ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলিতে-গলিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পোষা হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী ও আশপাশের মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে। হাতির মাহুত সেলামির নামে শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলিতে গলিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে, বিভিন্ন হাটবাজার ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন আটকে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাহুত রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা তো না, সালাম দিয়ে সাহায্য নিচ্ছি। সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। হাতিকে খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চাইতে চাইতে পিরোজপুর থেকে ঝালকাঠি শহর পর্যন্ত এসেছি।’
শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলি-গলির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, হাটবাজারে হাতির মাহুতকে সেলামির নামে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। চাঁদা দিলে হাতি শুঁড় দিয়ে গ্রহণ করে মাহুতকে দেয়। আর চাঁদা না পেলে উচ্চ স্বরে ডাক দেয়। ভয়ে ব্যবসায়ী ও পথচারী বাধ্য হয়ে চাঁদা দিচ্ছেন। দুপুরেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অল্প বয়সের একটি এবং ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় প্রাপ্ত বয়স্ক একটিসহ মোট দুটি হাতির মাধ্যমে চাঁদা তুলতে দেখা যায়।
বাজারের ব্যবসায়ী সিকেন্দার আলী বলেন, ‘চাঁদা না দিলে নানাভাবে হাতি দিয়ে বিরক্ত করছে। তাই ভয়ে চাঁদা দিচ্ছি। দুই হাতিকে চাঁদা দিয়েছি।’
ওই বাজারের মুদি দোকানি আফজাল হোসেন বলেন, ‘সকালে কেবল দোকান খুলে বসছি। ঠিক তখনই হাতি এসে দোকানের সামনে হাজির। টাকা নেই বলার পরও হাতি যাচ্ছে না। শুঁড় দিয়ে আমার গায়ে পানি দিচ্ছে। দোকানের মালামাল উল্টাপাল্টা করছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমে ২০ টাকা চাঁদা দিয়েছি। না মানায় পরে ৫০ টাকা দিয়েছি।’
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকেই বাজারে কথা হয় পানের দোকানি লুৎফর রহমানের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনা তো আমারও কোমর ভেঙে দিছে। এই দোকান দিয়েই আমাদের সংসার চলছে। কিন্তু হাতির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। দুই হাতিকে চাঁদা দিয়েছি। চাঁদা দিবো তাতেও দুঃখ নেই। এই হাতি যদি একবার ভুল করি শুঁড় দিয়া দাকানোত ঠেলা মারে, তাইলে সব শেষ হয়া যাইবে।’
বালাবাড়ি বাজারের চাল ব্যবসায়ী আজমত হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মুই দোকান খুলি এক টাকাও বিক্রি করতে পারি নাই। কিন্তুক হাতি এসে হাজির। চাঁদার জন্য ভয় দেখাইছে। বাধ্য হয়ে মাইনসেরটে ধার নিয়া ৫০ টাকা দিছি।’
বিকনা গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নতুন কলেজ রোড এলাকায় একটি হাতি পথ রোধ করে। ভয়ে আমার সন্তান চিৎকার শুরু করে। তড়িঘড়ি করে ২০ টাকা দিলে হাতি নেয় না। পরে ৪০ টাকা দিলে রাস্তা ছেড়ে দেয়।’
আরেক হাতির মাহুত শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো চুরি করছি না। পিরোজপুর থেকে মহাসড়ক দিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। হাটবাজার, রাস্তাঘাটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মানুষকে হাতি দেখিয়ে খুশি করে হাতির খাবারের জন্য টাকা নিচ্ছি। এতে দোষের কী?’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এ রকম ঘটনা আমাকে কেউ জানাননি। এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলিতে-গলিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পোষা হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী ও আশপাশের মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে। হাতির মাহুত সেলামির নামে শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলিতে গলিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে, বিভিন্ন হাটবাজার ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন আটকে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাহুত রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা তো না, সালাম দিয়ে সাহায্য নিচ্ছি। সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। হাতিকে খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চাইতে চাইতে পিরোজপুর থেকে ঝালকাঠি শহর পর্যন্ত এসেছি।’
শহরের বিভিন্ন সড়কে, অলি-গলির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, হাটবাজারে হাতির মাহুতকে সেলামির নামে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। চাঁদা দিলে হাতি শুঁড় দিয়ে গ্রহণ করে মাহুতকে দেয়। আর চাঁদা না পেলে উচ্চ স্বরে ডাক দেয়। ভয়ে ব্যবসায়ী ও পথচারী বাধ্য হয়ে চাঁদা দিচ্ছেন। দুপুরেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অল্প বয়সের একটি এবং ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় প্রাপ্ত বয়স্ক একটিসহ মোট দুটি হাতির মাধ্যমে চাঁদা তুলতে দেখা যায়।
বাজারের ব্যবসায়ী সিকেন্দার আলী বলেন, ‘চাঁদা না দিলে নানাভাবে হাতি দিয়ে বিরক্ত করছে। তাই ভয়ে চাঁদা দিচ্ছি। দুই হাতিকে চাঁদা দিয়েছি।’
ওই বাজারের মুদি দোকানি আফজাল হোসেন বলেন, ‘সকালে কেবল দোকান খুলে বসছি। ঠিক তখনই হাতি এসে দোকানের সামনে হাজির। টাকা নেই বলার পরও হাতি যাচ্ছে না। শুঁড় দিয়ে আমার গায়ে পানি দিচ্ছে। দোকানের মালামাল উল্টাপাল্টা করছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমে ২০ টাকা চাঁদা দিয়েছি। না মানায় পরে ৫০ টাকা দিয়েছি।’
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকেই বাজারে কথা হয় পানের দোকানি লুৎফর রহমানের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনা তো আমারও কোমর ভেঙে দিছে। এই দোকান দিয়েই আমাদের সংসার চলছে। কিন্তু হাতির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। দুই হাতিকে চাঁদা দিয়েছি। চাঁদা দিবো তাতেও দুঃখ নেই। এই হাতি যদি একবার ভুল করি শুঁড় দিয়া দাকানোত ঠেলা মারে, তাইলে সব শেষ হয়া যাইবে।’
বালাবাড়ি বাজারের চাল ব্যবসায়ী আজমত হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মুই দোকান খুলি এক টাকাও বিক্রি করতে পারি নাই। কিন্তুক হাতি এসে হাজির। চাঁদার জন্য ভয় দেখাইছে। বাধ্য হয়ে মাইনসেরটে ধার নিয়া ৫০ টাকা দিছি।’
বিকনা গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নতুন কলেজ রোড এলাকায় একটি হাতি পথ রোধ করে। ভয়ে আমার সন্তান চিৎকার শুরু করে। তড়িঘড়ি করে ২০ টাকা দিলে হাতি নেয় না। পরে ৪০ টাকা দিলে রাস্তা ছেড়ে দেয়।’
আরেক হাতির মাহুত শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো চুরি করছি না। পিরোজপুর থেকে মহাসড়ক দিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। হাটবাজার, রাস্তাঘাটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মানুষকে হাতি দেখিয়ে খুশি করে হাতির খাবারের জন্য টাকা নিচ্ছি। এতে দোষের কী?’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এ রকম ঘটনা আমাকে কেউ জানাননি। এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১০ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১০ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১০ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫