
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০ ঘণ্টা আগে