Ajker Patrika

৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২, ১২: ৫২
Thumbnail image

টানা চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত নগরীতে টানা বৃষ্টি হয়। অনেকের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর ডিবি রোড, কৃষ্টপুর, ফুলবাড়ি বাইলেন, নন্দীবাড়ি, নতুন বাজার, গাঙ্গিনারপাড়, সাবেহ আলী রোড, নাটক ঘরলেন, সানকিপাড়া, গুলকীবাড়ি রোডসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। এর আগে গত ১৭ জুন কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতার কারণে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

চলাচলকারীরা অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে নালা ও খাল খনন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হলেই নগরবাসীর ভোগান্তি দূর হবে।

সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে নগরীর মিন্টু কলেজ থেকে শুরু হয়ে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পুরোহিত পাড়ার বাইলেন রোডে হাঁটুপানি জমে যায়। এসব পানি মানুষের বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মন্দিরে ঢুকে পড়ে। নতুন বাজার প্রধান সড়কে পানি জমে ভোগান্তি পড়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজারের বাসিন্দা মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হলে কাঁচাবাজারসহ প্রধান সড়কে পানি জমে। এতে আমরা ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মূলত ড্রেন সংস্কার না হওয়ার কারণেই বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়।’

আফরোজ খান মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী হাসান আরিফ বলে, ‘স্কুল ছুটি হলেও রাস্তায় পানির কারণে বাসায় যেতে পারছি না। কোনো গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টি একটু বেশি হলে শহরে পানি জমে। আর আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

ইজিবাইক চালক হোসেন আলী বলেন, এলাকার নালাগুলো প্রতিবছরেই পর্যায়ক্রমে ছোট হচ্ছে। ময়লায় ভরে যাচ্ছে। তদারকি না থাকায় পানি চলাচল করতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রোডে হাঁটুপানি অটো চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘আমরা সবাই জানি সিটি করপোরেশনের নালা সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর হবে তা বলা মুশকিল। আসলে সিটি করপোরেশন যেভাবে নালা সংস্কারের কাজ করছে তাতে জলাবদ্ধতা দূর হবে না। কাজের মান দেখে মনে হয় পানি জমিয়ে রাখার জন্য তাঁরা তা করছেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে নালা খনন না হলে মানুষের ভোগান্তি কোনোভাবেই দূর হবে না।’

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিতে আমার ওয়ার্ডসহ শহরের প্রায় জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে এই জলাবদ্ধতার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আমরা নিয়মিত নালা পরিষ্কার করছি। জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে মেয়র বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে।’

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামূল হক টিটু বলেন, ‘বেশি বৃষ্টি হলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। সিটি করপোরেশনে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হচ্ছে শেওড়া, মাগরজানি এবং গোয়ালকান্দি খাল ভরাট হয়ে যাওয়া। এই সমস্যা দূরীকরণে ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে খুব বেশি দিন মানুষকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত