জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
হাওর থেকে কাটা ধান মাড়াই করে শুকানোর জন্য খলায় স্তূপ করে রেখেছিলেন আহসানপুর গ্রামের সবচেয়ে বড় কৃষক আব্দুস শহিদ। প্রায় শুকিয়ে আসা এসব ধান দুদিন পরে গোলায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই এসে পড়ে ঢলের পানি। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে নিমেষেই ভেসে গেছে এই কৃষকের ৩৩০ মণ ধান।
এত কষ্টের ফসল শেষ মুহূর্তে এসে ঘরে তুলতে না পারায় আক্ষেপে চুপ হয়ে গেছেন আব্দুস শহিদ। শুধু বললেন, ‘ঢলের ফানি আমার সর্বনাশ কইরা গেছে। এখন আমার পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।’
তাঁর মতো আহসানপুর গ্রামের আরও অনেক কৃষকের ধান ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঢলের পানি। ‘জমিতে থাইকা ভাইসা গেলেও কষ্ট আছিল না। কাটানোর জন্য ধান শুকানোর পরে যে নিল এই কষ্ট কেমনে ভুলতাম।’ —শুকনো ধান হারিয়ে গতকাল মঙ্গলবার
এভাবেই বিলাপ করছিলেন ওই গ্রামের হাসিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘যখন শুনছি পানি ডুকতাছে, তখন আমার একটা মাত্র মেয়েরে নিয়া ৭০ মণ ধানের মধ্যে যতটা পারি তুলার চেষ্টা করছি। সবার ধান ওই খলাত, কে কারটা ধরব?’
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বৌলাই নদীপাড়ে আহসানপুর গ্রাম। রোববার রাত ১১টায় ঢলের পানির তোড়ে সেখানকার ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এতে প্রবলবেগে পানি ঢুকতে শুরু করে হাওরে। তলিয়ে যেতে বসেছে দুই হাজার হেক্টর ফসল। যত সময় যাচ্ছে, ততই পুরো হাওরের দিকে পানির বেগ বাড়ছে।
আহসানপুরে যখন শুকনো ধান ভেসে যাচ্ছিল, তখন দিব্যি নিশ্চিন্ত ছিলেন পাশের মদনাখান্দি গ্রামের চাষিরা। যখন তাঁরা পানির কথা জানতে পারেন, ততক্ষণে সব শেষ। হালির হাওরপাড়ের এই গ্রামের কৃষক সুধীর তালুকদার বলেন, ‘আহসানপুর গ্রামের বাঁধ ভাঙছে। এই খবরটা যদি আমরা পাইতাম, লগে লগে ধান কাটার ব্যবস্থা করতে পারতাম। যখন খবর পাইছি, তখন আর কিচ্ছু বাকি নাই। বাইর ওইয়া দেখি পানি আর পানি। আমরা বুড়া-বুড়ি যাই পারি রাত্রেই কাইটা আনছি।’
আহসানপুর ও মদনাখান্দি গ্রামের মতো পুরো সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে কৃষকের চাপা কান্না। চৈত্রের শেষের দিকে ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি হয়। পরে উজান থেকে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসল রক্ষা বাঁধগুলোতে চাপ পড়ে। এতে প্রায় ১৪টি বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে যায়। নিঃস্ব হয়ে পড়েন জেলার ২৩ হাজার কৃষক।
হাওরাঞ্চলের একটি মাত্র ফসল বোরো ধান। এই ফসলকে ছয় মাস লালন করে বৈশাখ এলেই সেই লালিত ফসল ঘরে তুলবে—এমন স্বপ্নে বিভোর থাকেন হাওরবাসী। কেউ বসতভিটা মেরামত, কেউবা মেয়ে কিংবা ছেলের বিয়ের স্বপ্ন, আবার কেউ সন্তানকে প্রবাসে পাঠানোর অপেক্ষা করে বৈশাখ মাসে ফসল তোলার পর অর্থ জোগান হবে ফসল বিক্রি করে—সেই আশা থাকেন। সুনামগঞ্জে ছোট-বড় ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরে জমানো থাকে প্রতিটা কৃষক পরিবারের স্বপ্ন। গত ১ এপ্রিল থেকে ভারতের মেঘালয়ে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের ফলে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ভাসছে। কেউ কেউ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাওরে পানি প্রবেশ করেছে, তবুও হাল ছাড়েননি অনেক কৃষক।
হাওর থেকে কাটা ধান মাড়াই করে শুকানোর জন্য খলায় স্তূপ করে রেখেছিলেন আহসানপুর গ্রামের সবচেয়ে বড় কৃষক আব্দুস শহিদ। প্রায় শুকিয়ে আসা এসব ধান দুদিন পরে গোলায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই এসে পড়ে ঢলের পানি। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে নিমেষেই ভেসে গেছে এই কৃষকের ৩৩০ মণ ধান।
এত কষ্টের ফসল শেষ মুহূর্তে এসে ঘরে তুলতে না পারায় আক্ষেপে চুপ হয়ে গেছেন আব্দুস শহিদ। শুধু বললেন, ‘ঢলের ফানি আমার সর্বনাশ কইরা গেছে। এখন আমার পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।’
তাঁর মতো আহসানপুর গ্রামের আরও অনেক কৃষকের ধান ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঢলের পানি। ‘জমিতে থাইকা ভাইসা গেলেও কষ্ট আছিল না। কাটানোর জন্য ধান শুকানোর পরে যে নিল এই কষ্ট কেমনে ভুলতাম।’ —শুকনো ধান হারিয়ে গতকাল মঙ্গলবার
এভাবেই বিলাপ করছিলেন ওই গ্রামের হাসিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘যখন শুনছি পানি ডুকতাছে, তখন আমার একটা মাত্র মেয়েরে নিয়া ৭০ মণ ধানের মধ্যে যতটা পারি তুলার চেষ্টা করছি। সবার ধান ওই খলাত, কে কারটা ধরব?’
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বৌলাই নদীপাড়ে আহসানপুর গ্রাম। রোববার রাত ১১টায় ঢলের পানির তোড়ে সেখানকার ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এতে প্রবলবেগে পানি ঢুকতে শুরু করে হাওরে। তলিয়ে যেতে বসেছে দুই হাজার হেক্টর ফসল। যত সময় যাচ্ছে, ততই পুরো হাওরের দিকে পানির বেগ বাড়ছে।
আহসানপুরে যখন শুকনো ধান ভেসে যাচ্ছিল, তখন দিব্যি নিশ্চিন্ত ছিলেন পাশের মদনাখান্দি গ্রামের চাষিরা। যখন তাঁরা পানির কথা জানতে পারেন, ততক্ষণে সব শেষ। হালির হাওরপাড়ের এই গ্রামের কৃষক সুধীর তালুকদার বলেন, ‘আহসানপুর গ্রামের বাঁধ ভাঙছে। এই খবরটা যদি আমরা পাইতাম, লগে লগে ধান কাটার ব্যবস্থা করতে পারতাম। যখন খবর পাইছি, তখন আর কিচ্ছু বাকি নাই। বাইর ওইয়া দেখি পানি আর পানি। আমরা বুড়া-বুড়ি যাই পারি রাত্রেই কাইটা আনছি।’
আহসানপুর ও মদনাখান্দি গ্রামের মতো পুরো সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে কৃষকের চাপা কান্না। চৈত্রের শেষের দিকে ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি হয়। পরে উজান থেকে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসল রক্ষা বাঁধগুলোতে চাপ পড়ে। এতে প্রায় ১৪টি বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে যায়। নিঃস্ব হয়ে পড়েন জেলার ২৩ হাজার কৃষক।
হাওরাঞ্চলের একটি মাত্র ফসল বোরো ধান। এই ফসলকে ছয় মাস লালন করে বৈশাখ এলেই সেই লালিত ফসল ঘরে তুলবে—এমন স্বপ্নে বিভোর থাকেন হাওরবাসী। কেউ বসতভিটা মেরামত, কেউবা মেয়ে কিংবা ছেলের বিয়ের স্বপ্ন, আবার কেউ সন্তানকে প্রবাসে পাঠানোর অপেক্ষা করে বৈশাখ মাসে ফসল তোলার পর অর্থ জোগান হবে ফসল বিক্রি করে—সেই আশা থাকেন। সুনামগঞ্জে ছোট-বড় ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরে জমানো থাকে প্রতিটা কৃষক পরিবারের স্বপ্ন। গত ১ এপ্রিল থেকে ভারতের মেঘালয়ে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের ফলে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্ন পানিতে ভাসছে। কেউ কেউ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাওরে পানি প্রবেশ করেছে, তবুও হাল ছাড়েননি অনেক কৃষক।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪