Ajker Patrika

প্রবাসীকল্যাণের বড় ঋণে সাড়া নেই

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৫৯
প্রবাসীকল্যাণের বড় ঋণে সাড়া নেই

এক দশক আগে যাত্রা শুরু করা প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ঋণের আবেদন পড়েনি। এমনকি সর্বোচ্চ ঋণসীমা ৫০ লাখ টাকা হলেও ১০ লাখের বেশি ঋণ নিতে আসেননি কোনো গ্রাহক। যদিও বিদেশগামী ও ফেরতদের বিশেষ সুবিধা দিতে এ ব্যাংকটি খোলা হয়। তবে জামানতবিহীন ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার কম ঋণের চাহিদা আছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন, জামানতবিহীন ঋণের প্রতি ঝোঁক। শুধু একজন জামিনদার হলেই গ্রাহক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন।

প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক ২০১১ সালে থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা।

মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘আমরা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করে থাকি। ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লাখ টাকা। তবে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সীমার ঋণ পেতে কোনো আবেদন জমা পড়েনি। এর প্রধান কারণ হলো জামানতবিহীন ঋণের প্রতি ঝোঁক। শুধু একজন জামিনদার হলেই তারা যেহেতু ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। সে জন্য বেশি টাকার ঋণ পেতে খুব একটা আগ্রহ দেখান না।’

কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যাংকে কোনো ঋণ জটিলতা নেই। তাঁরা দ্রুত অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকেন। এমনকি একদিনেও ঋণ মঞ্জুর করা হয়। এ প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জাহিদুল হক বলেন, ‘প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকে ঋণ পেতে কোনো জটিলতা নেই। শুধু একজন জামিনদার ও ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারলে যে কেউ ঋণ পেতে পারেন। আর ব্যাংক প্রয়োজনে এক দিনেও ঋণ দিতে পারে।’

প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় ৯১টি ব্রাঞ্চে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যেসব এলাকা থেকে বেশিসংখ্যক মানুষ প্রবাসে যান, সেখানে একাধিক শাখা রয়েছে।

লালমনিরহাটের মিনারা বেগম নামের এক বিদেশফেরত নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি করোনকালে দেশে ফিরেছেন। তিনি ৩ লাখ টাকা প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হয়েছেন। এ ঋণ পেতে জামানতকারীই যথেষ্ট বলে তিনি জানান।

প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের এভিপি মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদায়ী বছরের শেষ দিন পর্যন্ত কোনো বিদেশফেরত ঋণগ্রহীতা পুনর্বাসনের জন্য ব্যাংকের কাছে ১০ লাখ টাকার বেশি ঋণ আবেদন করেননি। তবে বিনা জামানতে ঋণের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।’

জানা যায়, ব্যাংকের শাখা ও জনবল বাড়ানো হচ্ছে। শাখা পর্যায়ে ঋণ ছাড়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জামানত ছাড়া ঋণের সীমা ও প্রচার বাড়ানো হয়েছে। এতে ঋণের সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত