Ajker Patrika

আত্মীয়তা রক্ষার গুরুত্ব

ড. মো. শাহজাহান কবীর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩২
আত্মীয়তা  রক্ষার গুরুত্ব

ইসলামে আত্মীয়-স্বজনের অধিকার বিশেষভাবে স্বীকৃত। আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা ইমানের দাবি। তাই পার্থিব জীবনে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সেসব নিকটতম ব্যক্তি যারা আমাদের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ—যেমন ভাইবোন, চাচা-মামা, তাঁদের ছেলেমেয়ে এবং তারা ছাড়াও অন্য লোকজন যারা আত্মীয়তা সূত্রে আবদ্ধ, তাদের প্রত্যেকের প্রতিই আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার উপায় হলো, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা, বিপদ-আপদে সহায়তা করা, তাদের সার্বিক অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখা এবং তারা দূরে চলে গেলে কিংবা খারাপ আচরণ করলেও তাদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এক আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করো না। আর সদ্ব্যবহার করো বাবা-মায়ের সঙ্গে, নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে, এতিম, নিঃস্ব, আত্মীয় প্রতিবেশী ও অনাত্মীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার অনেক মর্যাদা রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিকে প্রশস্ততা এবং আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে।’ (বুখারি)

আমরা অনেকেই সাধারণ বিষয় নিয়েও ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ রাখি। এমন আচরণ ইসলাম অনুমোদন করে না। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের জন্য ভয়াবহ পরিণাম উল্লেখ করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।’ অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’

ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত