নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন করবে, যা এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আবির্ভূত মূল্যবোধগুলোকে তুলে ধরে। গতকাল শুক্রবার সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয় এবং ঢাকায় ‘ভারতীয় বন্ধুদের’ জন্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজের বাংলাদেশের মৌলিক মূল্যবোধ বজায় রাখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম প্রধান অবদান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলাম, ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন করবে যা এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আবির্ভূত মূল্যবোধগুলোকে তুলে ধরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা করার আনন্দ ও সম্মানের পাশাপাশি, বাংলাদেশের জনগণের উষ্ণতা ও ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে।’
ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয়দের হৃদয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে বলে জানিয়ে রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ‘আমাদের রয়েছে আত্মীয়তা, ভাগাভাগি করা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রাচীন বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে রচিত এক অনন্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের বিচক্ষণ নেতৃত্বের দ্বারা লালিত হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘ভারতও এই প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগসূত্র তৈরি হয়েছে, সেটিও এই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের যৌথ গল্পে অবদান রেখেছে।’
বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি আপনারা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী, ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেও দৃঢ় করেছেন। আমাদের অঞ্চলে সমৃদ্ধি এনে আপনারা ভারতকে গর্বিত করেছেন।’
রামনাথ কোবিন্দ বলেন, আমি বাংলাদেশে আমাদের বন্ধুদের আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, ভারত আপনাদের অসাধারণ সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকার, যৌথভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন এবং আমাদের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যাশা করছি।
রমনা কালীমন্দিরে ভারতের রাষ্ট্রপতি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকীর বিশেষ আয়োজনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিন দিনের সফরের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার তিনি ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের উদ্বোধন করেন।
গতকাল রমনা মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছালে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দ। মন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের ফলক উন্মোচনের পর স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করেন রামনাথ কোবিন্দ। মূল মন্দিরে ঢোকার সময় শাঁখ বাজিয়ে সনাতনী রীতিতে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। প্রার্থনা শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত মন্দির কমিটির সদস্য ও সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
রমনা কালীমন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সরকার গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ এখানে গণহত্যা হয়েছিল। রমনা মন্দিরটি ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই অংশটি ভারত সরকারের সাত কোটি টাকা অনুদানে সংস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে গত বুধবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ঢাকায় তিনি একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন করবে, যা এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আবির্ভূত মূল্যবোধগুলোকে তুলে ধরে। গতকাল শুক্রবার সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয় এবং ঢাকায় ‘ভারতীয় বন্ধুদের’ জন্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজের বাংলাদেশের মৌলিক মূল্যবোধ বজায় রাখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম প্রধান অবদান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলাম, ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন করবে যা এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আবির্ভূত মূল্যবোধগুলোকে তুলে ধরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা করার আনন্দ ও সম্মানের পাশাপাশি, বাংলাদেশের জনগণের উষ্ণতা ও ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে।’
ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয়দের হৃদয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে বলে জানিয়ে রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ‘আমাদের রয়েছে আত্মীয়তা, ভাগাভাগি করা ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রাচীন বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে রচিত এক অনন্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের বিচক্ষণ নেতৃত্বের দ্বারা লালিত হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘ভারতও এই প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগসূত্র তৈরি হয়েছে, সেটিও এই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের যৌথ গল্পে অবদান রেখেছে।’
বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি আপনারা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী, ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেও দৃঢ় করেছেন। আমাদের অঞ্চলে সমৃদ্ধি এনে আপনারা ভারতকে গর্বিত করেছেন।’
রামনাথ কোবিন্দ বলেন, আমি বাংলাদেশে আমাদের বন্ধুদের আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, ভারত আপনাদের অসাধারণ সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকার, যৌথভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন এবং আমাদের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যাশা করছি।
রমনা কালীমন্দিরে ভারতের রাষ্ট্রপতি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকীর বিশেষ আয়োজনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিন দিনের সফরের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার তিনি ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের উদ্বোধন করেন।
গতকাল রমনা মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছালে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দ। মন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের ফলক উন্মোচনের পর স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করেন রামনাথ কোবিন্দ। মূল মন্দিরে ঢোকার সময় শাঁখ বাজিয়ে সনাতনী রীতিতে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। প্রার্থনা শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত মন্দির কমিটির সদস্য ও সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
রমনা কালীমন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সরকার গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ এখানে গণহত্যা হয়েছিল। রমনা মন্দিরটি ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই অংশটি ভারত সরকারের সাত কোটি টাকা অনুদানে সংস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে গত বুধবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ঢাকায় তিনি একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪