Ajker Patrika

১০ কিমি সড়কে খানাখন্দ দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১৬: ০৪
Thumbnail image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের সঙ্গে তিন ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ফুলবাড়ী-বালারহাট সড়ক। ১০ কিলোমিটারের এ সড়ক কয়েক দফা বন্যায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পথযাত্রীরা।

১৯৮৩ সালে নির্মাণ করা হয় সড়কটি। ২০১৭ সালের বন্যায় সড়কটির ছড়ারপাড় এলাকার দুই কিলোমিটার ধসে পড়ে। পরে ওই অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। বর্তমানে বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, এরই মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ১ হাজার ৫০০ মিটার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ সাপেক্ষে বাকি অংশ মেরামত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জানা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ওই সড়ক। খানাখন্দ হওয়ায় ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বালারহাট বাজারের অটোরিকশাচালক গোলজার হোসেন ও রাজু মিয়া বলেন, ‘ভাঙাচেরা সড়কে চলাচলের সময় অন্য যানবাহনকে সাইড দিতে গেলে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। প্রায় দিনই কোনো না কোনো অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে। এতে যাত্রী জখমের ঘটনায় জরিমানা দিতে হয়েছে।’

পথচারী রোস্তম আলী বলেন, বাংলারহাট থেকে ফুলবাড়ী সদর ১০ মিনিটের পথ। অথচ এখন এ পথ পেরিয়ে যেতে এক ঘণ্টা লাগে। এরপরও ঝাঁকুনি ও কষ্টের মধ্যেই সড়ক পেরিয়ে যেতে হয়।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের করিমামুদ গ্ৰামের আসাদুজ্জামান ও ইয়াছিন আলী বলেন, সড়কের অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে শত শত গর্ত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ঠাকুরপাঠ ও ছড়ারপাড় এলাকার সড়কের দুই পাশ ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দার জানান, উপজেলার ফুলবাড়ী-বাংলার হাট সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল ইটের গুঁড়া দিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে ইটের গুঁড়া বৃষ্টিতে ধুয়ে আবারও গর্তে পরিণত হয়েছে। বর্ষার আগে মেরামত করা না গেলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।

শিমুলবাড়ী মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সবাই সড়কের ভালো অংশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিতে চায়। এ কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, ‘ফুলবাড়ী-বালারহাট বেহাল সড়কটির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করছি সামনের অর্থবছরে সড়কটির বাকি অংশ মেরামতের কাজ করা হবে। এতে জনদুর্ভোগ কেটে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত