Ajker Patrika

রমরমা ব্যবসা মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীদের

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪৮
Thumbnail image

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সদর বাজারে মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বেড়েছে। দোকানগুলোতে চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সাত ইউনিয়নের শতাধিক স্থানে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা বিভিন্ন রকমের পিঠা বিক্রি করছেন। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা পিঠা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত এলেই যেন ভাগ্য খুলে যায় এসব মৌসুমি পিঠা বিক্রেতার।

একাধিক পিঠা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাড়াইলে চিতই পিঠা খুবই জনপ্রিয়। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠাপ্রেমীরা ভিড় জমান ফুটপাতে বসা পিঠার দোকানে। লাইন দিয়ে পিঠা কেনেন তাঁরা। কেউ কেউ খেয়ে আবার পরিবারের সদস্যদের জন্যও নিয়ে যান।

উপজেলার সদর বাজারে রয়েছে ১০ থেকে ১৫টি পিঠার দোকান। শুধু শীত মৌসুমেই দোকানগুলো দেখা যায়। এ ছাড়া নানা স্থানে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান রয়েছে। দোকানগুলোতে প্রতিটি ভাপা পিঠা বিক্রি হয় ১০ টাকায়।

কথা হয় তাড়াইল সদর বাজারের ব্যাংক এশিয়ার নিচে ফুটপাতে পিঠা বিক্রেতা সাচাইল গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে থাকেন। চালের গুঁড়া, গুড় ও লাকড়ি খরচ বাদে ৫০০-৮০০ টাকা থাকে।

তিনি আরও বলেন, তাঁর দোকানে চিতই পিঠা বেশি বিক্রি হয়। কারণ পিঠার সঙ্গে প্রায় ২২ ধরনের ভর্তা আছে। এর জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয় না।

পিঠা কিনতে আসা কালনা গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘বাসায় পিঠা তৈরি করা এখন অনেক কষ্টের। তাই বাজার থেকে পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। বাড়িতে বানাতে যে কষ্ট আর খরচ, তার চেয়ে এটাই ভালো।’

ক্রেতা হাবুল মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যার পর হালকা কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়। তখন ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান থেকে আমি পিঠা খাই। ভাপা পিঠা আমার খুব পছন্দের। শীতের ভেতর উনুনের পাশে দাঁড়িয়ে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত