নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকৃতিতে প্রচণ্ড দাবদাহ। ভেঙে যাচ্ছে গরমের যুগ যুগের রেকর্ড। হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এই অবস্থায় স্বভাবতই বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। ঢাকায় তেমন না হলেও গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় দিনে ২ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
লোডশেডিংয়ে মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মানুষ কষ্ট থেকে বাঁচতে এখন বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন বিপদে আছি।’
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার বিদ্যুৎ বিতরণে রাজধানী ঢাকা এবং মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ, দেশের অধিকাংশ কলকারখানা শহরাঞ্চলে অবস্থিত। শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখতে সরকার শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত করতে চাইছে না। শহরে অধিক বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে গ্রামে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকাল ধরা হয়। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ে। দেশে গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট থাকলেও রমজানে এবং সেচ মৌসুমে এ চাহিদা ঠেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে।
মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দু-তিন দিন আগেও দেশে লোডশেডিং ছিল না। রামপাল ও আশুগঞ্জের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের যত সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে চেষ্টা করছি। দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিংয়ের অবস্থা একটু স্বাভাবিক হবে।’
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ে ভুগছে মানুষ
দেশে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৫৪টি। এসব কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। গত ১১ মার্চ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দেশে রেকর্ড ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।
রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরও ঠিকমতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নোয়াখালীর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শনিবার সারা দিন হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ছয় ঘণ্টার মতো। কিছুক্ষণ পরপর লোডশেডিং হয় আর আমাদের জেনারেটর চালু করতে হয়। একটু পর পর জেনারেটর চালু করার কারণে মেশিনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে জানিয়ে পিডিবি নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের ৭০ হাজার গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১২-১৩ মেগাওয়াট।’
নোয়াখালী ছাড়াও সারা দেশের আজকের পত্রিকার কমপক্ষে ৩০ জন প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ২ থেকে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ থাকছে না ইফতার, সাহ্রি ও নামাজের সময়েও। মাঝরাতেও বিদ্যুৎ চলে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সখীপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এলেও তাতে পানির মোটর চলে না।’
ফেনীর কিছু কিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকেরা। সাহ্রি, ইফতার ও তারাবিহর সময়ে বিদ্যুৎ যাওয়া অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সনৎ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার বিদ্যুতের মোট চাহিদার ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি আমরা। উপজেলায় চাহিদা আছে ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ মেগাওয়াট।’
সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রোজিনা আক্তার রুবি বলেন, গতকাল সাহ্রির আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই সময়ও যে বিদ্যুৎ থাকবে না, সেটা ভাবিনি। মোমবাতিও ছিল না ঘরে। পরে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে সাহ্রি করেছি।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি, সেটা আমরা অবগত। মানুষজন আমাদের ফোন করে। আমরা চেষ্টা করছি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে।’
বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর
ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ রাত পৌনে আটটার দিকে মিছিলসহকারে গিয়ে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিসের আসবাব, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে। ভয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। একপর্যায় মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কে অবস্থান নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে লোকজন সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ছাগলনাইয়া পৌর শহরের ব্যবসায়ী বিনি আমিনসহ অন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ছাগলনাইয়া পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।’
শহরে এখনো পরিস্থিতি সহনীয়
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জোনে বিদ্যুতের চাহিদা আছে ১ হাজার ২৫১ মেগাওয়াট। আজকে (গতকাল) শুধু ২ ঘণ্টা ছাড়া আমার এলাকায় পুরোপুরি লোড পেয়েছি। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সমস্যা হওয়াই এই দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হয়েছে।’
গ্রামে লোডশেডিংয়ের অবস্থা জানতে চাইলে আমীর আলী বলেন, ‘আমি শুনেছি, গ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি।’ রমজান ও গ্রীষ্মে যে লোডশেডিং হতে পারে, সে আশঙ্কার কথা গত ১৪ মার্চ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।’
প্রকৃতিতে প্রচণ্ড দাবদাহ। ভেঙে যাচ্ছে গরমের যুগ যুগের রেকর্ড। হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এই অবস্থায় স্বভাবতই বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। ঢাকায় তেমন না হলেও গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় দিনে ২ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
লোডশেডিংয়ে মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মানুষ কষ্ট থেকে বাঁচতে এখন বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন বিপদে আছি।’
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার বিদ্যুৎ বিতরণে রাজধানী ঢাকা এবং মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ, দেশের অধিকাংশ কলকারখানা শহরাঞ্চলে অবস্থিত। শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখতে সরকার শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত করতে চাইছে না। শহরে অধিক বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে গ্রামে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকাল ধরা হয়। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ে। দেশে গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট থাকলেও রমজানে এবং সেচ মৌসুমে এ চাহিদা ঠেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে।
মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দু-তিন দিন আগেও দেশে লোডশেডিং ছিল না। রামপাল ও আশুগঞ্জের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের যত সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে চেষ্টা করছি। দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিংয়ের অবস্থা একটু স্বাভাবিক হবে।’
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ে ভুগছে মানুষ
দেশে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৫৪টি। এসব কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। গত ১১ মার্চ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দেশে রেকর্ড ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।
রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরও ঠিকমতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নোয়াখালীর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শনিবার সারা দিন হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ছয় ঘণ্টার মতো। কিছুক্ষণ পরপর লোডশেডিং হয় আর আমাদের জেনারেটর চালু করতে হয়। একটু পর পর জেনারেটর চালু করার কারণে মেশিনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে জানিয়ে পিডিবি নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের ৭০ হাজার গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১২-১৩ মেগাওয়াট।’
নোয়াখালী ছাড়াও সারা দেশের আজকের পত্রিকার কমপক্ষে ৩০ জন প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ২ থেকে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ থাকছে না ইফতার, সাহ্রি ও নামাজের সময়েও। মাঝরাতেও বিদ্যুৎ চলে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সখীপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এলেও তাতে পানির মোটর চলে না।’
ফেনীর কিছু কিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকেরা। সাহ্রি, ইফতার ও তারাবিহর সময়ে বিদ্যুৎ যাওয়া অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাগাজী জোনালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সনৎ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার বিদ্যুতের মোট চাহিদার ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি আমরা। উপজেলায় চাহিদা আছে ১৮ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ মেগাওয়াট।’
সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রোজিনা আক্তার রুবি বলেন, গতকাল সাহ্রির আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই সময়ও যে বিদ্যুৎ থাকবে না, সেটা ভাবিনি। মোমবাতিও ছিল না ঘরে। পরে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে সাহ্রি করেছি।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি, সেটা আমরা অবগত। মানুষজন আমাদের ফোন করে। আমরা চেষ্টা করছি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে।’
বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর
ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ রাত পৌনে আটটার দিকে মিছিলসহকারে গিয়ে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিসের আসবাব, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে। ভয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। একপর্যায় মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কে অবস্থান নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে লোকজন সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ছাগলনাইয়া পৌর শহরের ব্যবসায়ী বিনি আমিনসহ অন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ছাগলনাইয়া পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।’
শহরে এখনো পরিস্থিতি সহনীয়
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জোনে বিদ্যুতের চাহিদা আছে ১ হাজার ২৫১ মেগাওয়াট। আজকে (গতকাল) শুধু ২ ঘণ্টা ছাড়া আমার এলাকায় পুরোপুরি লোড পেয়েছি। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সমস্যা হওয়াই এই দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হয়েছে।’
গ্রামে লোডশেডিংয়ের অবস্থা জানতে চাইলে আমীর আলী বলেন, ‘আমি শুনেছি, গ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি।’ রমজান ও গ্রীষ্মে যে লোডশেডিং হতে পারে, সে আশঙ্কার কথা গত ১৪ মার্চ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪