Ajker Patrika

শীতে কাঁপছে উত্তরের তিন জেলার মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৬
Thumbnail image

কয়েক দিন ধরে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এমন আবহাওয়া আরও কয়েক দিন বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কার্যালয়।

এদিকে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হচ্ছেন। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপে হাসপাতালে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভর্তি হচ্ছেন।

পঞ্চগড়: গতকাল সকালে পঞ্চগড়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত শুক্রবার জেলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপ অনুভূত হয়নি।

পঞ্চগড়ে রাত থেকে শুরু হচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত। কুয়াশা না থাকলেও হিমালয়ের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় কনকনে শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতবস্ত্র বা গরম কাপড়ের অভাবে প্রান্তিক এ জনপদের শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে জেলায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, ‘আগামী তিন থেকে চার দিন মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। পঞ্চগড়ে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আজ (শনিবার)। বাতাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।’

কুড়িগ্রাম: গতকাল সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

এ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা তেঁতুলিয়াসহ যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও দু-এক দিন বিরাজ করতে পারে।’

এদিকে সকালে কনকনে ঠান্ডা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের উপস্থিতিতে জনভোগান্তি কিছুটা কমেছে। রোদের উষ্ণতা নিতে সাধারণ মানুষকে রোদ পোহাতে দেখা গেছে। বোরো আবাদ শুরু হওয়ায় ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করছেন শ্রমজীবী ও কৃষকেরা।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া আর হালকা কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে, এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। গতকাল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াও গত শুক্রবার সকালে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত দুদিনে হাড়কাঁপানো শীতে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দিনভর খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামের মানুষ।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত