আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে গতকাল রোববারের বৃষ্টিতে বালু, মাটি এবং কুচি পাথর সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই সব সড়ক ব্যবহারকারী পথচারীদের।
রাস্তার এক পাশজুড়ে ওই সব নির্মাণসামগ্রী রাখায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কের মাঝখান দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল উপজেলার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের ৯ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে করে যানজট-দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ইট-পাথর-বালু ফেলে রাখছেন ভবনমালিকেরা। দিনের পর দিন সড়ক দখল করে চলাচলে বিঘ্ন ঘটালেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয় জনসাধারণ এবং পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সড়কে ইট, বালু, সিমেন্ট ও পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রী রাখা বেআইনি। কিন্তু তারপরও এ বিধান মানছেন না কেউ। অনেক ব্যবসায়ী সড়কে ইট-বালু-রড, বাঁশ, গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য সামগ্রী সড়কের একটি অংশে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
দেখা গেছে, বানিয়াজুরী, জাবরা মোড়, বাষ্টিয়া বটতলা মোড়, বালিয়াখোড়া, চঙ্গশিমুলিয়া, উপজেলা মোড় ও ঘিওর সদরের কমপক্ষে ১০-১২ স্থানে ফুটপাত ও সড়কের বিভিন্ন অংশে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী।
ঘিওর বাজারের তনয় টেলিকমের মালিক মো. আলম বলেন, ‘বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণসামগ্রী রেখে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। এতে করে ওই রাস্তা ব্যবহারকারী যানবাহন ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে যানজট এবং দুর্ঘটনা। এরপরও ভবনমালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।’
মোটরসাইকেলচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সড়কের ওপর পাথর, বালু, ইট ও কংক্রিট রেখে ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এতে সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। দুই দিন আগে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে বালুর স্তূপের মধ্যে আমার মোটরসাইকেলের চাকা আটকে যায়। ওই সময় পড়ে গিয়ে পায়ে মারাত্মক ব্যথা পাই।’
কলেজছাত্রী জাহানারা আক্তার বলেন, ‘সব সময় এ পথ দিয়েই যাতায়াত করি। সড়কের ওপর এসব বালি, ইট ও কংক্রিট রাখায় যানজট তৈরি হয়। গতকাল মাকে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল যাচ্ছিলাম। ছোট পাথরের স্তূপের ওপর গাড়ি কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিল।’
দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘কি বলব! আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা তো কেউ শুনবে না। তাই এসব দেখার পরও চুপ থাকতে হয়।’
নির্মাণকাজ চলছে এমন একটি ভবনের মালিকের সঙ্গে কথা হয়। ভবন মালিক বাষ্টিয়া এলাকার বাসিন্দা জমসের আলী বলেন, ‘এসব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাব কোথায়? ভবনের নির্মাণকাজ করতে করতে এগুলো সরিয়ে নেব।’
বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড ঈদগাহ মাঠের পাশে অনেকখানি সড়ক জুড়ে রাখা হয়েছে বালির স্তূপ। চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারকির দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যেই বালু সরিয়ে নেব।’
ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) খালিদ মুনসুর বলেন, ‘যারা সড়ক দখল করে রেখেছেন তাঁদের সামগ্রী সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হবে। যদি নির্দেশনা না মানে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঘিওরের ইউএনও হামিদুর রহমান বলেন, ‘সড়কের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে কোনো ব্যক্তি নির্মাণকাজ করতে পারেন না।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে গতকাল রোববারের বৃষ্টিতে বালু, মাটি এবং কুচি পাথর সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই সব সড়ক ব্যবহারকারী পথচারীদের।
রাস্তার এক পাশজুড়ে ওই সব নির্মাণসামগ্রী রাখায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কের মাঝখান দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল উপজেলার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের ৯ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে করে যানজট-দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ইট-পাথর-বালু ফেলে রাখছেন ভবনমালিকেরা। দিনের পর দিন সড়ক দখল করে চলাচলে বিঘ্ন ঘটালেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয় জনসাধারণ এবং পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সড়কে ইট, বালু, সিমেন্ট ও পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রী রাখা বেআইনি। কিন্তু তারপরও এ বিধান মানছেন না কেউ। অনেক ব্যবসায়ী সড়কে ইট-বালু-রড, বাঁশ, গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য সামগ্রী সড়কের একটি অংশে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
দেখা গেছে, বানিয়াজুরী, জাবরা মোড়, বাষ্টিয়া বটতলা মোড়, বালিয়াখোড়া, চঙ্গশিমুলিয়া, উপজেলা মোড় ও ঘিওর সদরের কমপক্ষে ১০-১২ স্থানে ফুটপাত ও সড়কের বিভিন্ন অংশে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী।
ঘিওর বাজারের তনয় টেলিকমের মালিক মো. আলম বলেন, ‘বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণসামগ্রী রেখে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। এতে করে ওই রাস্তা ব্যবহারকারী যানবাহন ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে যানজট এবং দুর্ঘটনা। এরপরও ভবনমালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।’
মোটরসাইকেলচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সড়কের ওপর পাথর, বালু, ইট ও কংক্রিট রেখে ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এতে সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। দুই দিন আগে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে বালুর স্তূপের মধ্যে আমার মোটরসাইকেলের চাকা আটকে যায়। ওই সময় পড়ে গিয়ে পায়ে মারাত্মক ব্যথা পাই।’
কলেজছাত্রী জাহানারা আক্তার বলেন, ‘সব সময় এ পথ দিয়েই যাতায়াত করি। সড়কের ওপর এসব বালি, ইট ও কংক্রিট রাখায় যানজট তৈরি হয়। গতকাল মাকে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল যাচ্ছিলাম। ছোট পাথরের স্তূপের ওপর গাড়ি কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিল।’
দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘কি বলব! আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা তো কেউ শুনবে না। তাই এসব দেখার পরও চুপ থাকতে হয়।’
নির্মাণকাজ চলছে এমন একটি ভবনের মালিকের সঙ্গে কথা হয়। ভবন মালিক বাষ্টিয়া এলাকার বাসিন্দা জমসের আলী বলেন, ‘এসব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাব কোথায়? ভবনের নির্মাণকাজ করতে করতে এগুলো সরিয়ে নেব।’
বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড ঈদগাহ মাঠের পাশে অনেকখানি সড়ক জুড়ে রাখা হয়েছে বালির স্তূপ। চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারকির দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যেই বালু সরিয়ে নেব।’
ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) খালিদ মুনসুর বলেন, ‘যারা সড়ক দখল করে রেখেছেন তাঁদের সামগ্রী সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হবে। যদি নির্দেশনা না মানে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঘিওরের ইউএনও হামিদুর রহমান বলেন, ‘সড়কের ওপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে কোনো ব্যক্তি নির্মাণকাজ করতে পারেন না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪