Ajker Patrika

কেন্দ্র ফির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১২: ৪২
কেন্দ্র ফির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ‘কেন্দ্র ফ্রির’ নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা ‘কেন্দ্র ফি’র নামে এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন।

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে সর্বোচ্চ ফি ১ হাজার ৬১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪৪০ টাকা কেন্দ্র ফি রয়েছে। বাকি ১ হাজার ১৭৫ টাকা বোর্ডের অন্যান্য ফি। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এ টাকা দিতে হবে।

তবে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি ও ৪১০ টাকা কেন্দ্রে ফি সহ মোট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৯৫ টাকা। ৩ এপ্রিল দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের এই নীতিমালা মানেননি কোনো প্রতিষ্ঠান। তারা দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি নিয়ে ফরম পূরণ করেছে। বোর্ডের নীতিমালা উপেক্ষা করে আবার নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

চরমার্টিন উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম রিহান, আরমান, ইব্রাহিম, আনোয়ার জানায়, তাদের প্রবেশপত্রের জন্য ৫০০ টাকা নিতে বলেছেন প্রধান শিক্ষক।

মুন্সিগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী মাহমুদা, রেশমা আক্তার, ফাতেমা, রাকিব হোসেন জানায়, তাদের থেকে অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে ৫৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে কথা বলে টাকা নিচ্ছি।’

চরমার্টিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘কেন্দ্র এবং অন্যান্য ফির জন্য এ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ টাকা সারা বাংলাদেশেই সব প্রতিষ্ঠান নেয়।’

চর লরেন্সে ফরাসগঞ্জ ফয়েজেয়াম আলিম মাদ্রাসার ২০২২ সালের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিবুল হাসান জানান, প্রবেশপত্র দিয়ে তার থেকে ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।

চর লরেন্স ফরাসগঞ্জ ফয়েজেয়াম আলিম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান জানান, কেন্দ্রের ফির জন্য তারা প্রত্যেক ছাত্রকে অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান যোগাযোগ করে এ টাকা নেন।

কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে শিক্ষার্থী থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এই বিষয়ে শুনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত