মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
জয়পুরহাট জেলায় মোট ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২০টির ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৯৩টির অবকাঠামো মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে ভেঙে পড়ার আতঙ্কের মধ্যে এসব ভবনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
এদিকে কিছু ক্লিনিকে দুই বছরের আগের চেয়ে এখন তিন-চার প্রকার ওষুধ কম দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মী সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) থাকার কথা থাকলেও সব কটিতে ওই দুটি পদে লোক নেই। তবে সিএইচসিপি আছে সবখানেই।
জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, সদর উপজেলায় ২৯টি, পাঁচবিবিতে ৩০টি, কালাইয়ে ১৭টি, আক্কেলপুরে ২১টি এবং ক্ষেতলালে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ২০টির মধ্যে সদর উপজেলায় ৪টি, ক্ষেতলালে ৩টি, কালাইয়ে ৪টি, আক্কেলপুরে ৫টি এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৪টি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায়। ভবনের দেয়ালে ছোট ও বড় ফাটল ধরেছে। দেয়াল এবং ছাদের নিচের পলেস্তারা খসে পড়ে গেছে। কোনো কোনো ভবনের মেঝে দেবে গেছে। বর্ষাকালে দেয়াল ও ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ে ভেতরে। কিছু ক্লিনিকে বিদ্যুতায়ন হয়নি। আছে পানির সংকটও।
জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার মিত্র বলেন, জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক ভবনগুলোর মধ্যে নয়টির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ১১টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে আর্থিক টানাপোড়েনের কথা জানিয়েছেন সিএইচসিপিরা। তাঁদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে তাঁরা সর্বসাকল্যে ১৬ হাজার টাকা বেতন পান। এক যুগেও তাঁদের বেতন-বোনাস বাড়েনি। যেটুকু পান তা-ও অনিয়মিত।
সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের ধারকি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমার কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সেবা নিতে আসেন। তাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশি, আমাশয়, ডায়রিয়া, গ্যাস (অ্যাসিডিটি), শারীরিক দুর্বলতা, গর্ভবতী নারী ও শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দিয়ে থাকি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার কেশুরতা সিসির সিএইচসিপি মনিরা বেগম বলেন, ‘এক যুগেও আমার সিসিতে বিদ্যুতায়ন হয়নি। আছে পানির সমস্যা। বোতলে করে খাওয়ার পানি আনি। ওয়াশ রুমের কাজ করতে হয় দূর থেকে পানি বয়ে এনে।’
সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়তাহার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আগে আমাদের ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৬ প্রকার ওষুধ। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের প্রচুর চাহিদা থাকলেও চাহিদামাফিক সেটা দিতে পারি না। এর বরাদ্দ বাড়ানো হলে তৃণমূলের লোকজন উপকৃত হতো।’
সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মো. খুরশিদ আলম জানান, তাঁরা যেকোনো রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এ ক্লিনিকে আসেন।সেবার মান ভালো। প্রেশার আর ক্যালসিয়ামের ওষুধ পাওয়া যায় না। এগুলোর বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন মো. ওয়াজেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা প্রকল্পের অধীনে কর্মরত থাকাকালে তাঁদের বেতন-বোনাস বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাঁদের যখন ট্রাস্টের মধ্যে নেওয়া হবে তখন যথানিয়মে বেতন-বোনাস বাড়বে।
আর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্যাকেজ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। কোনো বছর প্যাকেজে ওষুধ বেশি থাকে, আবার কোনো বছর থাকে কম।
জয়পুরহাট জেলায় মোট ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২০টির ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৯৩টির অবকাঠামো মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে ভেঙে পড়ার আতঙ্কের মধ্যে এসব ভবনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
এদিকে কিছু ক্লিনিকে দুই বছরের আগের চেয়ে এখন তিন-চার প্রকার ওষুধ কম দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মী সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) থাকার কথা থাকলেও সব কটিতে ওই দুটি পদে লোক নেই। তবে সিএইচসিপি আছে সবখানেই।
জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, সদর উপজেলায় ২৯টি, পাঁচবিবিতে ৩০টি, কালাইয়ে ১৭টি, আক্কেলপুরে ২১টি এবং ক্ষেতলালে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ২০টির মধ্যে সদর উপজেলায় ৪টি, ক্ষেতলালে ৩টি, কালাইয়ে ৪টি, আক্কেলপুরে ৫টি এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৪টি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায়। ভবনের দেয়ালে ছোট ও বড় ফাটল ধরেছে। দেয়াল এবং ছাদের নিচের পলেস্তারা খসে পড়ে গেছে। কোনো কোনো ভবনের মেঝে দেবে গেছে। বর্ষাকালে দেয়াল ও ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ে ভেতরে। কিছু ক্লিনিকে বিদ্যুতায়ন হয়নি। আছে পানির সংকটও।
জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার মিত্র বলেন, জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিক ভবনগুলোর মধ্যে নয়টির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ১১টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে আর্থিক টানাপোড়েনের কথা জানিয়েছেন সিএইচসিপিরা। তাঁদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে তাঁরা সর্বসাকল্যে ১৬ হাজার টাকা বেতন পান। এক যুগেও তাঁদের বেতন-বোনাস বাড়েনি। যেটুকু পান তা-ও অনিয়মিত।
সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের ধারকি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমার কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সেবা নিতে আসেন। তাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশি, আমাশয়, ডায়রিয়া, গ্যাস (অ্যাসিডিটি), শারীরিক দুর্বলতা, গর্ভবতী নারী ও শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দিয়ে থাকি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার কেশুরতা সিসির সিএইচসিপি মনিরা বেগম বলেন, ‘এক যুগেও আমার সিসিতে বিদ্যুতায়ন হয়নি। আছে পানির সমস্যা। বোতলে করে খাওয়ার পানি আনি। ওয়াশ রুমের কাজ করতে হয় দূর থেকে পানি বয়ে এনে।’
সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়তাহার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আগে আমাদের ৩০ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৬ প্রকার ওষুধ। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের প্রচুর চাহিদা থাকলেও চাহিদামাফিক সেটা দিতে পারি না। এর বরাদ্দ বাড়ানো হলে তৃণমূলের লোকজন উপকৃত হতো।’
সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মো. খুরশিদ আলম জানান, তাঁরা যেকোনো রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এ ক্লিনিকে আসেন।সেবার মান ভালো। প্রেশার আর ক্যালসিয়ামের ওষুধ পাওয়া যায় না। এগুলোর বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন মো. ওয়াজেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা প্রকল্পের অধীনে কর্মরত থাকাকালে তাঁদের বেতন-বোনাস বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাঁদের যখন ট্রাস্টের মধ্যে নেওয়া হবে তখন যথানিয়মে বেতন-বোনাস বাড়বে।
আর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্যাকেজ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। কোনো বছর প্যাকেজে ওষুধ বেশি থাকে, আবার কোনো বছর থাকে কম।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪