নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
ভূমি অধিগ্রহণ আইনে না থাকলেও অর্থ ছাড়ে ১০ শতাংশ কর্তনের শর্তে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করতে পারছে না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এ কারণে শুরু হচ্ছে না শরীয়তপুর থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনে চালু হওয়ার কথা রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে শরীয়তপুরের যোগাযোগ সহজ করতে জেলা শহর থেকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নয়নের কাজ হাতে নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পে সড়ক উন্নয়নে নতুন করে ১০৫ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা, বাকি ৪২৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সড়ক নির্মাণে। এর মধ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পরিশোধ করার জন্য জেলা প্রশাসককে ১১০ কোটি টাকার অর্থ ছাড় দেয় সওজ বিভাগ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত থাকলেও ইতিমধ্যে সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সড়ক উন্নয়নে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২১টি এলএ কেসের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ নম্বর এলএ কেসে থাকা ১০ একর জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৬ কোটি ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৫৫ টাকার প্রাক্কলন মূল্য নির্ধারণ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য চিঠি দেয় সওজ বিভাগকে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে অধিগ্রহণ করা জমিতে থাকা অবকাঠামো ও গাছপালার ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে নিলাম মূল্য বাবদ ১০ শতাংশ কর্তনের শর্ত দিয়ে জেলা প্রশাসককে অর্থ অনুমোদনের চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
ভূমি অধিগ্রহণ আইনে বিষয়টি না থাকায় ওই চিঠি দেওয়ার পর থেমে যায় ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরের কাজ। বিষয়টি সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-তে নিলাম মূল্য হিসেবে ১০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি উল্লেখ নেই। কোনো প্রকল্পের প্রাক্কলিত অর্থ শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া আইন সিদ্ধ নয় বা কোনো শর্ত আরোপ করে প্রাক্কলিত অর্থ প্রাপ্তির নজির এ কার্যালয়ে নেই। শর্তটি বাস্তবায়িত হলে জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে।
নাওডোবা এলাকার মজিবর মাতবর বলেন, ‘এর আগেও আমাগো জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তখন কোনো টাকা কাটেনি সরকার। এমন হলে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা নিব না, আমাদের জমিও সরকারকে দিব না।’
শরীয়তপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওনুর রহমান বলেন, ‘প্রাক্কলন মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি ভূমি অধিগ্রহণ আইনে না থাকলেও এ জাতীয় বিষয় আমাদের প্র্যাকটিসে আছে। মন্ত্রণালয়ের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিসি অফিস যে ব্যবস্থা নিবে, সেটাই হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসমাউল হুসনা লিজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সওজ বিভাগ থেকে আমরা যে চিঠিটা পেয়েছি, সেটা আমাদের ভূমি অধিগ্রহণ আইন পারমিট করে না। আইনের বাইরে জেলা প্রশাসন থেকে কিছু করার সুযোগ নেই। যেহেতু চিঠিতে ১০ শতাংশ কাটার শর্ত উল্লেখ করা আছে, তাই এটা নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এ জন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আশা করি, দ্রুতই আমরা এটা সমাধান করতে পারব।’
ভূমি অধিগ্রহণ আইনে না থাকলেও অর্থ ছাড়ে ১০ শতাংশ কর্তনের শর্তে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করতে পারছে না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এ কারণে শুরু হচ্ছে না শরীয়তপুর থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত সংযোগ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনে চালু হওয়ার কথা রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে শরীয়তপুরের যোগাযোগ সহজ করতে জেলা শহর থেকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নয়নের কাজ হাতে নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পে সড়ক উন্নয়নে নতুন করে ১০৫ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা, বাকি ৪২৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সড়ক নির্মাণে। এর মধ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পরিশোধ করার জন্য জেলা প্রশাসককে ১১০ কোটি টাকার অর্থ ছাড় দেয় সওজ বিভাগ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত থাকলেও ইতিমধ্যে সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সড়ক উন্নয়নে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২১টি এলএ কেসের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ নম্বর এলএ কেসে থাকা ১০ একর জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৬ কোটি ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৫৫ টাকার প্রাক্কলন মূল্য নির্ধারণ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য চিঠি দেয় সওজ বিভাগকে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে অধিগ্রহণ করা জমিতে থাকা অবকাঠামো ও গাছপালার ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে নিলাম মূল্য বাবদ ১০ শতাংশ কর্তনের শর্ত দিয়ে জেলা প্রশাসককে অর্থ অনুমোদনের চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
ভূমি অধিগ্রহণ আইনে বিষয়টি না থাকায় ওই চিঠি দেওয়ার পর থেমে যায় ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরের কাজ। বিষয়টি সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-তে নিলাম মূল্য হিসেবে ১০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি উল্লেখ নেই। কোনো প্রকল্পের প্রাক্কলিত অর্থ শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া আইন সিদ্ধ নয় বা কোনো শর্ত আরোপ করে প্রাক্কলিত অর্থ প্রাপ্তির নজির এ কার্যালয়ে নেই। শর্তটি বাস্তবায়িত হলে জনরোষ সৃষ্টি হতে পারে।
নাওডোবা এলাকার মজিবর মাতবর বলেন, ‘এর আগেও আমাগো জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তখন কোনো টাকা কাটেনি সরকার। এমন হলে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা নিব না, আমাদের জমিও সরকারকে দিব না।’
শরীয়তপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওনুর রহমান বলেন, ‘প্রাক্কলন মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি ভূমি অধিগ্রহণ আইনে না থাকলেও এ জাতীয় বিষয় আমাদের প্র্যাকটিসে আছে। মন্ত্রণালয়ের অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিসি অফিস যে ব্যবস্থা নিবে, সেটাই হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসমাউল হুসনা লিজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সওজ বিভাগ থেকে আমরা যে চিঠিটা পেয়েছি, সেটা আমাদের ভূমি অধিগ্রহণ আইন পারমিট করে না। আইনের বাইরে জেলা প্রশাসন থেকে কিছু করার সুযোগ নেই। যেহেতু চিঠিতে ১০ শতাংশ কাটার শর্ত উল্লেখ করা আছে, তাই এটা নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এ জন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আশা করি, দ্রুতই আমরা এটা সমাধান করতে পারব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪