতটি স্থায়ী মন্দির ও ছয়টি অস্থায়ী মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি ও লুটপাট করা হয়েছে। ১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮১ লাখ টাকা। হামলায় ইসকন মন্দিরের প্রান্ত চন্দ্র দাস ও দুর্গামন্দিরে যতন সাহা নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০১ জন।
নোয়াখালী জেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব আইনজীবী পাপ্পু সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, লুটপাট ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় প্রত্যেকটি মন্দিরে লুটপাট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রশাসনের সব স্তরে সাহায্যের জন্য আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সাহায্য পাইনি। স্থানীয় নেতারাও সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসেননি।’
চৌমুহনী কলেজ রোডের শশীমতী সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৫ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ হইচই আর চিৎকার শুনে বাসার নিচে নেমে দেখেন রাস্তা দিয়ে শত শত অল্পবয়সী ছেলে হাতে লাঠি ও রড নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। কয়েক মিনিট পর দেখেন দুজন পুলিশ সদস্য তাঁদের বাড়ির উঠানে। এ সময় তিনি তাঁদের কাছে জানতে চান, হামলা ঠেকানো বাদ দিয়ে তাঁদের উঠানে কেন? তাঁরা উত্তর দেন, ‘দুজন গিয়ে আমরা কীভাবে ঠেকাব। ওরা আমাদেরও মেরে ফেলবে।’
ইসকন মন্দিরের সামনের পুকুরে ১৬ অক্টোবর সকালে প্রান্ত চন্দ্র দাসের লাশ পাওয়া যায়। মন্দিরের ভক্ত কৃপালু শংকর দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রান্ত চন্দ্র মন্দিরের বাইরে পুকুরের সামনে ছিলেন। সেখানে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। তবে প্রান্তকে মারধরের ঘটনা তিনি দেখেননি, শুনেছেন।
ইসকন মন্দিরের সভাপতি রসপ্রিয় দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পর থেকে মন্দিরে তাঁরা পুলিশ পাহারায় আছেন। ঘটনার দিন তো পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোক ছিল। কিন্তু হামলা থেকে বাঁচাতে পারেনি। পুলিশ চলে গেলে আবার হামলা হতে পারে। তিনি জানান, হামলাকারীরা সেদিন মন্দিরে ঢুকে দানবাক্সসহ সব মূল্যবান জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রমাণ মুছে ফেলতে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নেয়।
ইসকন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম জানান, তাঁরা সকাল আটটা থেকে রাত আটটা এবং রাত আটটা থেকে সকাল আটটায় দুই ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝেমধ্যে প্যাট্রল টিম এসেও ঘুরে যায়।
চৌমুহনীর রামঠাকুর আশ্রমের নিরাপত্তাকর্মী সুত্ত রঞ্জন দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, বেলা সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ তাঁদের মন্দিরের প্রবেশের সব দরজা বন্ধ করে দিতে বলে। তিনটি দরজাই তিনি বন্ধ করে দেন। প্রথম দফায় দরজা ভাঙতে না পারলেও পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় শতাধিক ব্যক্তি। চারটি সিন্দুক ভেঙে টাকা নিয়ে যায়। আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার নেয়। যারা হামলা করেছে, লুটপাট আর ভাঙচুরই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
নোয়াখালী জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, দুর্গাপূজা চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় ৩০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২২ জনকে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৪টি মামলায় ১৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনজন রিমান্ডে আছেন। হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় ৯ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানতে চাইলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, যত পুলিশ ছিল তারা চেষ্টা করেছে। কিন্তু একযোগে হামলা হওয়ায় সব জায়গায় পুলিশ সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এখন মন্দিরে মন্দিরে সুরক্ষা কমিটি করা হয়েছে। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
মন্দিরের দোতলায় উঠতেই হাতের বাঁ পাশে তুলসীগাছ। গাছটি ওপড়ানো। দানবাক্সটিও ভাঙা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর রাধামাধব জীউর মন্দিরের সর্বত্র এ রকম তাণ্ডবের চিহ্ন।
মন্দিরের ম্যানেজার অনন্ত কুমার ভৌমিক আজকের পত্রিকাকে জানান, দানবাক্সে টাকা দিয়ে তুলসীগাছে প্রণাম করে ভক্তরা মন্দিরে ঢোকেন। গাছটি কেন মেরে ফেলা হলো? গাছ কী ক্ষতি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে পাথর মারা হয়েছে। এর আগে গত ২২ অক্টোবর মন্দির লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। হামলাকারীরা এখনো সক্রিয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চৌমুহনীতে সাতটি স্থায়ী মন্দির ও ছয়টি অস্থায়ী মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি ও লুটপাট করা হয়েছে। ১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮১ লাখ টাকা। হামলায় ইসকন মন্দিরের প্রান্ত চন্দ্র দাস ও দুর্গামন্দিরে যতন সাহা নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০১ জন।
নোয়াখালী জেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব আইনজীবী পাপ্পু সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, লুটপাট ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় প্রত্যেকটি মন্দিরে লুটপাট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রশাসনের সব স্তরে সাহায্যের জন্য আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সাহায্য পাইনি। স্থানীয় নেতারাও সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসেননি।’
চৌমুহনী কলেজ রোডের শশীমতী সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৫ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ হইচই আর চিৎকার শুনে বাসার নিচে নেমে দেখেন রাস্তা দিয়ে শত শত অল্পবয়সী ছেলে হাতে লাঠি ও রড নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। কয়েক মিনিট পর দেখেন দুজন পুলিশ সদস্য তাঁদের বাড়ির উঠানে। এ সময় তিনি তাঁদের কাছে জানতে চান, হামলা ঠেকানো বাদ দিয়ে তাঁদের উঠানে কেন? তাঁরা উত্তর দেন, ‘দুজন গিয়ে আমরা কীভাবে ঠেকাব। ওরা আমাদেরও মেরে ফেলবে।’
ইসকন মন্দিরের সামনের পুকুরে ১৬ অক্টোবর সকালে প্রান্ত চন্দ্র দাসের লাশ পাওয়া যায়। মন্দিরের ভক্ত কৃপালু শংকর দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রান্ত চন্দ্র মন্দিরের বাইরে পুকুরের সামনে ছিলেন। সেখানে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। তবে প্রান্তকে মারধরের ঘটনা তিনি দেখেননি, শুনেছেন।
ইসকন মন্দিরের সভাপতি রসপ্রিয় দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পর থেকে মন্দিরে তাঁরা পুলিশ পাহারায় আছেন। ঘটনার দিন তো পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোক ছিল। কিন্তু হামলা থেকে বাঁচাতে পারেনি। পুলিশ চলে গেলে আবার হামলা হতে পারে। তিনি জানান, হামলাকারীরা সেদিন মন্দিরে ঢুকে দানবাক্সসহ সব মূল্যবান জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রমাণ মুছে ফেলতে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নেয়।
ইসকন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম জানান, তাঁরা সকাল আটটা থেকে রাত আটটা এবং রাত আটটা থেকে সকাল আটটায় দুই ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝেমধ্যে প্যাট্রল টিম এসেও ঘুরে যায়।
চৌমুহনীর রামঠাকুর আশ্রমের নিরাপত্তাকর্মী সুত্ত রঞ্জন দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, বেলা সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ তাঁদের মন্দিরের প্রবেশের সব দরজা বন্ধ করে দিতে বলে। তিনটি দরজাই তিনি বন্ধ করে দেন। প্রথম দফায় দরজা ভাঙতে না পারলেও পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় শতাধিক ব্যক্তি। চারটি সিন্দুক ভেঙে টাকা নিয়ে যায়। আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার নেয়। যারা হামলা করেছে, লুটপাট আর ভাঙচুরই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
নোয়াখালী জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, দুর্গাপূজা চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় ৩০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২২ জনকে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৪টি মামলায় ১৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনজন রিমান্ডে আছেন। হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় ৯ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানতে চাইলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, যত পুলিশ ছিল তারা চেষ্টা করেছে। কিন্তু একযোগে হামলা হওয়ায় সব জায়গায় পুলিশ সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এখন মন্দিরে মন্দিরে সুরক্ষা কমিটি করা হয়েছে। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪