মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আগৈলঝাড়ার খামারিরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক খামারে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এ উপজেলায় প্রায় দশ হাজার ষাঁড় ও গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।
উপজেলার বাশাইল শামীম সিকদারের গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেছে, মাথার ওপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা, নিচে পাকা মেঝে। খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের দেশি খাদ্য। সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরিচর্যা।
উপজেলার দুই শতাধিক খামারে এভাবেই আদর-যত্নে পালিত হচ্ছে গরু গুলো। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরু গুলোও হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের খামারি শামীম শিকদার জানান, তিনি ২০১২ সালে ২০টি দেশি ষাঁড় কিনে মোটাতাজা শুরু করেন। এখন বর্তমানে তাঁর খামারে প্রায় ৫০টি ষাঁড় রয়েছে। বাড়িতেই ষাঁড়গুলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাহায্যে লালন পালন করে আসছেন। গরুগুলো এরই মধ্যে অনেক বড় ও মোটাতাজা হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদে গরুগুলো বিক্রি করবেন। তাঁর খামারে সবচেয়ে বড় ষাঁড়টির ওজন ২ হাজার ৫০০ কেজি। তাঁর খামারে ৬টি মহিষও রয়েছে।
শামীম শিকদার আরও জানান, ষাঁড়গুলোকে কোনো অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে খড়, খৈল, ভুঁষি ও কাঁচা ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা খরচ একটু বেশি হলেও গরু কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে থাকে না।
উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ১২টি গরু মোটাতাজা করছেন। গরুর কোনো সমস্যা মনে হলেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের লোকজনদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ নেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় মোটাতাজাকরণ ব্যয় অনেকটা বেড়েছে। কোরবানিতেগরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
নুর ফিশারিজের মালিক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু আসা কমে যাওয়ায় এখন তিনি এ খামার ব্যবসায় জোর দিয়েছেন। বর্তমানে খামারে ২০টি গরু রয়েছে। সন্তানের মতো খেয়াল রেখে খামারে গরুগুলো লালন-পালন করছেন। গ্রাম থেকে গরু কিনে পরবর্তীতে ৫-৬ মাস ধরে নিজ খামারে তা যত্ন নিয়ে পালন করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। তাঁর জানা মতে বাশাইল গ্রামের শামীম শিকদারের গরুর খামারটি সবচেয়ে বড়। তিনি কয়েকবারই সেখানে গিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে অনেকেই গরু লালন-পালন করেছেন বিভিন্ন খামারি। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বড় ধরনের ষাঁড় বা দামি গরু সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতাদেরই বেশি আকৃষ্ট করে। স্থানীয়ভাবে এই গরুর ক্রেতার খুবই সংকট।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, তাঁরা সব সময় এলাকার খামারিদের খোঁজ খবর রাখেন। গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন খামারিদের। এ ছাড়া গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠে পর্যায়ে কাজ করছেন।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আগৈলঝাড়ার খামারিরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক খামারে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এ উপজেলায় প্রায় দশ হাজার ষাঁড় ও গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।
উপজেলার বাশাইল শামীম সিকদারের গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেছে, মাথার ওপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা, নিচে পাকা মেঝে। খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের দেশি খাদ্য। সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরিচর্যা।
উপজেলার দুই শতাধিক খামারে এভাবেই আদর-যত্নে পালিত হচ্ছে গরু গুলো। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরু গুলোও হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের খামারি শামীম শিকদার জানান, তিনি ২০১২ সালে ২০টি দেশি ষাঁড় কিনে মোটাতাজা শুরু করেন। এখন বর্তমানে তাঁর খামারে প্রায় ৫০টি ষাঁড় রয়েছে। বাড়িতেই ষাঁড়গুলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাহায্যে লালন পালন করে আসছেন। গরুগুলো এরই মধ্যে অনেক বড় ও মোটাতাজা হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদে গরুগুলো বিক্রি করবেন। তাঁর খামারে সবচেয়ে বড় ষাঁড়টির ওজন ২ হাজার ৫০০ কেজি। তাঁর খামারে ৬টি মহিষও রয়েছে।
শামীম শিকদার আরও জানান, ষাঁড়গুলোকে কোনো অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে খড়, খৈল, ভুঁষি ও কাঁচা ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা খরচ একটু বেশি হলেও গরু কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে থাকে না।
উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ১২টি গরু মোটাতাজা করছেন। গরুর কোনো সমস্যা মনে হলেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের লোকজনদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ নেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় মোটাতাজাকরণ ব্যয় অনেকটা বেড়েছে। কোরবানিতেগরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
নুর ফিশারিজের মালিক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু আসা কমে যাওয়ায় এখন তিনি এ খামার ব্যবসায় জোর দিয়েছেন। বর্তমানে খামারে ২০টি গরু রয়েছে। সন্তানের মতো খেয়াল রেখে খামারে গরুগুলো লালন-পালন করছেন। গ্রাম থেকে গরু কিনে পরবর্তীতে ৫-৬ মাস ধরে নিজ খামারে তা যত্ন নিয়ে পালন করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। তাঁর জানা মতে বাশাইল গ্রামের শামীম শিকদারের গরুর খামারটি সবচেয়ে বড়। তিনি কয়েকবারই সেখানে গিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে অনেকেই গরু লালন-পালন করেছেন বিভিন্ন খামারি। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বড় ধরনের ষাঁড় বা দামি গরু সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতাদেরই বেশি আকৃষ্ট করে। স্থানীয়ভাবে এই গরুর ক্রেতার খুবই সংকট।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, তাঁরা সব সময় এলাকার খামারিদের খোঁজ খবর রাখেন। গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন খামারিদের। এ ছাড়া গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠে পর্যায়ে কাজ করছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪