তরুণ চক্রবর্তী
কলকাতা: পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এখন বিধায়ক। তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাসক দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন মজবুত করার। কিন্তু টালিউড এখন মূলত দু-ভাগে বিভক্ত। তৃণমূল আর বিজেপি। বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ হলেও রাজনীতির হাত ধরে তৈরি হওয়া শিল্পীদের বিভেদ কিন্তু শেষ হয়নি।
করোনার কারণে শুটিং একরকম বন্ধই বলা যায়। সিনেমা ও টিভি নাটকের হাল খুব খারাপ। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কলাকুশলীরা আছেন দুরবস্থায়। এ পরিস্থিতিতে তারকাদের একটা বড় অংশ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে তাই মহাসমস্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমা।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বাম আমলে রূপোলি জগতের তারকা প্রার্থীদের খুব একটা দেখা যেতো না। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই শুরু হয় সংসদীয় রাজনীতিতে রুপোলি পর্দার রমরমা অবস্থা। ইতিমধ্যেই মুনমুন, সন্ধ্যা রায় থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমা জগতের অনেকেই সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত লোকসভা ভোটে শতাব্দী রায়, দীপক অধিকারি (দেব), মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান তৃণমূলের থেকে লোকসভার সদস্য হন। রাজ্যসভায় নাটকের জগত থেকে অর্পিতা ঘোষ তৃণমূল থেকে এবং রূপা গাঙ্গুলি বিজেপির থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তবে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তারকা প্রার্থীদের রমরমা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যেও দলবদলের হিড়িক লেগে যায়।
তৃণমুলের অভি-নেতারা
পশ্চিমবঙ্গে গতবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে অভিনয়জগত থেকে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, নাট্যকার ব্রাত্য বসু, গায়ক ইন্দ্রনীল সেন জিতেছিলেন। ব্রাত্য, লক্ষ্মী ও ইন্দ্রনীল মন্ত্রীও হন। তবে ভোটের আগেই রাজনীতি ছাড়েন লক্ষ্মী। আর দেবশ্রী এবার টিকিট না পেয়ে ফিরে যান অভিনয় জগতে। তবে এবারের বিধানসভায় যেন তারার মেলা। তৃণমূলের হয়ে ব্রাত্য, ইন্দ্রনীল, চিরঞ্জিতদের পাশাপাশি জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মৈত্র, সোহম চক্রবর্তীরা জিতেছেন। পরিচালক রাজ তো রয়েইছেন।
গায়ক ইন্দ্রনীলের মতোই এবার অদিতি মুন্সিও বিধায়ক। তৃণমূলের বিপরীতে বিজেপিও অভিনেতা হীরণ চ্যাটার্জিকে পেয়েছে তাঁদের পরিষদীয় দলে। জয়ীরা তো পাকাপাকি ভাবে রাজনীতিতে থাকছেনই, পরাজিতদেরও অনেককে রাজনীতিতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। যেমন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। টালিউডের এই অভিনেত্রী হেরে গেলেও তাঁকে তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী করেছেন মমতা।
বিজেপির অভি-নেতারা
বিজেপি শিবিরের দুই তারকা লকেট ও বাবুল সুপ্রিয় বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েও হেরেছেন। কিন্তু তাঁদের জাতীয় সংসদের সদস্য পদ রয়েছে। বাবুল আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির বাকি যারা পরাস্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, পর্ণো মিত্র, পায়েল সরকার, পাপিয়া অধিকারী, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ।
বামদলের আছেন যাঁরা
বামেদের অভিনেতা প্রার্থী দেবদূত ঘোষ হেরে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, কৌশিক সেনদের এবার ভোটপ্রচারে বামদের সমর্থনে যেমন সক্রিয় দেখা গিয়েছিল, ভোটের পরও করোনা দুর্গতদের
পাশে দাঁড়াচ্ছেন একই রকম আন্তরিকতার সঙ্গে।
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, টালিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তৃণমূল প্রভাবিত হওয়ায় তাঁরা আর কাজ পাচ্ছেন না। পরিচালক ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী অবশ্য বিজেপি শিবিরের কলা-কূশলীদের তৃণমূলে যোগদানের আমন্ত্রন জানিয়েছেন। তবে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আসলে কাজই তো কমে গিয়েছে। একে লকডাউন, তার উপর নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। সমস্যায় পশ্চিমবঙ্গের সিনে-দুনিয়া।
কলকাতা: পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এখন বিধায়ক। তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাসক দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন মজবুত করার। কিন্তু টালিউড এখন মূলত দু-ভাগে বিভক্ত। তৃণমূল আর বিজেপি। বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ হলেও রাজনীতির হাত ধরে তৈরি হওয়া শিল্পীদের বিভেদ কিন্তু শেষ হয়নি।
করোনার কারণে শুটিং একরকম বন্ধই বলা যায়। সিনেমা ও টিভি নাটকের হাল খুব খারাপ। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কলাকুশলীরা আছেন দুরবস্থায়। এ পরিস্থিতিতে তারকাদের একটা বড় অংশ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে তাই মহাসমস্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমা।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বাম আমলে রূপোলি জগতের তারকা প্রার্থীদের খুব একটা দেখা যেতো না। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই শুরু হয় সংসদীয় রাজনীতিতে রুপোলি পর্দার রমরমা অবস্থা। ইতিমধ্যেই মুনমুন, সন্ধ্যা রায় থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমা জগতের অনেকেই সংসদ সদস্য হয়েছেন। গত লোকসভা ভোটে শতাব্দী রায়, দীপক অধিকারি (দেব), মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান তৃণমূলের থেকে লোকসভার সদস্য হন। রাজ্যসভায় নাটকের জগত থেকে অর্পিতা ঘোষ তৃণমূল থেকে এবং রূপা গাঙ্গুলি বিজেপির থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তবে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তারকা প্রার্থীদের রমরমা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যেও দলবদলের হিড়িক লেগে যায়।
তৃণমুলের অভি-নেতারা
পশ্চিমবঙ্গে গতবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে অভিনয়জগত থেকে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, নাট্যকার ব্রাত্য বসু, গায়ক ইন্দ্রনীল সেন জিতেছিলেন। ব্রাত্য, লক্ষ্মী ও ইন্দ্রনীল মন্ত্রীও হন। তবে ভোটের আগেই রাজনীতি ছাড়েন লক্ষ্মী। আর দেবশ্রী এবার টিকিট না পেয়ে ফিরে যান অভিনয় জগতে। তবে এবারের বিধানসভায় যেন তারার মেলা। তৃণমূলের হয়ে ব্রাত্য, ইন্দ্রনীল, চিরঞ্জিতদের পাশাপাশি জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মৈত্র, সোহম চক্রবর্তীরা জিতেছেন। পরিচালক রাজ তো রয়েইছেন।
গায়ক ইন্দ্রনীলের মতোই এবার অদিতি মুন্সিও বিধায়ক। তৃণমূলের বিপরীতে বিজেপিও অভিনেতা হীরণ চ্যাটার্জিকে পেয়েছে তাঁদের পরিষদীয় দলে। জয়ীরা তো পাকাপাকি ভাবে রাজনীতিতে থাকছেনই, পরাজিতদেরও অনেককে রাজনীতিতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। যেমন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। টালিউডের এই অভিনেত্রী হেরে গেলেও তাঁকে তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী করেছেন মমতা।
বিজেপির অভি-নেতারা
বিজেপি শিবিরের দুই তারকা লকেট ও বাবুল সুপ্রিয় বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েও হেরেছেন। কিন্তু তাঁদের জাতীয় সংসদের সদস্য পদ রয়েছে। বাবুল আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির বাকি যারা পরাস্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, পর্ণো মিত্র, পায়েল সরকার, পাপিয়া অধিকারী, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ।
বামদলের আছেন যাঁরা
বামেদের অভিনেতা প্রার্থী দেবদূত ঘোষ হেরে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, কৌশিক সেনদের এবার ভোটপ্রচারে বামদের সমর্থনে যেমন সক্রিয় দেখা গিয়েছিল, ভোটের পরও করোনা দুর্গতদের
পাশে দাঁড়াচ্ছেন একই রকম আন্তরিকতার সঙ্গে।
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, টালিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তৃণমূল প্রভাবিত হওয়ায় তাঁরা আর কাজ পাচ্ছেন না। পরিচালক ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী অবশ্য বিজেপি শিবিরের কলা-কূশলীদের তৃণমূলে যোগদানের আমন্ত্রন জানিয়েছেন। তবে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আসলে কাজই তো কমে গিয়েছে। একে লকডাউন, তার উপর নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। সমস্যায় পশ্চিমবঙ্গের সিনে-দুনিয়া।
মঞ্চে গান গাওয়ার সময় উদিত নারায়ণ এক তরুণীর ঠোঁটে চুমু দেন। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। এ নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। প্রবীণ গায়কের এমন আচরণে ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা। কেউ আবার ভারতীয় সভ্য় সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় বিনোদন দুনিয়ায় সংগীত রিয়্যালিটি শো নিয়ে সুনিধি চৌহানের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কৈলাস খের। সংগীতের রিয়্যালিটি শো এর নামে ভেলপুরি বিক্রি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য এই গায়কের?
৪ ঘণ্টা আগেপলিটিক্যাল থ্রিলার গল্পে গোলাপ নামের সিনেমা বানাচ্ছেন সামছুল হুদা। গত মাসের শেষ দিকে এ সিনেমার নায়ক নিরব হোসেনের ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সিনেমার। তবে জানানো হয়নি নায়িকার নাম। অবশেষে জানা গেল গোলাপে নিরবের নায়িকা হচ্ছেন পরীমণি।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তাঁর বিভিন্ন নাট্যকর্মে সমাজতাত্ত্বিক, রাজনৈতিক দর্শন ও শিল্পদর্শন একীভূত হয়েছে। নাট্যচর্চার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করেন তিনি। প্রবন্ধ, উপন্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকায়ও প্রকাশ হয় তাঁর লেখা। আজকের পত্রিকায় লেখা তাঁর...
৮ ঘণ্টা আগে