মুলাদী ও বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদ ও জয়ন্তী নদীর এবং বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁর ভাঙন বেড়েছে। নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে মুলাদীর ৭টি বাজার, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ১৫টি গ্রাম। এ ছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাবুগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে তিনটি গ্রাম হারিয়ে যেতে বসেছে। বাবুগঞ্জ ও মুলাদী দুই উপজেলাতেই গত সপ্তাহে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর, ঘোষেরচর, কাচ্চিচর, পশ্চিম তেরচর ভাঙ্গারমোনা, পশ্চিম সেলিমপুরসহ কয়েকটি এলাকার কিছু অংশ ভেঙে গেছে। জয়ন্তী নদীর ভাঙনে লক্ষ্মীপুর, দক্ষিণ বালিয়াতলীসহ অনেক গ্রাম এখন ভাঙছে।
নন্দীরবাজার এলাকার মনির হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের ফলে প্রতিবছরই লঞ্চের পন্টুনের জায়গা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
মৃধারহাটের ব্যবসায়ী রত্তন সরদার বলেন, ‘জয়ন্তী নদীর ভাঙনে অনেক দোকান বিলীন হয়ে গেছে।’
মৃধারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিদ্যালয়ের ভবন নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মুলাদী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান জানান, আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে পশ্চিম তেরচর রাস্তার মাথা থেকে মীর কুতুবশাহ মাজার পর্যন্ত সড়ক ভেঙে গেছে।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান জানান, উপজেলার উত্তর সাহেবেরচর থেকে পাইকবাড়ি পর্যন্ত, চরনাজিরপুর ভুইয়াবাড়ি থেকে ভুইয়াবাড়ি লঞ্চঘাট, পূর্ব বানির্মদন, নাজিরপুর এলাকায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের পানি কমতে শুরু করায় সেলিমপুর ও চরআলগী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন।
চরকালেখান ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে ওই ইউনিয়নের ষোলোঘর, ৩৬ ভেদুরিয়া, পশ্চিম চরকালেখানসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, নদীর এক জায়গায় শাসন করা হলে আরেক জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নদীভাঙনরোধে মুলাদী উপজেলার বাটামারা লঞ্চঘাটসহ কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। মৃধারহাট, নন্দীরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, মুলাদী উপজেলার নদীভাঙনরোধে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠি, লোহালিয়া গ্রাম ও চাঁদপাশা ইউনিয়নের রফিয়াদী গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদপাশা ইউনিয়নের আর্জিকালিকাপুর ও ভবানীপুর গ্রামসহ প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
রহমতপুর ইউনিয়নের ছোট মীরগঞ্জ বাজার গত বছর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বছর আবার বাজারটি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, সিংহেরকাঠি গ্রামের নদী পারের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। গত সপ্তাহে নতুন ভাঙনে কয়েকটি দোকান, সাত-আটটি ঘরবাড়ি ও কয়েক একর জমি বিলীন হয়েছে।
চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের রফিয়াদি গ্রামসহ তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।’
রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মুশফিকুর রহমান বলেন, আড়িয়াল খাঁর ভাঙনরোধে বরাদ্দ চেয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদ ও জয়ন্তী নদীর এবং বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁর ভাঙন বেড়েছে। নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে মুলাদীর ৭টি বাজার, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ১৫টি গ্রাম। এ ছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাবুগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে তিনটি গ্রাম হারিয়ে যেতে বসেছে। বাবুগঞ্জ ও মুলাদী দুই উপজেলাতেই গত সপ্তাহে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর, ঘোষেরচর, কাচ্চিচর, পশ্চিম তেরচর ভাঙ্গারমোনা, পশ্চিম সেলিমপুরসহ কয়েকটি এলাকার কিছু অংশ ভেঙে গেছে। জয়ন্তী নদীর ভাঙনে লক্ষ্মীপুর, দক্ষিণ বালিয়াতলীসহ অনেক গ্রাম এখন ভাঙছে।
নন্দীরবাজার এলাকার মনির হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের ফলে প্রতিবছরই লঞ্চের পন্টুনের জায়গা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
মৃধারহাটের ব্যবসায়ী রত্তন সরদার বলেন, ‘জয়ন্তী নদীর ভাঙনে অনেক দোকান বিলীন হয়ে গেছে।’
মৃধারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিদ্যালয়ের ভবন নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মুলাদী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান জানান, আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে পশ্চিম তেরচর রাস্তার মাথা থেকে মীর কুতুবশাহ মাজার পর্যন্ত সড়ক ভেঙে গেছে।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান জানান, উপজেলার উত্তর সাহেবেরচর থেকে পাইকবাড়ি পর্যন্ত, চরনাজিরপুর ভুইয়াবাড়ি থেকে ভুইয়াবাড়ি লঞ্চঘাট, পূর্ব বানির্মদন, নাজিরপুর এলাকায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের পানি কমতে শুরু করায় সেলিমপুর ও চরআলগী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন।
চরকালেখান ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে ওই ইউনিয়নের ষোলোঘর, ৩৬ ভেদুরিয়া, পশ্চিম চরকালেখানসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, নদীর এক জায়গায় শাসন করা হলে আরেক জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নদীভাঙনরোধে মুলাদী উপজেলার বাটামারা লঞ্চঘাটসহ কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। মৃধারহাট, নন্দীরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, মুলাদী উপজেলার নদীভাঙনরোধে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠি, লোহালিয়া গ্রাম ও চাঁদপাশা ইউনিয়নের রফিয়াদী গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদপাশা ইউনিয়নের আর্জিকালিকাপুর ও ভবানীপুর গ্রামসহ প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
রহমতপুর ইউনিয়নের ছোট মীরগঞ্জ বাজার গত বছর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বছর আবার বাজারটি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
গত রোববার গিয়ে দেখা গেছে, সিংহেরকাঠি গ্রামের নদী পারের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। গত সপ্তাহে নতুন ভাঙনে কয়েকটি দোকান, সাত-আটটি ঘরবাড়ি ও কয়েক একর জমি বিলীন হয়েছে।
চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের রফিয়াদি গ্রামসহ তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।’
রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মুশফিকুর রহমান বলেন, আড়িয়াল খাঁর ভাঙনরোধে বরাদ্দ চেয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪