Ajker Patrika

খামারে চলছে গরুর পরিচর্যা

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১১: ১৭
খামারে চলছে গরুর পরিচর্যা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদিপশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আগৈলঝাড়ার খামারিরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক খামারে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এ উপজেলায় প্রায় দশ হাজার ষাঁড় ও গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।

উপজেলার বাশাইল শামীম সিকদারের গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেছে, মাথার ওপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা, নিচে পাকা মেঝে। খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের দেশি খাদ্য। সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরিচর্যা।

উপজেলার দুই শতাধিক খামারে এভাবেই আদর-যত্নে পালিত হচ্ছে গরু গুলো। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরু গুলোও হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।

উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের খামারি শামীম শিকদার জানান, তিনি ২০১২ সালে ২০টি দেশি ষাঁড় কিনে মোটাতাজা শুরু করেন। এখন বর্তমানে তাঁর খামারে প্রায় ৫০টি ষাঁড় রয়েছে। বাড়িতেই ষাঁড়গুলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাহায্যে লালন পালন করে আসছেন। গরুগুলো এরই মধ্যে অনেক বড় ও মোটাতাজা হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদে গরুগুলো বিক্রি করবেন। তাঁর খামারে সবচেয়ে বড় ষাঁড়টির ওজন ২ হাজার ৫০০ কেজি। তাঁর খামারে ৬টি মহিষও রয়েছে।

শামীম শিকদার আরও জানান, ষাঁড়গুলোকে কোনো অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে খড়, খৈল, ভুঁষি ও কাঁচা ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা খরচ একটু বেশি হলেও গরু কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে থাকে না।

উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ১২টি গরু মোটাতাজা করছেন। গরুর কোনো সমস্যা মনে হলেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের লোকজনদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ নেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় মোটাতাজাকরণ ব্যয় অনেকটা বেড়েছে। কোরবানিতেগরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

নুর ফিশারিজের মালিক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু আসা কমে যাওয়ায় এখন তিনি এ খামার ব্যবসায় জোর দিয়েছেন। বর্তমানে খামারে ২০টি গরু রয়েছে। সন্তানের মতো খেয়াল রেখে খামারে গরুগুলো লালন-পালন করছেন। গ্রাম থেকে গরু কিনে পরবর্তীতে ৫-৬ মাস ধরে নিজ খামারে তা যত্ন নিয়ে পালন করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। তাঁর জানা মতে বাশাইল গ্রামের শামীম শিকদারের গরুর খামারটি সবচেয়ে বড়। তিনি কয়েকবারই সেখানে গিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে অনেকেই গরু লালন-পালন করেছেন বিভিন্ন খামারি। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বড় ধরনের ষাঁড় বা দামি গরু সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতাদেরই বেশি আকৃষ্ট করে। স্থানীয়ভাবে এই গরুর ক্রেতার খুবই সংকট।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, তাঁরা সব সময় এলাকার খামারিদের খোঁজ খবর রাখেন। গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন খামারিদের। এ ছাড়া গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠে পর্যায়ে কাজ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত